ফেসবুকে অটো ভিডিও প্লে বন্ধ করুন সহজেই

ফেসবুকে অটো ভিডিও প্লে বন্ধ করুন সহজেই

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক

১. প্রথমে আপনার প্রোফাইলে যান। সেখান থেকে settings এ ক্লিক করুন। নিচে ছবিতে দেখুন।










ঢাকা :  ফেসবুকে কিছু অভ্যন্তরীণ আডগ্রেডেশন হয়েছে। এ কারণেই গতকাল সোমবার রাতে কিছু সময়ের জন্য খুলতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে এরপর থেকেই ব্যবহারকারীদের জন্য একটা ঝামেলা দেখা দিয়েছে- অটো ভিডিও প্লে। অর্থাৎ নিউজ ফিডে স্ক্রল করে গেলে ভিডিওগুলো অটোমেটিক চালু হয়ে যাচ্ছে। এটা সবার জন্যই বিরক্তিকর। এছাড়া অপ্রয়োজনে প্রচুর ড্যাটা খরচও হয়ে যাচ্ছে। তবে আপনি খুব সহজেই এটা বন্ধ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারেন। তার মানে আপনি কোনো ভিডিও দেখতে চাইলে ভিডিওর ওপর ক্লিক করে দেখবেন।
 ২. এবার বাম পাশের মেন্যুতে একদম নিচে এ ক্লিক করুন। দেখবেন ভিডিও সেটিংস নামে একটি বক্স খুলবে। সেখানে দুই নম্বরে Auto-Play Videos এ দেখবেন Default করা আছে। ওই ড্রপডাউনে ক্লিক করে Off সিলেক্ট করে দিন। নিচে ছবিতে দেখুন :
বিস্তারিত পড়ুন

সরকারি চাকরির আবেদনে সত্যায়ন থাকছে না

সরকারি চাকরির আবেদনে সত্যায়ন থাকছে না


সরকারি চাকরির আবেদনে কোনো সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে না। লাগবে না সত্যায়িত ছবিও। মৌখিক পরীক্ষার সময় মূল সনদ দেখাতে হবে। সচিব কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা জানান, সরকার ধীরে ধীরে ভর্তি, ঋণ গ্রহণ, ব্যাংক হিসাব খোলাসহ বিভিন্ন কাজে সত্যায়নের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে। তবে পাসপোর্টসহ কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ের ক্ষেত্রে এটা বহাল থাকবে। পাসপোর্টের আবেদন এখন সপ্তম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তা সত্যায়ন করতে পারেন। এ ছাড়া সাংসদ, মেয়র বা স্থানীয় সরকারের চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষ, অধ্যাপক বা প্রধান শিক্ষক, সম্পাদকসহ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিকে পাসপোর্টের আবেদন ও ছবি সত্যায়নের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে সরকার ‘শ্রেণি’ তুলে দিয়ে গ্রেডের ভিত্তিতে কর্মীদের মর্যাদা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা বলে কিছু থাকছে না। সে জন্য সত্যায়নের কাজটি কোন গ্রেডের কর্মকর্তা করবেন, তা এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করেনি সরকার।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রথম আলোকে বলেন, সব কাজে সত্যায়নের যে বাধ্যবাধকতা তা তুলে দেওয়া উচিত। সত্যায়িত করার প্রয়োজন হলে তা যেকোনো রেসপেকটেড পারসনও (সম্মানিত ব্যক্তি) করতে পারেন। জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, অনলাইনে শিক্ষা সনদ দেওয়া, পাসপোর্টসহ নাগরিক তথ্য ‘ডিজিটালাইজড’ হয়ে গেলে কয়েক বছর পর এসব সত্যায়নের আর প্রয়োজন হবে না।
দেশে শিশু থেকে বয়স্ক পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় সব নাগরিককে লেখাপড়া, চাকরি বা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা নেওয়ার জন্য ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হয়। এ জন্য প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে অপরিচিত হলে কেউ সত্যায়িত করতে চান না। ফলে বিড়ম্বনা এড়াতে মিথ্যা সত্যায়নের হিড়িক পড়ে যায়।
মূল সনদ যাচাই-বাছাই না করে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয় না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। তবু ভর্তিসহ সব ক্ষেত্রে আবেদনের সময় মূল সনদের ফটোকপি করে তা সত্যায়িত করার জন্য ঘুরতে হয় প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পেছনে। তাঁদের অনেকেই আবার চেনাশোনা না থাকলে সই দিতে চান না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সত্যায়িত করা হয় ভুয়া সিল ও জাল সই ব্যবহার করে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে, এখন থেকে নির্ধারিত একটি ফরমে আবেদন করতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের। চার কপি রঙিন ছবি ছাড়া আবেদনের সময় আর কোনো কাগজপত্র দিতে হবে না। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার সময় ছবি ও মূল কাগজপত্র দেখা হবে।
আবেদনের সঙ্গে সত্যায়িত কাগজপত্র দিতে হবে না। শুধু অঙ্গীকারনামায় প্রার্থীকে স্বাক্ষর করতে হবে, যেখানে বলা থাকবে, ‘ওপরে বর্ণিত তথ্যাবলি সম্পূর্ণ সত্য। মৌখিক পরীক্ষার সময় উল্লিখিত তথ্যগুলো প্রমাণের জন্য সব মূল সনদ ও রেকর্ডপত্র উপস্থাপন করব। কোনো তথ্য অসত্য প্রমাণিত হলে আইনানুগ শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য থাকব।’
সরকারি চাকরির বাইরে অন্য ক্ষেত্রেও তা অনুসরণ করা হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সঙ্গে সত্যায়িত কাগজপত্র ও সনদ চাওয়া ইতিমধ্যে বন্ধ করেছে। পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় (প্রিলিমিনারি) টিকলে লিখিত পরীক্ষার আগে কাগজপত্র জমা দিতে হয়। ওই সূত্রের মতে, মোট আবেদনকারীর মধ্যে ১০ জনে গড়ে নয়জন প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়েন। তখন প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীর বিভিন্ন সনদ ও তথ্যপ্রমাণ চাওয়া হয়।
এদিকে শ্রেণি তুলে দিয়ে গ্রেডের ভিত্তিতে সরকারি চাকরিজীবীদের মর্যাদা নিরূপণ করা হলে সত্যায়িত করার কাজ কে করবেন তা পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মাঠপর্যায়ে কর্মরত একজন বিসিএস কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাঁর ধারণা বিসিএস পরীক্ষার আবেদনে ৯০ ভাগের বেশি সনদ প্রকৃত কর্মকর্তাকে দিয়ে সত্যায়িত করা হয় না।
বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো সনদ ও নম্বরপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি চাওয়া হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কয়েক বছর আগে প্রথম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মোবাইল ফোনে খুদেবার্তার মাধ্যমে ভর্তি শুরু করে। সেখানে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া শিক্ষার্থীর মূল সনদ দেখার সিদ্ধান্ত হয়। সম্প্রতি আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ বছর কলেজে ভর্তি হয়েছে অনলাইনে, যেখানে আগেভাগে সনদ দিতে হয়নি।
শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, অনলাইনে কলেজে ভর্তির এই অভিজ্ঞতা শিক্ষার অন্য স্তরে ভর্তির জন্য কাজে লাগানো যেতে পারে। তাঁর মতে, দেশের সর্বস্তরের ভর্তি অনলাইনে করা সম্ভব, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হয়রানি অনেকটাই কমাতে পারে।
বিস্তারিত পড়ুন

টিউশন ফি’তে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার প্ল্যাকার্ড হাতে রাজধানীর রাস্তায় ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলশিক্ষার্থীরা

টিউশন ফি’তে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার প্ল্যাকার্ড হাতে রাজধানীর রাস্তায় ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলশিক্ষার্থীরা
টিউশন ফি’তে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার প্ল্যাকার্ড হাতে রাজধানীর রাস্তায় ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলশিক্ষার্থীরা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

বিস্তারিত পড়ুন

পিতা পলাতক তাই দুই বছরের শিশু ১৮ ঘণ্টা থানা হাজতে

পিতা পলাতক তাই দুই বছরের শিশু ১৮ ঘণ্টা থানা হাজতে

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) উপজেলা সংবাদদাতা : শিশুদের সুরক্ষায় দেশে যথেষ্ট আইন থাকলেও মহেশপুর থানা পুলিশের কাছে সে আইনের কোন মূল্য নেই। তাই থানার টিএসআই আমির হোসেন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে না পেয়ে তার নিরপরাধ স্ত্রী ও দু’বছরের শিশুকে ধরে এনে থানা হাজতে রেখেছেন। নিরপরাধ মায়ের সাথে শিশু পুত্রকে গতকাল বেলা ৩টা পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টা হাজতে পুরে রাখা হয়। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা থানা হাজতে গিয়ে ছবি তুললে তাদের ছেড়ে দিতে তৎপর হয় পুলিশ।এলাকাবাসী জানান, মহেশপুর থানার টিএসআই আমির হোসেন বুধবার রাত ৯টার সময় ভালাইপুর গ্রামের বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামী আজব আলীর পুত্র রাজুুুকে গ্রেফতার করার জন্য তার বাড়ীতে হানা দেয়। কিন্তু রাজুকে না পেয়ে তার স্ত্রী লিপি খাতুন (২৭) ও শিশু পুত্র আলিফ (০২) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর তাদেরকে অন্যান্য আসামীদের সাথে হাজতে রাখা হয়। এ ব্যাপারে টি এস আই আমির হোসেন জানান, আসামী রাজুকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে আটক করে ওসির নির্দেশেই হাজতে রাখা হয়েছে।এদিকে রাত ৮টায় টি এস আই আমির হোসেন তার পূর্বে দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে বলেন, আসামী রাজুকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নাটিমা এলাকার একটি বাড়ী থেকে আটক করে হাজতে রাখা হয় এবং দুপুর আড়াইটার সময় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।অন্যদিকে মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, নাটিমা এলাকার লোকজন অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার সন্দেহে লিপি খাতুনকে তার শিশুসহ আটক করে পুলিশে দেয়। যাচাই করে দেখা যায়, সে তার স্বামী পলাতক আসামী রাজুর সাথেই একত্রে অবস্থান করছিল।
বিস্তারিত পড়ুন

সাদার্নে আইন বিভাগের নবীনবরণ

সাদার্নে আইন বিভাগের নবীনবরণ
 নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
4সাদার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ৩৫তম ব্যাচের নবীন বরণ ও ২৩তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান আজ মঙ্গলবার ইউনিভার্সিটির হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।আইন বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর মো. মহিউদ্দিন খালেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাদার্ন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা জনাব সরওয়ার জাহান। আরও উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের প্রধান মো. আতিকুর রহমান, বিভাগের শিক্ষকবৃন্দসহ শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব সরওয়ার জাহান নবীনও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের উপর নির্ভর করছে সাদার্ন ইউনিভার্সিটির সুনাম ও ঐতিহ্য কারণ দেশ ও দেশের বাইরে তোমরাই প্রতিনিধিত্ব করবে ইউনিভার্সিটি হয়ে। তোমাদের সফলতা মানে সাদার্নের সফলতা। তাই নিজের মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আপন লক্ষ্যে এগিয়ে যাও । আর এতে প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী উভয়ের কাঙ্খিত লক্ষ্য ও খ্যাতি অর্জিত হবে।
আইন বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর মো. মহিউদ্দিন খালেদ বলেন, তোমরা যে লক্ষ্য নিয়ে সাদার্ন ইউনিভার্সিটি ভর্তি হয়েছো আশা করি তোমাদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের সহযোগিতার কোনো কমতি থাকবে না। তবে স্বপ্ন পূরণের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিজ প্রচেষ্টা , অধ্যাবসায় ও সময়ের সঠিক ব্যবহার। আমার বিশ্বাস তোমরা এসব মেনেই আপন লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের প্রধান মো. আতিকুর রহমান। নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একাডেমিক কার্যক্রমের উপর পরামর্শমূলক আলোচনা করেন বিভাগের শিক্ষক সুরাইয়া মমতাজ, মো. মুর্তজা ইসলাম তারেক, মো. ইয়াছিন ও রোকসানা আকতার। পরে ২৩তম ব্যাচের বিদায়ী শিক্ষার্থীরা র‌্যাগ ডে উদযাপন করে।
বিস্তারিত পড়ুন

নৌকা ও স্রোত সংক্রান্ত অংক ৩০ সেকেন্ডে করার টিপস!

নৌকা ও স্রোত সংক্রান্ত অংক ৩০ সেকেন্ডে করার টিপস!

সাদেকুল ইসলাম : প্রিয় পাঠক, এর আগে কাজ ও শ্রমিক সংক্রান্ত অংক সহজে করার টিপস শেখানো হয়েছিল। বিসিএসসহ নিয়োগ পরীক্ষায় অতি অল্প সময়ে জটিল অংক সমাধান করতে হয়। কিছু টেকনিক জানা থাকলে অংক করা সহজ হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভালো পরীক্ষা দেয়া সম্ভব। আজ আপনাদের দেখাবো অল্প সময়ে সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ডে কিভাবে নৌকা ও শ্রমিক সংক্রান্ত অংকের সমাধান করা যায়।

নিয়ম-১: নৌকার গতি স্রোতের অনুকূলে ঘন্টায় ১০ কিমি. এবং স্রোতের
প্রতিকূলে ২ কিমি.। স্রোতের বেগ কত?
টেকনিক-১ :
স্রোতের বেগ = (স্রোতের অনুকূলে নৌকার বেগ স্রোতের প্রতিকূলে নৌকার বেগ) /২
= (১০ – ২)/২
= ৪ কি.মি.
নিয়ম-২: একটি নৌকা স্রোতের অনুকূলে ঘন্টায় ৮ কি.মি. এবং স্রোতের প্রতিকূলে ঘন্টায় ৪
কি.মি. যায়। নৌকার বেগ কত?
টেকনিক-২ নৌকার বেগ = (স্রোতের অনুকূলে নৌকার বেগ+স্রোতের প্রতিকূলে নৌকার বেগ)/২
= (৮ + ৪)/২
= ৬ কি.মি.
নিয়ম-৩: নৌকা ও স্রোতের বেগ ঘন্টায় যথাক্রমে ১০ কিমি. ও ৫ কিমি.। নদীপথে ৪৫ কিমি. পথ একবার যেয়ে ফিরে আসতে কত সময় লাগবে?
টেকনিক-৩
স্রোতের অনুকূলে নৌকারবেগ = (১০+৫) = ১৫ কিমি.
স্রোতের প্রতিকূলে নৌকার বেগ = (১০-৫) = ৫ কিমি.
মোট সময় = [(মোট দূরত্ব/অনুকূলে বেগ) +(মোট দূরত্ব/প্রতিকূলে বেগ)]
= [(৪৫/১৫) + (৪৫/৫)]
= ৩ + ৯
= ১২ ঘন্টা
নিয়ম-৪: একজন মাঝি স্রোতের অনুকূলে ২ ঘন্টায় ৫ কিমি. যায় এবং ৪ ঘন্টায় প্রথম
অবস্থানে ফিরে আসে। তার মোট ভ্রমণে প্রতি ঘন্টায় গড় বেগ কত?
টেকনিক-৪
গড় গতিবেগ = (মোট দূরত্ব/মোট সময়)
= (৫+৫)/(২+৪)
= ৫/৩ মাইল
নিয়ম-৫: এক ব্যক্তি স্রোতের অনুকূলে নৌকা বেয়ে ঘন্টায় ১০ কিমি. বেগে চলে কোন স্থানে গেল এবং ঘন্টায় ৬ কিমি. বেগে স্রোতের প্রতিকূলে চলে যাত্রারম্ভের স্থানে ফিরে এল।
যাতায়াতে তার গড় গতিবেগ কত?
টেকনিক-৫
গড় গতিবেগ = 2mn/(m+n)
= (২ x ১০ x ৬)/(১০+৬)
= ১৫/২ কি.মি
আজ এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে নতুন কোন টেকনিক নিয়ে। ভালো থাকবেন সবাই। সেপর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন।

বিস্তারিত পড়ুন

আপনার জন্মতারিখ আপনার সম্পর্কে কী বলে? জেনে নিন খুব সহজে

আপনার জন্মতারিখ আপনার সম্পর্কে কী বলে? জেনে নিন খুব সহজে

gonokআমরা সকলেই জানি সকল মানুষ একই ধরণের হন না। একেকজন মানুষের ব্যক্তিত্ব এবং সত্ত্বা আলাদা থেকে। যে কারণে সকলে একই রকমের চিন্তা ভাবনা করতে পারেন না বা করেন না। কিন্তু প্রশ্ন হলো কে কোন ধরণের মানুষ হবেন তা কি আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে যায়? মানুষের মধ্যকার আচার আচরণ জিনগত বৈশিষ্ট্য থেকে আসে।
জ্যোতিষীরা বলেন মানুষের আচার আচরণ এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ওপরে জন্মতারিখের এক ধরণের প্রভাব রয়েছে। অনেকেই এই ধরণের কথার ওপর বিশ্বাস রাখেন না। কিন্তু একই জন্মগত তারিখের মানুষদের মাঝে আসলেই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বেশ কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। বিশ্বাস না হলে চলুন দেখে নেয়া যাক আপনার জন্মের তারিখের সাথে আপনার চারিত্রিক মিল খুঁজে পাওয়া যায় কিনা। আসুন, মিলিয়ে দেখি!
আপনার জন্ম তারিখ যদি ১, ১০, ১৯, ২৮ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ১
আপনার জন্ম তারিখ যদি ২, ১১, ২০, ২৯ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ২
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৩, ১২, ২১, ৩০ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৩
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৪, ১৩, ২২, ৩১ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৪
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৫, ১৪, ২৩ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৫
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৬, ১৫, ২৪ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৬
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৭, ১৬, ২৫ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৭
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৮, ১৭, ২৬ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৮
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৯, ১৮, ২৭ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৯
জন্ম সংখ্যা ১ হলে
আপনি অনেক উচ্চাভিলাষী এবং জেদি ধরণের একজন মানুষ। নিজেকে প্রতিনিয়ত উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবার জন্য আপনি অনেক কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। বর্তমানে যদি বেশি সফলতা নাও পান তবে আপনার হাতে সফলতা নিশ্চিত ভাবেই আসবে। আপনি মোটেও স্বার্থপর নন।কিন্তু মানুষ আপনাকে অনেক গম্ভীর ভেবে আপনার সাথে বেশ কম মেলামেশা করেন এবং আপনাকে স্বার্থপর ভেবে থাকেন। আপনি কাউকে ভালোবাসলে অনেক বেশি ভালোবাসেন। এমনকি সকল ভুল মাফ করে ভালবাসতেও আপনি পারেন। আপনাকে বুঝার মতো কম মানুষই রয়েছে পৃথিবীতে।
জন্ম সংখ্যা ২ হলে
আপনি অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। মাঝে মাঝে আপনি সততার জন্য অনেক বিপদেও পরে থাকেন তারপরও আপনি সৎ থাকাই ভালো মনে করেন। আপনি নিজের দায়িত্বজ্ঞান সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন। মানুষ আপনাকে একজন বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু ভাবেন। মানুষ খুব সহজেই আপনাকে বিশ্বাস করে। এবং আপনি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখেন।আপনি একই সাথে বেশ মজার একজন মানুষ এবং আপনার চিন্তাধারা আর দশজনের তুলনায় খুবই আধুনিক।
জন্ম সংখ্যা ৩ হলে
আপনি অনেক আত্মকেন্দ্রিক একজন মানুষ।নিজের নতুন নতুন চিন্তা ও তত্ত্ব আপনার কাছে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।আপনি নিজের এইসকল চিন্তাভাবনা নিয়ে অনেকটা সময় পার করে দেন। তবে সবচাইতে ভালো কথা হচ্ছে চিন্তা ভাবনা করে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক স্মার্ট চিন্তাশীল মানুষ বলা চলে। তবে আপনার সিদ্ধান্তটি অনেক মানুষের কাছে গ্রহন যোগ্য নাও হতে পারে। এমনটা হলেও আপনি আপনার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
জন্ম সংখ্যা ৪ হলে
আপনি পুরোপুরি দর্শন তত্ত্বে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আপনি অনেক বেশি আবেগিও বটে। আপনার চিন্তাভাবনা আপনার বন্ধু বান্ধব এবং অন্য সবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আপনার মধ্যে ইনটুইশন ক্ষমতা আছে।অনেক ধরনের ঘটনা ঘটার আগে থেকেই আঁচ করে ফেলার ক্ষমতা আপনার আছে।মানুষ বেশিরভাগ সময় আপনাকে ভুল বুঝে দূরে চলে যায়।আপনি কোন ধরণের মানুষ তা মানুষজন একেবারেই বুঝতে পারে না।এমনকি পরিবারের অতি আপনজনও আপনাকে আপনার প্রাপ্য সম্মান দিতে পারেন না।
জন্ম সংখ্যা ৫ হলে
আপনি বেশ ‘ডমিনেটিং’ স্বভাবের একজন মানুষ।আপনি আত্মনির্ভরশীলটা এবং স্বাধীনতা অনেক বেশি পছন্দ করেন। আপনি নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করেন।অনেক ক্ষেত্রেই আপনি ভাবেন ‘সব কিছু আমার মতো করে হতে হবে’। আপনি নিজে অনেক বেশি স্বাবলম্বী। আপনি আপনার নিজের ও পছন্দের মানুষের জন্য অনেক বেশি কষ্ট করতে পারেন।তবে যদি তারা আপনার কথা মতো চলেন।
জন্ম সংখ্যা ৬ হলে
আপনি অনেক বেশি হাসিখুশি এবং সেনসিটিভ স্বভাবের।মানুষ আপনাকে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন। আপনি প্রায় সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি।আপনার আন্তরিকতা ও ভালোবাসামাখা আচার আচরণের কারনে সবাই আপনার সঙ্গ পছন্দ করে।তবে একই সাথে আপনার সেনসিটিভ স্বভাবের কারণে মানুষজন কিছুটা দূরে দূরে থাকেন। আপনি নিজেকে প্রতিনিয়ত আরও বেশি চিন্তা ভাবনায় উন্নত করতে চান।আপনি ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করতে চান। আপনি মানুষকে অনেক বেশিই ভালোবাসেন।
জন্ম সংখ্যা ৭ হলে
আপনি একজন হাসিখুশি ও উদ্বেগহীন মানুষ। আপনি একই সাথে সমঝোতায় বিশ্বাসী একজন মানুষ।আপনি একজনের ভালো করলে সেও আপনার ভালো করবে এই ধরণের চিন্তা করেন আপনি। আপনি খুব ভালো একজন শ্রোতা। আপনি আপনার সকল আপনজনের কাছে জনপ্রিয় এই কারণে যে আপনি সকলের হাসিমুখ দেখতে পছন্দ করেন।অনেক বেশি সমস্যা ও দুশ্চিন্তাও আপনি ঝেড়ে ফেলে তা সমাধানের চেষ্টা করতে পারেন।আপনাকে কোন ধরনের চিন্তা ও উদ্বেগ স্পর্শ করতে পারে না।সব কিছু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে আপনার।
জন্ম সংখ্যা ৮ হলে
আপনি অনেক চার্মিং ও এনার্জেটিক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একজন মানুষ।আপনি খুব ঘুরে বেড়ানো পছন্দ করেন।‘জীবন একটিই, যতোটা মজা করে নেয়া সম্ভব করে নেয়া উচিৎ’ এই ধরণের চিন্তা করেন আপনি। আপনার মধ্যে কোনো মেকি ভাব নেই। আপনি যেমন ঠিক তেমনই সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেন এবং করতে পছন্দ করেন।মানুষজন বেশীরভাগ সময় আপনার সোজাসাপ্টা কথা বলার ধরন অপছন্দ করে থাকে।কিন্তু আপনি নিজের চিন্তাটাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
জন্ম সংখ্যা ৯ হলে
আপনি খুব ভাগ্যে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আপনি জীবনকে সৃষ্টিকর্তার উপহার হিসেবে দেখেন। কারন আপনি অনেক আশাবাদী একজন মানুষ। আপনি জীবনে যা চেয়েছেন তার বেশিরভাগি পেয়েছেন এবং পাবেন বলে আশা করেন। যে কারণে আপনি নিজের ভাগ্যের ওপর ভরসা করে চলতেই বেশি পছন্দ করেন। এবং আপনি আপনার পাওয়া নিয়ে গর্ববোধ করেন সবসময়। আপনি আপনার আপনজন জন্য অনেক কিছুই করে থাকেন।আপনার পথ অনেকেই অনুসরণ করেন।
বিস্তারিত পড়ুন

জেনে নিন নামজারির বিভিন্ন ধাপ

জেনে নিন নামজারির বিভিন্ন ধাপ

নামজারি কাকে বলে?
ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়। কিন্তু নিজ নাম খতিয়ানভূক্ত করার পক্রিয়াটি পদ্ধতিগত। পদ্ধতি জানা না থাকলে আপনি জমির দখলকার বা মালিক হওয়া স্বত্বে সরকারি রেকর্ডে আপনার নাম নেই। ফলে সৃষ্টি ভূমি বিরোধ এবং মামলা-হামলা সহ নানান জটিলতা। তাই, যেভাবেই আপনার জমির নামজারি খতিয়ান করে নিন সর্বাগ্রে। নিম্মে নামজারির সহজ পদ্ধতি ছক আকারে দেওয়া হল;
namjari


বিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশে ভূমিকম্প হলে কী করবেন, সবার জানা উচিৎ !

বাংলাদেশে ভূমিকম্প হলে কী করবেন, সবার জানা উচিৎ !

nepal_earthquak_manক. ভূমিকম্প শুরু হলে কী করবেন?

বাংলাদেশে ভূমিকম্প টের পেলেই মানুষ দৌড়ে বাইরে চলে যায়। এর আগেও কয়েকবার দেশে ভূমিকম্পের সময় শুনেছি, সবাই রাস্তায় বের হয়ে আসে। সম্ভবত প্রচলিত ভুল ধারণা যেটা, সবাই ভাবে বিল্ডিং লম্বালম্বিভাবে ধ্বসে পড়বে, সুন্দরভাবে এক ফ্লোরের উপর আরেক ফ্লোর স্তরে স্তরে, আর বিল্ডিংয়ের পাশেই রাস্তাটা থাকবে ঝকঝকে চকচকে, একদম আগের মতোই।
বাস্তব ঘটনা তা না। ঢাকা শহরের মতো ঘন জনবসতি আর দালানে-পিলারে-সাইনবোর্ডে-ইলেকট্রিক তারে ঘিঞ্জি একটা জায়াগায় ভূমিকম্পের সময় বাইরে বের হওয়া মানে মোটামুটি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া।
আজকের নেপালের ছবিগুলো দেখুন, রাস্তার দুপাশে বিল্ডিংয়ের কাঠামোগুলো খা খা করে দাঁড়িয়ে আছে; শুধু দেয়ালগুলো ভেঙে গিয়ে সব ইট, কাঠ, কংক্রিট স্লাব আর কাঁচের টুকরো রাস্তায় স্তুপ হয়ে আছে। কিছু বিল্ডিং হেলে গেছে, ওগুলোর থেকে ভেঙে পড়া ইটপাথরও আশপাশের রাস্তায় জমেছে। ওগুলো সব পড়ার সময় উঁচু দালান থেকে ছিটকে পড়েছে, অনেকটা পাঁচতালার ছাদ থেকে বিশ কেজি পাথর ফেলে দিলে যেমন হবে তেমন। এক্ষেত্রে শুধু ফারাকটা হলো, একটা পাথর পড়বেনা, একের পর এক পড়তে থাকবে কিছুক্ষন ধরে। বাংলাদেশে ভূমিকম্প হলেও ঘটনাগুলো পুরোপুরি এরকমই হবে।
তাই ভূমিকম্প টের পেলে সবার আগে যেটা করবেন, তা হলো, আপনার গায়ে যাতে কিছু না এসে পড়ে। চিন্তা করুন, ভূমিকম্পের সময় আপনি যে দালানটিতে আছেন, সেটা যদি ভেঙেই পড়ে, তবে তারও অনেক আগেই আপনার ফ্লোরের ওপর শোকেস, টিভি, হাঁড়ি-পাতিল, প্লেট খোরা আর ঘরের অন্যান্য সব ভারী ভারী জিনিস পড়তে থাকবে। কাজেই আপনার প্রথম কাজ হলো, এসবের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা; আরো ভেঙে বললে, মাথাটাকে রক্ষা করা।
সবচেয়ে নিরাপদ হলো ডাইনিং টেবিল বা খাটের নিচে ঢুকে পড়া। একটা প্রোটেকশন নেয়া। আরেকটু পরিস্কার করে বললে, আপনার চারপাশে যেন একটা খোলামেলা ত্রিমাত্রিক স্পেস থাকে। বিল্ডিং হেলে পড়ুক আর ধ্বসে পড়ুক, এই স্পেসটা পরবর্তিতে আপনার উদ্ধার হবার সম্ভাবনাকে অনেকগুন বাড়িয়ে দেবে।
আরো কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।
১. ভূমিকম্প হলে সবাই মিলে কোথায় ঢুকবেন সেটা আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন। বড় ডাইনিং টেবিল থাকলে সেটার নিচেই সবচেয়ে ভালো। উঁচু খাট থাকলে সেটাও খুব ভালো, বিশেষ করে ম্যাট্রেস (চাপ শোষন করবে) আর শক্ত পাটাতন থাকলে তো কথাই নেই।
২. আর লাগবে ভূমিকম্প সারভাইবাল কিট — মিনিমাম, একটা টর্চ লাইট, দুই পাউন্ড টোস্ট বিস্কিট আর এক বোতল পানি। এগুলোকে আশ্রয় নেয়ার জন্য ঠিক করা জায়গাটার ধারেকাছে কোথাও রাখুন, যাতে ভূমিকম্পের সময় আশ্রয় নিলে হাতের নাগালে থাকে।
৩. বড় ভূমিকম্প একবার হয়েই শেষ না, কয়েকদিন ধরে বারবার হয়। মাঝে মাঝে আফটারম্যাথ মুল ভূমিকম্পের চেয়ে ভয়াবহ হতে পারে। কাজেই একবার বড় ভূমিকম্প হলে পরের কয়েক রাতে ঘুমানোর সময় মাথার কাছে একটা কাঁথা রাখুন, সময়মতো সবচেয়ে জরুরি মাথাটাকে ঢেকে রাখুন।
৪. ভূমিকম্পে আগুন ছড়ায়, বাংলাদেশে কাঠের বাড়ি কম বলে এটার সম্ভাবনা একসময় কম ছিলো, কিন্তু এখন যেরকম ঘিঞ্জি ইলেকট্রিক আর গ্যাসের লাইন, এক জায়গায় আগুন লাগলে দাবানল হয়ে যাবে। সবচেয়ে মারাত্নক হলো গ্যাস, এক বাসায় আগুল লাগলে, মুহুর্তে আশপাশের বাসায় গ্যাসের লাইনের মাধ্যমে সেটা ছড়িয়ে পড়বে। কাজেই প্রয়োজনের সময়টুকু ছাড়া, বাকী সময় গ্যাসের মেইন সুইচ অবশ্যই বন্ধ রাখবেন।

খ. ভূমিকম্প শেষ হলে কী করবেন?

ভূমিকম্প মানে এই না যে, জমিন নড়ে উঠলো, বাড়ী ভেঙে পড়লো, ভেঙে পড়ার আগেই বাড়ি থেকে বের হয়ে বেঁচে গেলাম – মামলা ডিসমিস। ঝামেলা শুরু হয় এর পরে।
একটা উদাহরণ দেই। আজকের কাঠমান্ডুতে এখন যারা বেঁচে আছেন তাদের কী অবস্থা? একটু পরপর একটা করে ভূমিকম্প আসছে, সবাই নতুন করে আতংকিত হয়ে উঠছে। ধ্বংস হয়ে গেছে এমন কিছু এলাকার ভিডিও দেখলাম টিভিতে, একটু পর পর জমিন নড়ে উঠে, আর ধ্বংসাবশেষের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো হুড়মুড় করে এদিক ওদিক ছুটে গিয়ে আশ্রয় নিতে চেষ্টা করছে।
বড় মাত্রার ভূমিকম্পের সবচেয়ে বড় ভয়াবহতা হলো, এর পর সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। পানি, গ্যাস, ইলেকট্রিসিটি — সব বন্ধ হয়ে যাবে। বাংলাদেশে সম্ভবত আন্ডারগ্রাউন্ড পানি আর গ্যাসের পাইপগুলো ভেঙে এলোমেলো হয়ে যাবে, সাপ্লাই পুনরায় শুরু করতে কয়েক সপ্তা লেগে যেতে পারে। ইলেকট্রিক পাইপ ভেঙে, তার পেঁচিয়ে কী লংকা কান্ড বাঁধবে, কল্পনা করাও দুরূহ। ফোনলাইন বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা খুব বেশি, মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও বিকল হবার সম্ভাবনা খুবই জোরালো।
শুধু পানি, গ্যাস, ফোন, ইলেকট্রিসিটি টাইপের লাইফলাইন না, অন্য সব কিছুও বন্ধ হয়ে যাবে। যেমন অনেক জায়াগায় রাস্তা দুভাগ হয়ে যাবে। আপনি নিরাপদ কোথাও যেতেও পারবেননা। যেহেতু আক্রান্ত এলাকায় কম্পন চলতেই থাকবে, কাজেই রাস্তার যেটুকু চলার উপযোগি থাকবে, সেটুকু ভরে যাবে গাড়িতে, রিক্সায়। সবাই সাধ্যমতো চাইবে এই এলাকা ছাড়ি। কিন্ত কতদূর?
আরো বড় যে সমস্যাটা , সেটা হলো প্যানিক। যে দোকানগুলোতে জিনিসপত্র কেনার মতো অবস্থা থাকবে, সেগুলোর কী দশা হবে ভাবুন। শতশত মানুষ ভীড় জমাবে, সবাই চাইবে যত বেশী সম্ভব এটা ওটা কিনে মজুত করি।
আরো সমস্যা আছে, এই প্যানিকের সময় গুজব ছড়াবে অসংখ্য। সেটার আফটারইফেক্ট কতদূর যাবে তা নির্ভর করবে পুরোই আপনার ভাগ্যের ওপর, মানে, গুজবটা কতটুকু ফ্যাটাল আর সেটা শুনে আপনি কতটুকু মাথা ঠান্ডা রাখতে পারছেন তার ওপর।
সমস্যার শেষ নেই। বাংলাদেশ স্পেসিফিক কিছু সমস্যাও আছে। যেসব বাড়িঘর খালি রেখে মানুষ নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে যাবে, ওগুলো কতটুকু নিরাপদ থাকবে সেটাও এক প্রশ্ন। যেমন ধরা যাক, যেহেতু কারেন্ট-পানি-গ্যাস সাপ্লাই বন্ধ, আপনার এলাকায় ঠিক হলো যে সবাই মিলে এলাকার প্রাইমারি স্কুলে আশ্রয় নেবে, সেখানে কেন্দ্রীয়ভাবে জেনারেটর আর পানির ব্যবস্থা করা হবে। আপনারা এলাকার সবাই ওখানে গিয়ে তিনদিন থাকলেন। ফিরে এসে দেখবেন হয়তো বাড়িতে বাড়িতে চুরি হয়েছে।
এমনকি, বাংলাদেশের এখন যে অবস্থা, আপনি বাড়ী ছেড়ে কোথাও আশ্রয় না নিলেও দেখা যাবে (এমন বিপন্ন পরিস্থিতিতেও) আপনার বাড়িতে ডাকাতি করতে এসেছে একদল সোনার ছেলে।
এটুক লেখার পর নিজের কাছেই প্রশ্ন জাগলো, আসলে কী বলতে চাইলাম? কারণ, এই সমস্যাগুলোর কী সমাধান আমার জানা নেই।
শুধু আজকের নেপালের চিত্র দেখে মনে হলো, একই রকম অবস্থার বাংলাদেশেও তো ভূমিকম্প হলে কাছাকাছি রকমের ঘটনাই ঘটবে। নেপালের আজকের ভূমিকম্পে ক্যাজুয়ালটি কয়েক হাজার হবে । এর সাথে কয়েক লাখ মানুষ আগামী কয়েকদিন (কয়েক সপ্তা বা মাসও হতে পারে) ভয়ংকরতম দিন পার করবেন। সেখান থেকেও নতুন ক্যাজুয়ালটি হতে পারে।
নেপালের ক্ষেত্রে আক্রান্ত এলাকায় ঢাকার মতো ওমন উঁচু উঁচু বিল্ডিং আর ঘনবসতি নেই। কাজেই ঢাকার ক্ষেত্রে ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংস ও ক্ষতির স্বরূপ নেপালের মতো হবে বলা গেলেও, সেটার স্কেল হবে আরো অনেক মারাত্নক। ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, সেটার স্কেল যত বড় হবে, ভূমিকম্পের পরের ভোগান্তির বেলায় সেটার স্বরূপ আর স্কেল দুটোই হবে তত ভয়াবহ।
এসব সমস্যার কথা মাথায় রেখে আমরা যদি ভূমিকম্পের সময় কী করবো সেটা নিয়ে নিজেরা কিছু আগাম ব্যবস্থা নিয়ে রাখি।
বিস্তারিত পড়ুন

যে ৬টি কাজ অবশ্যই করুন জীবনে আর্থিক বিপদে পড়তে না চাইলে!

যে ৬টি কাজ অবশ্যই করুন জীবনে আর্থিক বিপদে পড়তে না চাইলে!

finan
জীবনের কথা কেউ বলতে পারে না, কখন কোন বিপদ কোনদিক দিয়ে আসবে আমরা কেউই অগ্রিম জানতে পারি না। আর আজকালকার যুগে সবচাইতে বড় বিপদ হচ্ছে আর্থিক বিপদ। অর্থ এমন একটা জিনিস যা আপনার কাছে নেই তো কোন মূল্যই নেই আপনার। একটা বড় অসুখে হোক বা রিটায়ার করার পর, সন্তানের প্রয়োজনে হোক বা অন্য কোন বিপদে, টাকা দরকার কিন্তু সেটা নেই আপনার কাছে। তখন কী করবেন? এমন বিপদে পড়তে না চাইলে এই ৬ টি কাজ অবশ্যই করে রাখুন আর নিশ্চিত করুন আপনার ভবিষ্যৎ।

একটা ইমারজেন্সি ফান্ড

প্রতিমাসে যা উপার্জন করবেন সেখান থেকে কিছু টাকা একটা ব্যাংক অ্যাকাউনটে কমা করিয়ে রাখুন। কিংবা প্রতিমাসে সংসার খরচ থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়েও রাখতে পারেন। যত কমই হোক, রাখুন। এই টাকায় বড় ধরণের বিপদে না পড়লে কখনো হাত দেবেন না। বিন্দু বিন্দু করেই সিন্ধু হয়।

ডি পি এস

নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী একটি ভালো ব্যাংকে ডি পি এস খুলে রাখুন। ৫০০ থেকে শুরু করে পছন্দের যে কোন পরিমাণ টাকা রাখতে পারবেন। প্রতিমাসে জমা দেয়া ঝামেলা মনে হলে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউনট থেকে সরাসরি পরিশোধের ব্যবস্থা করুন।

জীবনবীমা

আমাদের দেশে এখনো ভালোভাবে এর প্রয়োজনীয়তা সকলে বোঝেন না। তবে একটি জীবনবীমা আপনার মৃত্যুর পর যেমন পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তেমনই আপনার জীবিত অবস্থায় মেয়াদ পূর্তি হলে অনেকগুলো টাকার নিশ্চয়তা দেয়।

স্বাস্থ্য বীমা

ভালো কোম্পানিতে একটি মোটামুটি মানের স্বাস্থ্য বীমা হলেও করে রাখুন। কোন বড় অসুখে অনেকটা সাহায্য পাবেন।

রিটায়ার প্ল্যান

নিজের রিটায়ার প্ল্যান এখনই গুছিয়ে রাখুন। অনেক অফিসেই প্রভিডেনট ফান্ড থাকে। কিন্তু যাদের এই সুবিধা নেই, তাঁরা কোন বীমা কোম্পানির রিটায়ার প্ল্যানের সাহায্য নিতে পারেন। অনেক ব্যাংকেরও এমন স্কিম আছে। পছন্দমত বেছে নিন।

নিজের বাড়ি বা জমি

কথায় বলে, জমি কখনো ধোঁকা দেয় না। আসলেই তাই। মাথা গোঁজার জন্য নিজের একটি ঠাই থাকলে জীবনে আর কিছু নিয়ে ভাবতে হয় না। তাই চেষ্টা চালিয়ে যান নিজের একটি বাড়ি বা জমি করার।
বিস্তারিত পড়ুন

আপনি জানেন কি ১৯৭৪ সালের ১ টাকা এখনকার কত টাকার সমান?

আপনি জানেন কি ১৯৭৪ সালের ১ টাকা এখনকার কত টাকার সমান?

takaএক সময় দেশে জমিদারদের বিপুল প্রতাপ-প্রতিপত্তি ছিল। জমিদারের বাড়ির আশপাশ দিয়ে জুতো পায়ে হাঁটার সাধ্য ছিল না কারো। প্রখর রোদে কিংবা অঝোর ধারার বৃষ্টির মধ্যে জমিদারবাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া যেত না ছাতা মাথায় দিয়ে। জমিদারের মুখের কথাই ছিল আইন।
কিন্তু সেকালের কোনো জমিদার জীবনে যে পরিমাণ পয়সা দেখেছেন, একালের দুঃখী ভিখারির ঝুলিতেও থাকে তার চেয়ে বেশি। সে আমলে কয়েক থানা বা মহকুমা এলাকা ঘুরেও একজন কোটিপতির দেখা পাওয়া কঠিন ছিল। এখন পাড়া-মহল্লায় কোটিপতির ছড়াছড়ি, তবুও যেন অনেকটাই নিঃস্ব তারা। চাইলেই কোনো কিছু পাওয়ার ক্ষমতা নেই তাদের। সেকালের পয়সার সঙ্গে একালের টাকার বড় অঙ্কের নোটগুলোর ক্রয়ক্ষমতার ব্যবধানই এখনকার কোটিপতিদের সঙ্গে সেকালের পয়সাওয়ালাদের দূরত্ব নক্ষত্র সমান করে রেখেছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও ২০ টাকায় এক মণ চাল পাওয়া যেত, ১ পয়সায় মিলত চকোলেট। ১৯৭৪ সালে চালের দাম বেড়ে প্রতিমণ ৪০ টাকায় পৌঁছলে দেশজুড়ে হাহাকার শুরু হয়েছিল। এর পরও ধনীর আদুরে দুলালেরা স্কুলে যাওয়ার সময় টিফিন বাবদ বড়জোর ৫০ পয়সা থেকে এক টাকা করে পেত মা-বাবার কাছ থেকে। তা দিয়ে আইসক্রিম, চকোলেট, ঝালমুড়িসহ বেশ কয়েকটি আইটেম মিলত।
গরিব শিশুরা এক পয়সাও পেত না কোনো কোনো দিন। তখনকার মধ্যবিত্তরা পাঁচ পয়সা, ১০ পয়সা দিত বাচ্চাদের টিফিনের জন্য। এখনকার প্রজন্ম এসব কথা রূপকথা ভেবে উড়িয়ে দেয়। কেননা এখনকার ভিক্ষুকরাও দুই টাকার কম নিতে গড়িমসি করে। প্রতি কিলোমিটারে অন্তত দুবার যাত্রী ওঠানামা করায় এমন বাসগুলোর গায়েও মোটা হরফে লেখা থাকে ‘সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা’। আর দূরত্ব আধা কিলোমিটার হলেও ১০ টাকার নিচে ভাড়া কাটার অভ্যাসই নেই কথিত সিটিং বাসগুলোর হেল্পারদের।
বাংলাদেশে টাকার মান নিয়ে হিসাব-নিকাশ করে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে অর্থ বিভাগ। ১৯৭৪-১৯৭৫ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কতটা কমেছে তা জিডিপি ডিফ্লেটর ভিত্তিতে হিসাব করে অর্থবিভাগের তৈরি করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘১৯৭৪-১৯৭৫ অর্থবছরের এক টাকার ক্রয়ক্ষমতা ২০১৪ সালের ১২ টাকা ৪৫ পয়সার ক্রয় ক্ষমতার সমান। অন্যভাবে বলা যায়, ২০১৪ সালের এক টাকার ক্রয়ক্ষমতা ১৯৭৪-৭৫ সালের ৮ পয়সার ক্রয়ক্ষমতার সমান।’ অর্থাৎ ১৯৭৪-৭৫ সালে এক টাকা দিয়ে যা কেনা যেত, এখন সেই পণ্যটিই কিনতে খরচ করতে হবে ১২ টাকা ৪৫ পয়সা। অথবা এখন যে পণ্যটি এক টাকায় পাওয়া যায় ১৯৭৪-৭৫ সালে তা কিনতে লাগত ৮ পয়সা।
অর্থ বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘১৯৭৪-৭৫ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বার্ষিক গড়ে ৭.৩ শতাংশ হারে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এতে সহজেই অনুমান করা যায়, সময় প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি নোট ও কয়েনগুলোর (এক পয়সা থেকে দুই টাকা পর্যন্ত) ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঐতিহ্যের স্মারক সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত মুদ্রাগুলো বাজার থেকে ক্রমেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’
এই প্রতিবেদনের সূত্র ধরেই গত জানুয়ারি মাসে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, এক ও দুই টাকার নোট ও কয়েন থাকবে না। সর্বনিম্ন সরকারি মুদ্রা হবে পাঁচ টাকা। যদিও সমালোচনার মুখে ওই অবস্থান থেকে পরে সরে আসেন অর্থমন্ত্রী।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রফিকুল ইসলাম বলেন, অর্থবিভাগের হিসাবে টাকার মানের যে ক্ষয়চিত্র উঠে এসেছে, বাস্তবে ক্ষয় হয়েছে আরো বেশি। নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে ঢাকার সোবহানবাগ থেকে গুলিস্তানের বাসভাড়া ছিল ৫০ পয়সা। ওই সময় পাঁচ পয়সায় পাঁচটি হজমি কেনা যেত। পাঁচ পয়সায় মিলত একটি সাদামাটা আইসক্রিমও। গ্রামের বরফকলে তৈরি সর্বনিম্নমানের আইসক্রিমও এখন এক টাকার কমে জোটে না। আর তখনকার হজমির চেয়ে এখনকার হজমির মান বেড়েছে, সঙ্গে দামও এক পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে এক টাকায়।
১৯৮৫ সালে ঢাকার সোবহানবাগ থেকে গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায় যেতে রফিকুল ইসলামের মোট খরচ হতো ১২ টাকা। সোবহানবাগ থেকে ৫০ পয়সায় গুলিস্তান যাওয়ার পর সেখান থেকে ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাসে যেতেন ঘোড়াশাল। পরে লঞ্চের দোতলায় সবচেয়ে বিলাসবহুল সিটে বসে দেড় টাকা ভাড়া দিয়ে পৌঁছতেন কাপাসিয়া। এখন সেই কাপাসিয়া পর্যন্ত যেতে তাঁর আর লঞ্চে উঠতে হয় না, কিন্তু ভাড়া গুনতে হয় ১৭০ টাকার মতো।
সেদিনের সেই ‘মূল্যবান’ পয়সার দাম দিন দিন কমে রূপকথার গল্পের যুগে ঠিকানা করে নিয়েছে। এক সময় যে পয়সার এত মূল্য ছিল, কালের পরিক্রমায় এখন তা দিয়ে কোনো পণ্য পাওয়া যায় না। শুধু মোবাইল ফোন কম্পানিগুলোর কাছ থেকে কথা বলার জন্য কয়েক সেকেন্ড সময় পাওয়া যায়। হালে মোবাইল ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে ‘প্রতি সেকেন্ড ১ পয়সা’ জাতীয় সুযোগ দেওয়ার মধ্যে নিহিত রয়েছে পয়সার মূল্য।
তবে পয়সা বা এক টাকা-দুই টাকার ক্রয়ক্ষমতা কমা নিয়ে চিন্তিত নয় সরকার। বরং এসব ব্যাংক নোটের তুলনায় সরকারি মুদ্রার অংশীদারি কমে যাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে অর্থ বিভাগ। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ অনুযায়ী, দুই টাকার কয়েন বা দুই টাকার নোট পর্যন্ত সরকারি মুদ্রা। পাঁচ টাকার নোট ও কয়েন থেকে ১০০০ টাকার নোট পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের। স্বাধীনতার পর মুদ্রাবাজারে মোট টাকার মধ্যে সরকারি মুদ্রার যে অংশ ছিল, দিন দিন তা অনেক কমে গেছে।
১৯৭৪-৭৫ অর্থবছর থেকে ২০১৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বছরওয়ারি ও মাসওয়ারি দেশের অর্থের সরবরাহ, মোট সরবরাহ থাকা অর্থের মধ্যে সরকারি মুদ্রার হার, ১৯৭৪-৭৫ সালে দেশের বাজারে প্রচলিত অর্থের মোট পরিমাণ ছিল ৩১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত নভেম্বর পর্যন্ত এর পরিমাণ ৩০৬ গুণ বেড়ে হয়েছে ৯৭ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা।
এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নোট ও কয়েন ৩৪০ গুণ বেড়ে হয়েছে ৯৬ হাজার ২৮১ কোটি টাকা। কিন্তু এ তুলনায় সরকারি নোট ও কয়েন বাড়েনি। ১৯৭৪-৭৫ সালে বাজারে প্রচলিত নোট ও কয়েনের মধ্যে সরকারি মুদ্রার মূল্যমান ছিল ৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা ২৩ গুণের মতো বেড়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ ৭৯৩ কোটি ৬০ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। আর ১৯৭৪-৭৫ সালে জিডিপির তুলনায় সরকারি মুদ্রার হার ছিল দশমিক ২৭ শতাংশ, ব্যাংক মুদ্রা সরবরাহ বিবেচনায় ২.৬৯ ও বাজেটের অনুপাতে ছিল ৩.২১ শতাংশ। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছর শেষে তা জিডিপির তুলনায় দশমিক ০৬, ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ বিবেচনায় দশমিক ১১ এবং বাজেটের আকারের তুলনায় দশমিক ৩১ শতাংশে নেমেছে।
২০১০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের মুদ্রাবাজারে প্রচলিত মুদ্রার মধ্যে সরকারি মুদ্রার অংশীদারির তথ্য তুলে ধরে অর্থ বিভাগ বলেছে, ‘২০১০ সাল পর্যন্ত (হালনাগাদ তথ্য নেই) বাজারে প্রচলিত মোট মুদ্রার মধ্যে সরকারি মুদ্রার অনুপাত বাংলাদেশের তুলনায় শুধু মিসর ও পাকিস্তানের কম ছিল। অন্যান্য দেশে এই অনুপাত বাংলাদেশের তুলনায় বেশি। ২০১৫ সালের ২ জানুয়ারি ভারতে এই হার ১.৩৬ শতাংশে অবস্থান করছে। অথচ ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশে এই অনুপাত ছিল দশমিক ৮৩ শতাংশ।’
এ অবস্থায় মুদ্রাবাজারে সরকারি মুদ্রার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পাঁচ টাকার কয়েন বা নোটকে ব্যাংক নোটের পরিবর্তে সরকারি মুদ্রা হিসেবে ঘোষণা করতে যাচ্ছে অর্থ বিভাগ। ওই বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, সরকারের ঐতিহ্যের স্মারক এসব মুদ্রাবাজার থেকে ত্রমেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এই অবস্থা প্রতিহত করার জন্য পাঁচ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নোট বা কয়েনগুলো সরকারের মালিকানায় প্রবর্তন করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এটি হলে বর্তমানে মুদ্রাবাজারে মোট মুদ্রার মধ্যে সরকারি মুদ্রার অংশীদারি দশমিক ৮৩ শতাংশ থেকে বেড়ে দেড় শতাংশ হবে। আর পাঁচ টাকা সরকারি মুদ্রা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সরকারের ঋণ কমবে প্রায় ৭৯০ কোটি টাকা।
তবে বর্তমানে বাজারে প্রচলিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচ টাকা মূল্যমানের নোট ও কয়েনগুলো বাতিল করবে না সরকার। বরং পুরনো এসব নোট ও কয়েন প্রতিস্থাপন করবে সরকার প্রবর্তিত নতুন নোট ও কয়েন। ফলে দেশে মোট অর্থের জোগান অপরিবর্তিত থাকবে। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কাও থাকবে না।সূত্রঃ অনলাইন
বিস্তারিত পড়ুন

জেনে নিন জমি জমার পরিমাপ সম্পর্কে

জেনে নিন জমি জমার পরিমাপ সম্পর্কে

এখানে একটি পরিমাপকে বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে কারন প্রত্যেকে যেন যার যার সুবিধা মতে সহজে বুঝতে পারেন।
১ অযুতাংশ = ৪ বর্গফুট ৫২.৩৬ বর্গ ইঞ্চি।
১ ছটাক = ৪৫ বর্গফুট।
—————————————–
১ শতাংশ =৪৩৫ বর্গফুট ৬৫.৪৫ বর্গ ইঞ্চি।
১ শতাংশ = ১০০ অযুতাংশ।
৫ শতাংশ = ৩ কাঠা। = ১৩০৬.৮ বর্গফুট ।
১০ শতাংশ = ৬ কাঠা। = ৪৩৫৬ বর্গফুট ।
—————————————–
১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট।
১ কাঠা = ৮০ বর্গগজ।
১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ।
১ কাঠা = ১৬ ছটাক।
২০ কাঠা = ১ বিঘা।
৬০.৫ কাঠা = ১ একর।
—————————————
১ বিঘা = ১৪,৪০০ বর্গফুট।
১ বিঘা = ১৬০০ বর্গগজ।
১ বিঘা = ২০ কাঠা ।
১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ।
—————————————
১ একর = ১০০ শতাংশ।
১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক।
১ একর = ৬০.৫ কাঠা।
————————————–
চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের জন্য নিন্মের হিসাবটা একটু বেশী কাজে লাগবে।
১ গন্ডা = ৮৭১ বর্গফুট।
১ গন্ডা = ২ শতাংশ।
১ গন্ডা = ১.২১ কাঠা।
২০ গন্ডা = ১ কানি ।
১ কানি = ১৬,৯৯০ বর্গফুট।
১ কানি = ৩৯ শতাংশ।
১ কানি = ২৩.৫ কাঠা।
১ কানি = ২০ গন্ডা।
———————————————
সুতরাং এবার আপনি নিজেই হিসাব করে দেখুন আপনার ক্রয়কৃত বা পৈত্রিক জায়গা-জমি বা ফ্ল্যাটের আয়তন কত?
নিন্মে কিছু সব সময় আলোচনা হয় এমন জমি বা ফ্ল্যাটের আয়তন বা পরিমাপ সর্ম্পকে ধারনা দেওয়া হলোঃ-
১. একটি ৩ কাঠার প্লটে মোট জমির পরিমাপ হয়= ২১৬০ স্কয়ার বর্গফুট।
২. একটি ৫ কাঠার প্লটে মোট জমির পরিমাপ হয়= ৩৬০০ স্কয়ার বর্গফুট।
৩. একটি ১০ কাঠার প্লটে মোট জমির পরিমাপ হয়= ৭২০০ স্কয়ার বর্গফুট।
এখন আপনি ভেবে দেখুন আপনি কত স্কয়ার বর্গফুটের বাসা তৈরী করবেন। বর্তমানে রাজউক ও অন্যান্য বিভাগীয় শহরের ইমারত নিমার্ণ আইনে প্রায় এক তৃতীয়াংশ জায়গা খালি রাখতে হয়। তাহলে এই এক তৃতীয়াংশ জায়গা খালি রেখে আপনি যে প্লট কিনেছেন তাতে কত স্কয়ার বর্গফুটের একটি বাড়ী তৈরী করা যাবে তা ভেবে দেখুন। অর্থাৎ আপনি ৩ কাঠার প্লটে ১৪৪০ স্কয়ার বর্গফুটের বাড়ী করে বাকী ৭২০ স্কয়ার বর্গফুট জায়গা খালি রাখতে হবে বাড়ীর চারপাশে ড্রেন ও আলো বাতাসের জন্য।
ধরুন বর্তমানে যারা ফ্ল্যাট কেনেন তাদের ক্ষেত্রে– যেমন:-
১. ৯০০ স্কয়ার বর্গফুটের ফ্ল্যাটে সিড়ি, ফ্ল্যাটের সামানে, সাইডে, পিছনের জায়গা বাদ দিয়ে টিকবে ৬০০ থেকে ৬৫০ স্কয়ার বর্গফুট ।
২. ১২০০ স্কয়ার বর্গফুটের ফ্ল্যাটে সিড়ি, ফ্ল্যাটের সামানে, সাইডে, পিছনের জায়গা বাদ দিয়ে টিকবে ৭৮০ থেকে ৮৫০ স্কয়ার বর্গফুট ।
৩. ১৬০০ স্কয়ার বর্গফুটের ফ্ল্যাটে সিড়ি, ফ্ল্যাটের সামানে, সাইডে, পিছনের জায়গা বাদ দিয়ে টিকবে ১২০০ থেকে ১২৫০ স্কয়ার বর্গফুট ।
বিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে, ভূল থাকলে অথবা নতুন পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন?

জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে, ভূল থাকলে অথবা নতুন পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন?

10733995_1508651892717669_846059673620738457_n
জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, ভূল থাকলে অথবা নতুন পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন?
পরবর্তিতে মনে রাখার জন্য শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে সেভ করে রাখুন ।
আমরা অনেকেই জাতীয় পরিচয়পত্রের বিভিন্ন ভূলভ্রান্তি নিয়ে বিভিন্ত ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার যারা নতুন পরিচয় পত্র করতে চাই তারাও এ বিষয়ে অনেক অজ্ঞ। কিভাবে করব, কোথায় কবর, কি কি লাগবে ইত্যাদি বিষয়ে। আর এ সমস্যা সমাধানের জন্য নিন্ম পদ্ধতি অনুসরণ করলে আশা করি সবাই উপকার পাবেন।
পরিচয়পত্রে নিজের নাম, পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী ও অভিভাবকের নাম, জন্মতারিখ, রক্তের গ্রুপ এবং ঠিকানা সংশোধন কিংবা বদল করতে হতে পারে। এ জন্য প্রার্থীকে সাদা কাগজে ‘ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্প’- এর পরিচালকেরকাছে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্প কার্যালয়ে পাওয়া ছক বা ফরমেও করা যায়। ফরম পূরণ করে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দেওয়ার পর সেখান থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (প্রাপ্তি নম্বরসংবলিত) দেওয়া হয়। এতে সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার তারিখ উল্লেখ থাকবে। এই তারিখের সাত দিনের মধ্যে কাউন্টার থেকে সংশোধিত পরিচয়পত্র নিতে হবে। নাম সংশোধনঃ কেউ পরিচয়পত্রে থাকা নিজের নাম, পিতা, স্বামী কিংবা মাতার নাম সংশোধন করতে চাইলে তাকে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে
১। এসএসসি বা সমমান সনদ,
২। নাগরিকত্ব সনদ,
৩। জন্মনিবন্ধন সনদ,
৪। চাকরির প্রমাণপত্র,
৫। পাসপোর্ট,
৬। নিকাহনামা এবং
৭। পিতা, স্বামী কিংবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত এসব নথি অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা নথির যার যেটি আছে, শুধু সেটি দিলেই চলবে। যেমন, যার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির কম, তাকে এসএসসি বা সমমানের সনদের ফটোকপি জমা দিতে হবে না। আবার কেউ যদি চাকরি না করেন, তাকে চাকরির প্রমাণপত্র দিতে হবে না। আবার পাসপোর্ট না থাকলে তা দেওয়ার দরকার নেই।
নাম পরিবর্তনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম বদল করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত ফটোকপি (শিক্ষাগত যোগ্যতা এর নিচে হলে দেওয়ার দরকার নেই), বিবাহিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট এবং জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত নাম পরিবর্তনসংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের কপি। নাম পরিবর্তনের জন্য প্রার্থীকে শুনানির দিন প্রকল্পের কার্যালয়ে কাগজপত্রের মূল কপিসহ হাজির হতে হবে।
স্বামীর নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়াঃ
বিয়ের পর কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামীর নাম যুক্ত করতে চাইলে তাকে কাবিননামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আর বিবাহবিচ্ছেদের কারণে স্বামীর নাম বাদ দিতে চাইলে আবেদনকারীকে তালাকনামার সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তনঃ
পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তন করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সনদ অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড। পিতা বা মাতার পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা বা মাতা বা উভয়ে মৃত হলে দিতে হবে ভাই বা বোনের পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা-মাতার নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিতে পারেন।
জন্মতারিখ সংশোধনঃ
যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের, তাদের আবেদনপত্রের সঙ্গে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। বয়সের পার্থক্য অস্বাভাবিক না হলে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়। অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সনদের মূল কপি প্রদর্শন কিংবা ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে হতে পারে। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের কম, তাদের জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার আগের তারিখে পাওয়া সার্ভিস বুক বা এমপিওর কপি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম সদন, নিকাহনামা, পাসপোর্টের কপি প্রভৃতি। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা প্রকল্প পরিচালক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া দরকার হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়।
ঠিকানা সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার এলাকা বদল করার সুযোগ আছে। তবে সারা বছর সেই সুযোগ মেলে না। এটা শুধু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় করা যাবে। বর্তমানে হালনাগাদ করার কাজটি করা হয় শুধু জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ থাকে না কেন, জানতে চাইলে প্রকল্পের কমিউনিকেশন অফিসার দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের দেশে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়। দেখা যায়, একই বছর একাধিক নির্বাচন হয়। একই বছরে কেউ যাতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে না পারেন, তাই সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ দেওয়া হয় না।’ হালনাগাদ করার সময় ভোটার এলাকা বদল করতে হলে নতুন ঠিকানার উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস থেকে দেওয়া ফরম-১৩ অথবা ফরম-১৪ পূরণ করে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তবে ঠিকানা পরিবর্তন না করে সংশোধন (বানান, বাড়ির নম্বর, সড়ক নম্বর ভুল থাকলে) করার সুযোগ ঢাকার প্রকল্প কার্যালয়ে রয়েছে।
এ ছাড়া স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা এর কোনো তথ্য সংশোধনেরও সুযোগ আছে। ঠিকানার ছোটখাটো ভুল সংশোধন বা স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের সুযোগ সারা বছরই থাকে। এ জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিতে হবে পরিবারের কোনো সদস্যের পরিচয়পত্রের কপি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বিলের যেকোনো একটির কপি বা কর দেওয়ার কপি। আরও জমা দিতে হবে চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ওই ঠিকানায় নিজের নামে বা পিতা বা মাতার নামে থাকা জমি বা ফ্ল্যাটের দলিলের সত্যায়িত ফটোকপিও জমা দিতে হবে।
রক্তের গ্রুপ সংশোধনঃ
রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে হলে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
বিবিধ সংশোধনঃ জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো নামের আগে পদবি, উপাধি, খেতাব ইত্যাদি সংযুক্ত করা যাবে না। পিতা বা স্বামী বা মাতাকে মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যুর সনদ দাখিল করতে হবে। জীবিত পিতা বা স্বামী বা মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।
হালনাগাদ কর্মসূচির পরিচয়পত্র সংশোধনঃ
২০০৯ সালে হালনাগাদ কর্মসূচির সময় যাদের নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ভুল থাকলে বা হারিয়ে গেলে তাদের ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলেঃ
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় ভোটার নম্বর বা আইডি নম্বর উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এরপর জিডির মূল কপিসহ প্রকল্প কার্যালয় থেকে নেওয়া ছকের আবেদনপত্র নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
যাঁরা এখনো পরিচয়পত্র ওঠাননিঃ
ঢাকা সিটি করপোরেশনের যেসব বাসিন্দা (ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর থানা ছাড়া) ২০০৭-০৮ সালে পরিচয়পত্রের জন্য সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন, কিন্তু সেটি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়ে আর আনেননি, তাঁরা প্রকল্প কার্যালয়ে গিয়ে মূল প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে সেই পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ডিসিসির বাইরে ঢাকা জেলার অন্যান্য উপজেলা বা থানার বাসিন্দা কিংবা দেশের অন্য কোনো জেলার বাসিন্দারা পরিচয়পত্র নির্দিষ্ট সময়ে না উঠিয়ে থাকলে, তাঁদের প্রাপ্তি রসিদ সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মন্তব্যসহ প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। তাঁদের মূল প্রাপ্তি রসিদ প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র গ্রহণ করতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে তাঁদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
অভিবাসীরা যেভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেনঃ
অভিবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার সুযোগ আছে। এ জন্য তাঁদের অবশ্যই দেশে আসতে হবে। তাঁদের থাকতে হবে পাসপোর্ট। আর তাতে বাংলাদেশে আসার সিল (অ্যারাইভাল সিল) থাকতে হবে। কারও যদি পাসপোর্ট না থাকে, তবে তাঁকে এমন কোনো কাগজ দেখাতে হবে, যেটা প্রমাণ করে যে তিনি বিদেশে ছিলেন। পাসপোর্ট বা সেই প্রমাণপত্র নিয়ে তাঁকে যেতে হবে তাঁর থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া এবং ভোটার হওয়ার আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। সেখানে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবেদনকারীকে ফরম ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র নিয়ে আসতে হবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেই দপ্তর থেকে সব কাগজপত্র ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে থাকা ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের দপ্তরে। তবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে কাগজপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষ করে আবেদনকারী সেগুলো হাতে হাতে নিয়ে আসতে পারেন প্রকল্পের কার্যালয়ে। এখানে আবেদনকারীর ছবি তোলা হবে, নেওয়া হবে হাতের ছাপ ও চোখের (আইরিশ) স্ক্যান। এসব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আবেদনকারীকে প্রাপ্তি রসিদ দেওয়া হবে। তাতে আবেদনকারীকে ১৫ দিন পর আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্পের দপ্তর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হবে। তখন অবশ্যই প্রাপ্তি রসিদ আবেদনকারীর সঙ্গে থাকতে হবে।
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে হলেঃ
বাংলাদেশে কারও বয়স ১৮ বছর হলেই কেবল তিনি ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারেন। দেশের প্রতিটি উপজেলায় সার্ভার স্টেশন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এসব স্টেশনে ভোটার তালিকা তৈরি ও বিতরণের কাজ করা হবে। এগুলোয় কার্যক্রম শুরু হলে যখন যাঁর বয়স ১৮ বছর হবে, তখন তিনি ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারবেন। এখন ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া মাত্রই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সুযোগ থাকছে তাঁদেরই, যাঁদের চিকিৎসা, পড়াশোনা বা কাজের জন্য বিদেশে যেতে হবে। এ জাতীয় কোনো প্রয়োজনীয়তার প্রমাণ দেখাতে হবে।
যোগাযোগঃ ভোটার তালিকাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে যোগাযোগ করতে হবে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলার কার্যালয়ে।
পরবর্তিতে মনে রাখার জন্য শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে সেভ করে রাখুন ।
বিস্তারিত পড়ুন

সংগ্রহে রাখুন তথ্যগুলোঃ জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে, ভুল থাকলে অথবা নতুন করতে গেলে কি করবেন?

সংগ্রহে রাখুন তথ্যগুলোঃ জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে, ভুল থাকলে অথবা নতুন করতে গেলে কি করবেন?

IDজাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, ভুল থাকলে অথবা নতুন পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন? এছাড়াও অনেককেই জাতীয় পরিচয়পত্রের বিভিন্ন ভুলভ্রান্তি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার যারা নতুন পরিচয়পত্র করতে চান তারাও এ বিষয়ে অনেকে অজ্ঞ। কিভাবে করব, কোথায় করব, কি কি লাগবে ইত্যাদি বিষয় জানেন না। আর এ সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে আশা করি সবাই উপকার পাবেন।
পরিচয়পত্রে নিজের নাম, পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী ও অভিভাবকের নাম, জন্মতারিখ, রক্তের গ্রুপ এবং ঠিকানা সংশোধন কিংবা বদল করতে হতে পারে। এ জন্য প্রার্থীকে সাদা কাগজে ‘ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্প’- এর পরিচালকেরকাছে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্প কার্যালয়ে পাওয়া ছক বা ফরমেও করা যায়।
ফরম পূরণ করে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দেওয়ার পর সেখান থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (প্রাপ্তি নম্বরসংবলিত) দেওয়া হয়। এতে সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার তারিখ উল্লেখ থাকবে। এই তারিখের সাত দিনের মধ্যে কাউন্টার থেকে সংশোধিত পরিচয়পত্র নিতে হবে।
নাম সংশোধনঃ কেউ পরিচয়পত্রে থাকা নিজের নাম, পিতা, স্বামী কিংবা মাতার নাম সংশোধন করতে চাইলে তাকে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে-
১। এসএসসি বা সমমান সনদ
২। নাগরিকত্ব সনদ
৩। জন্মনিবন্ধন সনদ
৪। চাকরির প্রমাণপত্র
৫। পাসপোর্ট
৬। নিকাহনামা
৭। পিতা, স্বামী কিংবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত এসব নথি অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা নথির যার যেটি আছে, শুধু সেটি দিলেই চলবে। যেমন, যার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির কম, তাকে এসএসসি বা সমমানের সনদের ফটোকপি জমা দিতে হবে না। আবার কেউ যদি চাকরি না করেন, তাকে চাকরির প্রমাণপত্র দিতে হবে না। আবার পাসপোর্ট না থাকলে তা দেয়ার দরকার নেই।
নাম পরিবর্তনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম বদল করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত ফটোকপি (শিক্ষাগত যোগ্যতা এর নিচে হলে দেয়ার দরকার নেই), বিবাহিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট এবং জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত নাম পরিবর্তনসংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের কপি। নাম পরিবর্তনের জন্য প্রার্থীকে শুনানির দিন প্রকল্পের কার্যালয়ে কাগজপত্রের মূল কপিসহ হাজির হতে হবে।
স্বামীর নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়াঃ
বিয়ের পর কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামীর নাম যুক্ত করতে চাইলে তাকে কাবিননামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আর বিবাহবিচ্ছেদের কারণে স্বামীর নাম বাদ দিতে চাইলে আবেদনকারীকে তালাকনামার সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তনঃ
পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তন করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সনদ অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড। পিতা বা মাতার পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা বা মাতা বা উভয়ে মৃত হলে দিতে হবে ভাই বা বোনের পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা-মাতার নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিতে পারেন।
জন্মতারিখ সংশোধনঃ
যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের, তাদের আবেদনপত্রের সঙ্গে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। বয়সের পার্থক্য অস্বাভাবিক না হলে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়। অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সনদের মূল কপি প্রদর্শন কিংবা ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে হতে পারে। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের কম, তাদের জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার আগের তারিখে পাওয়া সার্ভিস বুক বা এমপিওর কপি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম সদন, নিকাহনামা, পাসপোর্টের কপি প্রভৃতি। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা প্রকল্প পরিচালক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া দরকার হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়।
ঠিকানা সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার এলাকা বদল করার সুযোগ আছে। তবে সারা বছর সেই সুযোগ মেলে না। এটা শুধু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় করা যাবে। বর্তমানে হালনাগাদ করার কাজটি করা হয় শুধু জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ থাকে না কেন, জানতে চাইলে প্রকল্পের কমিউনিকেশন অফিসার দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের দেশে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়। দেখা যায়, একই বছর একাধিক নির্বাচন হয়। একই বছরে কেউ যাতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে না পারেন, তাই সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ দেওয়া হয় না।’ হালনাগাদ করার সময় ভোটার এলাকা বদল করতে হলে নতুন ঠিকানার উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস থেকে দেওয়া ফরম-১৩ অথবা ফরম-১৪ পূরণ করে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তবে ঠিকানা পরিবর্তন না করে সংশোধন (বানান, বাড়ির নম্বর, সড়ক নম্বর ভুল থাকলে) করার সুযোগ ঢাকার প্রকল্প কার্যালয়ে রয়েছে।এ ছাড়া স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা এর কোনো তথ্য সংশোধনেরও সুযোগ আছে। ঠিকানার ছোটখাটো ভুল সংশোধন বা স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের সুযোগ সারা বছরই থাকে। এ জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিতে হবে পরিবারের কোনো সদস্যের পরিচয়পত্রের কপি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বিলের যেকোনো একটির কপি বা কর দেওয়ার কপি। আরও জমা দিতে হবে চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ওই ঠিকানায় নিজের নামে বা পিতা বা মাতার নামে থাকা জমি বা ফ্ল্যাটের দলিলের সত্যায়িত ফটোকপিও জমা দিতে হবে।
রক্তের গ্রুপ সংশোধনঃ
রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে হলে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
বিবিধ সংশোধনঃ 
জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো নামের আগে পদবি, উপাধি, খেতাব ইত্যাদি সংযুক্ত করা যাবে না। পিতা বা স্বামী বা মাতাকে মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যুর সনদ দাখিল করতে হবে। জীবিত পিতা বা স্বামী বা মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।
হালনাগাদ কর্মসূচির পরিচয়পত্র সংশোধনঃ
২০০৯ সালে হালনাগাদ কর্মসূচির সময় যাদের নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ভুল থাকলে বা হারিয়ে গেলে তাদের ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলেঃ
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় ভোটার নম্বর বা আইডি নম্বর উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এরপর জিডির মূল কপিসহ প্রকল্প কার্যালয় থেকে নেওয়া ছকের আবেদনপত্র নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
যারা এখনো পরিচয়পত্র ওঠাননিঃ
ঢাকা সিটি করপোরেশনের যেসব বাসিন্দা (ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর থানা ছাড়া) ২০০৭-০৮ সালে পরিচয়পত্রের জন্য সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন, কিন্তু সেটি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়ে আর আনেননি, তারা প্রকল্প কার্যালয়ে গিয়ে মূল প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে সেই পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ডিসিসির বাইরে ঢাকা জেলার অন্যান্য উপজেলা বা থানার বাসিন্দা কিংবা দেশের অন্য কোনো জেলার বাসিন্দারা পরিচয়পত্র নির্দিষ্ট সময়ে না উঠিয়ে থাকলে, তাঁদের প্রাপ্তি রসিদ সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মন্তব্যসহ প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। তাঁদের মূল প্রাপ্তি রসিদ প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র গ্রহণ করতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে তাঁদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
অভিবাসীরা যেভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেনঃ
অভিবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার সুযোগ আছে। এ জন্য তাঁদের অবশ্যই দেশে আসতে হবে। তাঁদের থাকতে হবে পাসপোর্ট। আর তাতে বাংলাদেশে আসার সিল (অ্যারাইভাল সিল) থাকতে হবে। কারও যদি পাসপোর্ট না থাকে, তবে তাঁকে এমন কোনো কাগজ দেখাতে হবে, যেটা প্রমাণ করে যে তিনি বিদেশে ছিলেন। পাসপোর্ট বা সেই প্রমাণপত্র নিয়ে তাঁকে যেতে হবে তাঁর থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া এবং ভোটার হওয়ার আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। সেখানে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবেদনকারীকে ফরম ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র নিয়ে আসতে হবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেই দপ্তর থেকে সব কাগজপত্র ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে থাকা ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের দপ্তরে। তবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে কাগজপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষ করে আবেদনকারী সেগুলো হাতে হাতে নিয়ে আসতে পারেন প্রকল্পের কার্যালয়ে। এখানে আবেদনকারীর ছবি তোলা হবে, নেওয়া হবে হাতের ছাপ ও চোখের (আইরিশ) স্ক্যান। এসব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আবেদনকারীকে প্রাপ্তি রসিদ দেওয়া হবে। তাতে আবেদনকারীকে ১৫ দিন পর আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্পের দপ্তর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হবে। তখন অবশ্যই প্রাপ্তি রসিদ আবেদনকারীর সঙ্গে থাকতে হবে।
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে হলেঃ
বাংলাদেশে কারও বয়স ১৮ বছর হলেই কেবল তিনি ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারবেন। দেশের প্রতিটি উপজেলায় সার্ভার স্টেশন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এসব স্টেশনে ভোটার তালিকা তৈরি ও বিতরণের কাজ করা হবে। এগুলোয় কার্যক্রম শুরু হলে যখন যার বয়স ১৮ বছর হবে, তখন তিনি ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারবেন। এখন ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া মাত্রই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সুযোগ থাকছে তাদেরই, যাদের চিকিৎসা, পড়াশোনা বা কাজের জন্য বিদেশে যেতে হবে। এ জাতীয় কোনো প্রয়োজনীয়তার প্রমাণ দেখাতে হবে।
যোগাযোগঃ 
ভোটার তালিকাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে যোগাযোগ করতে হবে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলার কার্যালয়ে।
বিস্তারিত পড়ুন

আমেরিকান ভিসা প্রসেসিংয়ের খুঁটিনাটি

আমেরিকান ভিসা প্রসেসিংয়ের খুঁটিনাটি

আমেরিকান ভিসা প্রসেসিংয়ের খুঁটিনাটি

usavisaআপনি কি আমেরিকা যেতে ইচ্ছুক? অনেকের কাছেই স্বপ্নের শহর আমেরিকা।তবে আমেরিকা যাওয়া এখন ভীষণ কঠিন।
বর্তমান যুগে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে তবেই আমেরিকার ভিসা আবেদন করতে হয়। অন্য যেকোন দেশের নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করা ও কাজ করার অনুমতি প্রদান করা হয় ইমিগ্রান্ট ভিসার মাধ্যমে। শুধুমাত্র ডাইভার্সিটি ভিসা ব্যতীত সকল ইমিগ্রান্ট ভিসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের নাগরিকত্ব এবং অভিবাসন সার্ভিসের মাধ্যমে http://www.uscis.gov আবেদন জমা দিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ইমিগ্রান্ট ভিসা তাদের জন্য বরাদ্দ যারা:
-যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক বা বৈধভাবে বসবাস কারীদের নিকট আত্মীয়।
-যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃক নির্ধারিত পদের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা সম্পন্ন লোকজন।
সাক্ষাৎকারের সময়ঃ
জন্ম, বিবাহ, তালাক, মৃত্যু এবং পুলিশ সনদের মূল এবং ফটোকপির সাতে এক সেট ফটোকপি নিতে হয়। ফটোকপিগুলো রেখে মূলকপিগুলো দিয়ে দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কাগজপত্রের পাঠযোগ্য না হলে পুনরায় সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।আবেদনপত্রের সাথে জমা দেয়া কাগজপত্র দূতাবাস থেকে ফেরৎ দেয়া হয় না।আবেদনপত্রের সাথে বাংলা কাগজপত্রের ইংরেজী অনুবাদ কপি জমা দিতে হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজ
পাসপোর্ট: পাসপোর্টের মেয়াদ ভিসা ইস্যুর তারিখ থেকে আট মাস থাকতে হয়; ছবি: প্রত্যেক আবেদনকারীর দু’কপি ইমিগ্রেন্ট/ডিভি ছবি ইমিগ্রান্ট ভিসার আবেদন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করতে হয়;  নিবন্ধনকৃত জন্ম ও মৃত্যু সনদপত্র; তালাক/ বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিলপত্র; মেডিকেল রিপোর্ট; ভরন-পোষণের এফিডেভিট বা এফিডেভিট অব সাপোর্ট; আয়কর রিটার্ন;পারিবারিক সম্পর্কের প্রমাণ পত্র; পিটিশনারের বর্তমান বাসস্থানের প্রমাণ;পুলিশ সন
ফি
যদি এজেন্ট ভিসা প্রক্রিয়াকরনের ফি দিয়ে থাকে তাহলে আবেদনকারীকে ফি দিতে হয় না।এজেন্ট ফি না দিলে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ বাবদ ২৩০ ইউএস ডলার (সমপরিমাণ টাকা) ফি দিতে হয়। এই ফি নগদ অর্থে পরিশোধ করতে হয়।
বিবাহ সার্টিফিকেট
বাংলাদেশ সিভিল আইন অনুযায়ী সকল বিবাহকে উপযুক্ত বিবাহ নিবন্ধন কারকের সাথে নিবন্ধন করন করতে হয়।মুসলিম বিবাহ: বিবাহ সনদ ও নিকাহ্ নামার জন্য কাজী অফিস বা যিনি বিয়ে পড়িয়েছেন তার সাথে যোগাযোগ করতে হয়। বিবাহ সনদপত্র ও নিকাহনামায় বাংলা বা ইংরেজী কপি ভিসা সাক্ষাৎকারের সময় জমা দিতে হয়।হিন্দু/বৌদ্ধ/খ্রিষ্টান আবেকারীদের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বিবাহ নিবন্ধনকরণ বা পুরোহিত/ গির্জা/ মন্দির হতে সনদপত্র ভিসা সাক্ষাৎকারের সময় জমা দিতে হয়।আবেদনকারী আত্মীয়-স্বজন অথবা পরিবারের সদস্যদের থেকে বিবাহের এফিডেভিট কাগজ গ্রহণযোগ্য হয় না।
মেডিকেল পরীক্ষা
দূতাবাসের অনুমোদিত চিকিৎসক দ্বারা স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে অভিবাসনের বা ইমিগ্রান্টের উপযুক্ত বলে ঘোষিত হতে হয়।  স্বাস্থ্যসম্মত উপযুক্ততার কাগজপত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ পথে দেখাতে হয়।ভিসা সাক্ষাৎকারের আগে নিজ দায়িত্বে ডাক্তারের কাছ থেকে সাক্ষাৎকারের সময় নিতে হয়। ডাক্তারী পরীক্ষার সময় আবেদনকারীর পাসপোর্ট ও একটি করে ফটো সাথে নিয়ে যেতে হয়।
মেডিকেল ফিঃ
১৫ বছরের কম- ১৬০০
১৫ বছরের অধিক-৩০০০
মনে রাখবেন-
কোন টিকা দানের প্রয়োজন হলে ডাক্তারী খরচ বেড়ে যায়।যক্ষা বা অন্যান্য সংক্রামক ব্যধির অস্তিত্ব পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরীতে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে ডাক্তারী পরীক্ষায় ৫ দিনের মধ্যে বাড়তি ফি জমা দিতে হয়।
সকল ইমিগ্রান্টকে সংক্রামক রোগনাশক টিকা অবশ্যই নিতে হয়। এই সকল টিকা অনুমোদিত চিকিৎসকদের কাছে পাওয়া যায়। এই সকল টিকার সুফল ও ঝুঁকি সম্পর্কে ডাক্তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হয়।
ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট সরাসরি কনস্যুলার শাখায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের ৭ দিন আগে ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করতে হয়।১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদেরর যক্ষার স্কিন টেস্ট করতে হয়। এই পরীক্ষার জন্য প্যানেল ডাক্তারের কাছে পরপর তিন দিন যেতে হয়। এই পরীক্ষা সাক্ষাৎকার তারিখের আগে শেষ করতে হয়।ডাক্তারী পরীক্ষায় রিপোর্ট ৬ মাসের বেশী পুরাতন হলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।
ছবি
ভিসা আবেদনকারীর জন্য ২ কপি ২× ২ ইঞ্চি (৫০×৫০ সি.সি) মাপের সাদা বা অফ হোয়াইট ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙ্গিন ছবি হতে হয়। ছবিতে চিবুক থেকে চুলসহ পর্যন্ত মুখের মাপ ১ ইঞ্চি থেকে ইঞ্চির মধ্যে হতে হয়।  ছবিতে দুইকান, দুই চোখ ও সম্পূর্ণ চেহারা ভালোভাবে দেখা যেতে হয়।
আবেদনকারীর মাথা, মুখমন্ডল ও চুলসহ মাথার উপরিভাগ হতে থুতনীর নিচ ভাগ পর্যন্ত এবং উভয় পাশের চুলের রেখা দেখা যেতে হয়। ধর্মীয় ভাবে মাথা ঢাকা বা টুপি পরা ছবি গ্রহণযোগ্য হয় কিন্তু মুখমন্ডল খোলা থাকতে হয়।
গাড় রংয়ের চশমা বা মনোযোগ আকৃষ্ট হয় এমন কিছু পরে ছবি তোলা যায় না। তবে মেডিকেলের কারণে চোখের উপর পট্রি বা আচ্ছাদন দেয়া যেতে পারে।
সামরিক বাহিনী, বিমান কোম্পানী বা অন্য কোন প্রকারের টুপি পরা ছবি গ্রহণ করা যায় না।ছবির উপরিভাগ মসৃন ও চকচকে হতে হয়।
ছবি সাক্ষাৎকার তারিখের ৬ মাসের মধ্যে তুলতে হয় যাতে চেহারার বর্তমান অবস্থা বোঝা যায়।
পুলিশ সার্টিফিকেট
১৬ বা তার চেয়ে বেশি বয়সের আবেদনকারীকে নিম্নে উল্লেখিত পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে পুলিশ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়।

ক) বর্তমান আবাসস্থলের নিকটস্থ থানা থেকে
খ) আবেদনকারী আটক হয়ে থাকলে সেই কর্তৃপক্ষ থেকে
গ) আবেদনকারী যদি আমেরিকা ব্যতীত অন্য কোন দেশে অন্তত একবছর বসবাস করে থাকে তবে সেই দেশের পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সোনালী ব্যাংকে প্রতি সার্টিফিকেট এর জন্য ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়।
পুলিশ সার্টিফিকেট ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এবং বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পর্যালোচিত, অনুমোদিত ও সত্যায়িত হতে হয়। আরো বিস্তারিত জানতে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে হয়। আটক রেকর্ডের পুলিশ সার্টিফিকেট, যাতে আটকের কারণ ও মামলার নিস্পত্তির বিবরণ থাকতে হয়।যেসকল দেশের পুলিশ সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না জানতে ভিজিট করা যেতে পারে এই ঠিকানায় http://travel.state.gov/visa/fees/fees3272.html
জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু সার্টিফিকেট
আবেদনকারীকে তার নিকটস্থ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণ অফিসে যোগাযোগ করতে হয়। যেখানে জন্ম  বা যেখানে মৃত ব্যাক্তিকে দাফন করা হয়েছে।হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডাক্তারের কাছ থেকে মৃত্যু সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য নয়।
আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং প্রতিবেশীর কাছে থেকে নেয়া জন্ম সংক্রান্ত এফিডেভিট বা হলফনামা গ্রহণ করা হয় না। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম যাওয়ার সময় যে জন্ম সনদ ব্যবহার করা হয়েছে তাও আই আর ৫ এম এফ ৪ কেসে জমা দিতে হয়।২১ বছরের কম বয়সী সন্তানদের ক্ষেত্রে জন্ম তারিখের সনদ জমা দিতে হয়। সন্তান অভিবাসী হতে না চাইলে বা অভিবাসী হওয়ার যোগ্য না হলেও জন্ম সনদ জমা দিতে হয়।
বিস্তারিত পড়ুন