কুতুবদিয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে উৎপাদন বিপর্যস্ত চলছে দীর্ঘ দিন ধরে।যুগ যুগ ধরে দেড় লক্ষাধিক মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে। ব্যহত হচ্ছে ডিজিটাল দেশ গড়ার স্বপ্ন।বিউবো,কুতুবদিয়া অফিস সূত্র জানায়,আশির দশকে ২০০ ও ৫০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দু‘টি শক্তিশালী জেনারেটর সম্বনিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছিল।দু‘টি শক্তিশালী জেনারেটরের মধ্যে একটি নষ্ট আর অপরটির উৎপাদন ক্ষমতা এখন মাত্র ২০ শতাংশে নেমেছে। গুটিয়ে আনা সর্ব শেষ গ্রাহকরাও পড়েছে বিপাকে। প্রথমে উপজেলা সদর,বড়ঘোপ বাজার,আলী আকবর ডেইল,ষ্টীমার ঘাট সহ পরবর্তীতে দক্ষিণ ধুরুং কুতুব শরীফ দরবার,ধুরুংকাঁচা এবং ৭ কিলোমিটার অদূরে প্রসিদ্ধ ব্যবসা কেন্দ্র ধুরুং বাজারেও বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়। এ সব এলাকায় গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে খুঁটি,তার,মিটার প্রদান করা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের একমাসের মধ্যে মেশিন ত্র“টির অজুহাতে বিশেষ করে ধুরুংবাজার,ধুরুং কাচা, দরবার শরীফ ও আলী আকবর ডেইল লাইনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। অদ্যবদি ঐ সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় গ্রাহকরা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। ধুরুং বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি এস.এম,মঞ্জুর আলম বলেন, বাজারে ৯৮/৯৯ সালে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে তার,খুঁটি,মিটার বাবদ প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ করেন ব্যবসায়িরা। তবে বিদ্যুৎ মেলেনি।
মেশিন ত্র“টির কারণে কয়েক বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকার পর সেটি মেরামত করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে শুধু উপজেলা সদরে ৭‘শ গ্রাহককে প্রতিদিন রাতে ৪/৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হলেও মেশিনে লোড নিচ্ছেনা-এমন অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যুৎ মার্কেট,লামার বাজার,মিয়ার পাড়া, হাসপাতাল গেইট,কলেজ গেইট প্রভৃতি এলাকায় ৪০০ গ্রাহকের সংযোগ লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে গত ১লা জুন থেকে।গত ৪ মাস ধরে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বার বার বলছেন ত্র“টিপূর্ণ মেশিন মেরামত হচ্ছে খুব শীঘ্রই। কাজের কাজ করনেনা। মেশিন মেরামত নিয়ে লুকোচুরি করছে সংশ্লিষ্টরা। সর্ব শেষ গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত দ্বীপের দেড় লক্ষ মানুষের মাঝে বিদ্যুৎ পাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন,থানা, ও স্বল্প সংখ্যক গ্রাহক। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের মেশিন অপারেটর আব্দুল গফুর বাদশা জানান,তিন দশকের পুরনো ২০০ কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার মেশিনটি নষ্ট। ৫০০ ক্ষমতা সম্পন্ন মেশিন চালু থাকলেও বর্তমানে উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ কিলোওয়াট। মেশিন দ্রুত মেরামত না হলে ড্যামেজ হতে পারে যে কোন মূহুর্তে।আবাসিক প্রকৌশলী নেই ১১ মাস যাবত।কাউকে বদলীর আদেশ হলেও তদবিরে আদেশ প্রত্যাহার হতে আছে বারংবার।যে কারণে গরজ নেই নষ্ট মেশিন মেরামতের।
অপরদিকে অসংখ্য বিদ্যুৎ গ্রাহকের অভিযোগ কর্মকর্তা না থাকায় কর্মরত কর্মচারিরা অবৈধ সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মাসোহারা। এক সময়ে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জানা যায় এ তথ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক এক কর্মচারি জানান, মেশিন নষ্টের সুবাদে সরবরাহকারি তেল ডিলার ও উর্ধতন কর্মকর্তার যোগসাজসে তেল চুরি করছে প্রতিনিয়ত ।উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো.ফিরোজ আহমেদ দ্বীপের বিদ্যুৎ ব্যবস্তা বিপর্যয় স্বীকার করে বলেন,তিনি এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট বার বার লিখিত ভাবে অবহিত করেছেন। সার্বিক বিষয় নিয়ে কক্সবাজারের নির্বাহি প্রকৌশলী সামসুল আলম জানান,আবাসিক প্রকৌশলী যোগদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। মেশিন মেরামতের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে এবং নতুন আরেকটি মেশিন ক্রয়ের জন্য উর্ধতন র্কৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে কবে নাগাদ এগুলোর সমাধান হবে তা তিনি নিশ্চিত বলতে পারেননি।
মেশিন ত্র“টির কারণে কয়েক বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকার পর সেটি মেরামত করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে শুধু উপজেলা সদরে ৭‘শ গ্রাহককে প্রতিদিন রাতে ৪/৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হলেও মেশিনে লোড নিচ্ছেনা-এমন অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যুৎ মার্কেট,লামার বাজার,মিয়ার পাড়া, হাসপাতাল গেইট,কলেজ গেইট প্রভৃতি এলাকায় ৪০০ গ্রাহকের সংযোগ লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে গত ১লা জুন থেকে।গত ৪ মাস ধরে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বার বার বলছেন ত্র“টিপূর্ণ মেশিন মেরামত হচ্ছে খুব শীঘ্রই। কাজের কাজ করনেনা। মেশিন মেরামত নিয়ে লুকোচুরি করছে সংশ্লিষ্টরা। সর্ব শেষ গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত দ্বীপের দেড় লক্ষ মানুষের মাঝে বিদ্যুৎ পাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন,থানা, ও স্বল্প সংখ্যক গ্রাহক। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের মেশিন অপারেটর আব্দুল গফুর বাদশা জানান,তিন দশকের পুরনো ২০০ কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার মেশিনটি নষ্ট। ৫০০ ক্ষমতা সম্পন্ন মেশিন চালু থাকলেও বর্তমানে উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ কিলোওয়াট। মেশিন দ্রুত মেরামত না হলে ড্যামেজ হতে পারে যে কোন মূহুর্তে।আবাসিক প্রকৌশলী নেই ১১ মাস যাবত।কাউকে বদলীর আদেশ হলেও তদবিরে আদেশ প্রত্যাহার হতে আছে বারংবার।যে কারণে গরজ নেই নষ্ট মেশিন মেরামতের।
অপরদিকে অসংখ্য বিদ্যুৎ গ্রাহকের অভিযোগ কর্মকর্তা না থাকায় কর্মরত কর্মচারিরা অবৈধ সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মাসোহারা। এক সময়ে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জানা যায় এ তথ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক এক কর্মচারি জানান, মেশিন নষ্টের সুবাদে সরবরাহকারি তেল ডিলার ও উর্ধতন কর্মকর্তার যোগসাজসে তেল চুরি করছে প্রতিনিয়ত ।উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো.ফিরোজ আহমেদ দ্বীপের বিদ্যুৎ ব্যবস্তা বিপর্যয় স্বীকার করে বলেন,তিনি এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট বার বার লিখিত ভাবে অবহিত করেছেন। সার্বিক বিষয় নিয়ে কক্সবাজারের নির্বাহি প্রকৌশলী সামসুল আলম জানান,আবাসিক প্রকৌশলী যোগদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। মেশিন মেরামতের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে এবং নতুন আরেকটি মেশিন ক্রয়ের জন্য উর্ধতন র্কৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে কবে নাগাদ এগুলোর সমাধান হবে তা তিনি নিশ্চিত বলতে পারেননি।
