এবার ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৬৫ এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে সাদকাতুল ফিতর কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব ও সাদকাতুল ফিতর কমিটির আহবায়ক মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। খবর বাসসের।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে গম বা আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। গম বা আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৬৫ টাকা আদায় করতে হবে। খেজুর দ্বারা আদায় করলে ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৪৮৫ টাকা এবং পনির দ্বারা আদায় করলে ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৫৮৫ টাকা ফিতরা আদায় করতে হবে।
মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সাদকাতুল ফিতরা আদায় করতে পারবেন। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। নাবালক ছেলে-মেয়ের পক্ষ থেকে বাবাকে এই ফিতরা দিতে হয়। আর তা দিতে হয় ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই।
গত বছর সর্বনিম্ন ফিতরা ধরা হয়েছিল জনপ্রতি ৬৬ টাকা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমদ, গাউছুল আযম মসজিদের খতীব কবি মাওলানা রুহুল আমিন খান, মালিবাগ জামিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহিয়া, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান ফকীহ মুফতি মাহমুদুল হাসান, দারুল উলুম আহসানিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এ জেড এম হেলাল উদ্দিন, সার্কিট হাউজ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আরীফ উদ্দিন মা’রূফ, আহছানিয়া ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শায়খ মুহাম্মাদ উছমান গনী, উত্তর বাড্ডা কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ড. মাওলানা মো. কামরুল হাসানসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।