টিভি কেনার সময় যে সাতটি বিষয় লক্ষ রাখবেন


অ-অ+

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ(আইপিএল)। সামনেই আসছে বিশ্বকাপ ফুটবল। যেকারণে এখন টেলিভিশন কিনবেন অনেকেই। কিন্তু চোখ বন্ধ করে টিলিভিশন কিনলে চলবে না। আপনি যদি সাতটি বিষয় লক্ষ্য রাখেন তবে টেলিভিশন কিনে ঠকবেন না।
সাইজ ও প্যানেল
টিভি কেনার সময় শুধু বড় সাইজের কেনার প্রতি ব্যাকুল থাকলে চলবে না। বরং আপনি ওই সাইজের টিভি কিনবেন যে সাইজের টিভি আপনার পক্ষে বহন করা সম্ভব। তাহলে বাসা বদল বা যায়গা বদলের সময় টিভিটি বহনে আপনার কষ্ট হবে না। এরপর আসা যাক টিভি স্ক্রিনের কথায়। টিভিটি আপনার কোলে নিয়ে স্ক্রিনে হালকা টোকা দিন। যদি কাঁচের মতো শব্দ হয় তাহলে কিনতে পারেন। আর যদি অনুভব করেন যে, এরকম মনে হচ্ছে যে আপনি পানিতে টোকা দিচ্ছেন তবে কেনার দরকার নেই।
এলইডি বনাম এলসিডি বনাম প্লাজমা
এখনকার বাজারে এলইডি, এলসিডি এবং প্লাজমা টিভির খুব চাহিদা। যেকারণে আপনি একটু কনফিউশনে পড়তে পারেন যে, কোনটা কিনবেন। এক্ষেত্রে এলইডি এবং এলসিডির মধ্যে আসলে গুণগত তেমন কোন পার্থক্য নেই। আপনার যদি টিভি কেনার ক্ষেত্রে বাজেট বেশি থাকে তবে আপনি এই দু'টোর মধ্যে যেকোন একটি কিনতে পারেন। যদিও প্লাজমার পিকচার কোয়ালিটি ভালো তবুও আপনাকে মনে রাখতে হবে এর ডিসপ্লে সিস্টেম খুব ঝামেলার। অনেক প্রোগ্রামিং থাকে। তাই কোনোভাবে এটি নষ্ট হলে মেরামত করতে আপনাকে অনেক টাকা গুনতে হবে। তাই আপনি এলইডি বা এলসিডি কিনলেই ভালো করবেন।
এইচডি বনাম ফুলএইচডি
স্ক্রিনের সাইজ ৪৬ ইঞ্চি নাহলে আসলে বোঝা কষ্টকর হয়ে যায় আপনার জন্যে এইচডি নাকি ফুল এইচডি কোনটা উপযুক্ত। যদি আপনার বাসায় আট ফুট দৈর্ঘ্যের চাইতে কম দূরত্বে বসে টিভি দেখার ব্যবস্থা থাকে তবে আপনি ফুল এইচডি টিভিই কিনতে পারেন। ওই ব্যবস্থা না থাকলে আপনার এইচডি টিভি কেনাই ঠিক হবে
স্মার্ট টিভি

স্মর্ট টিভি কেনার ক্ষেত্রে যে বিষয়টি লক্ষ করবেন তা হলো, ওই টিভির চারটি এইচডিএমআই পোর্ট আছে কি না। কারণ, স্মার্ট টিভির ওই পোর্টই ওয়াইফাই কানেকশন নিশ্চিত করে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ইন্টানেটের মাধ্যমে আপনি এই টিভিতে অসংখ্য এ্যাপস পাবেন। পাশাপশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তো উপস্থিতি থাকবেই। শুধু তাই নয় আপনি আপনার স্মার্ট ফোনটিও ওই পোর্টের মাধ্যমে আপনার টিভির সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারবেন।
মিডিয়া প্লেব্যাক
টিভিতে ইউএসবি পোর্ট আছে মানেই এই নয় যে, তার মাধ্যমে সব ধরনের মিডিয়া ফাইল চলবে। এ ক্ষেত্রে ডিভএক্সএইচডি টিভি কিনলে তাতে আপনি এভিআই, এমকেভি এমপিফোরসহ অনেক ধরনের অডিও-ভিডিও ফাইল আপনি চালাতে পারবেন। পাশাপাশি পোর্টেবল ড্রাইভের সুবিধা তো থাকছেই।
প্যাসিভ না একটিভ থ্রিডি
প্যাসিভ থ্রিডি টিভিতে আপনি কম পয়সায় গ্লাস ক্রয় করতে পারবেন বিধায় লাইভ স্পোর্টসের মতো বিষয়ে আপনি অনেক বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন। পাশাপাশি ওই গ্লাসের জন্য আপনাকে ব্যাটারি কিনতে হবে না। অন্যদিকে একটিভ থ্রিডির গ্লাসের দাম অনেক বেশি। আর ফিল্ম বা ভিডিও বাফার বা ডাউনলোডের সময় অনেক কম লাগে কারণ এতে থ্রিডি ব্লু রে ডিস্ক রয়েছে। এবার আপনি চিন্তা করুন আপনি কিভাবে টিভিতে কোন ধরনের প্রোগ্রাম দেখতে চান এবং এ ক্ষেত্রে আপনার বাজেট কেমন। যেটা সুবিধে হয় সেটাই কিনুন
ওয়ারেন্টি

টিভি কেনার ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি একটা বড় ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে শোরুমগুলো আপনাকে দুই থেকে তিন বছরের ওয়ারেন্টি দেবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে কিনতে হবে কোন কম্পানির নিজস্ব শোরুম থেকে। সে ক্ষেত্রে আপনি ১০-১৫ শতাংশ বেশি ওয়ারেন্টি পাবেন।  

Techvoice template ad banner
Related Posts
Previous
« Prev Post