নারী শিক্ষার অগ্রগতি ও
সু-শিক্ষিত করার লক্ষে সরকার
নারীদের জন্য
শিক্ষাবৃত্তি, উপবৃত্তি, বিনা
মূল্যে
বই
বিতরণসহ বিবিধ
সুযোগ
সুবিধা
দিয়ে
আসছে। এ
সুযোগ
সুবিধার মধ্যে
উপবৃত্তি ও
শিক্ষাবৃত্তি পেলেও
কুতুবদিয়া সরকারি
বালিকা
উচ্চ
বিদ্যালয় শিক্ষক
স্বল্পতার কারণে
চরমভাবে পাঠদানে কার্যক্রমে বিঘ্নিত হচ্ছে
শিক্ষার্থীদের। কুতুবদিয়া সরকারি
বালিকা
উচ্চবিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে
দেখা
গেছে,
শিক্ষক
স্বল্পতা থাকায়
নবম
শ্রেণীর কাসের
শিক্ষার্থীরা পাঠদানের জন্য
শিক্ষক
না
পেয়ে
চরম
উৎকন্ঠা প্রকাশ
করে। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সূত্রে
জানা
গেছে,
বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান
শিক্ষকসহ ৫
জন
শিক্ষক
দিয়ে
৪’শ ছাত্রীকে পাঠদান
দেয়া
হচ্ছে। বিদ্যালয়টি ১৯৬৮
সনে
প্রতিষ্ঠালগ্নে প্রধান
শিক্ষকসহ ১২
জন
শিক্ষকের পদ
সৃষ্টি
করা
হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৫
সনে
জাতীয়করণ করা
হয়। তখন
থেকেই
শিক্ষক
স্বল্পতা লেগেই
আছে। প্রধান
শিক্ষক,
সহকারি
প্রধান
শিক্ষক,
ইংরেজি
বিষয়ক
শিক্ষক,
সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক
শিক্ষক,
ধর্মীয়
শিক্ষক
(মুসলিম-হিন্দু) কম্পিউটার শিক্ষক,
তথ্য
প্রযুক্তি শিক্ষক,
জীববিজ্ঞান শিক্ষক,
চারুকলা শিক্ষকের পদ
শুন্য
রয়েছে। অবশ্য
সৃষ্ট
পদের
মধ্যে
কম্পিউটার শিক্ষক,
তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষক,
চারুকলা শিক্ষকগুলোর পদ
জন্ম
থেকে
শুন্য
রয়েছে। বর্তমানে প্রধান
শিক্ষকের পদশুন্য থাকায়
সিনিয়র
শিক্ষক
হিসেবে
শরীরচর্চা (বিপিএড)
শিক্ষক
আজিজুল
হক
গত
২০১১
সনের
৩
জানুয়ারী হতে
এ
পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান
শিক্ষকের দায়িত্ব পালন
করে
যাচ্ছেন। গত জুলাই
মাসে
মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর উচ্চতর
যোগ্যতা ভিত্তিতে প্রধান
শিক্ষকের শুন্য
পদে
পদায়ন
করে
সরকারি
মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান
শিক্ষকের পদ
পূরণ
করে। এ
পদায়নের মধ্যে
কুতুবদিয়া সরকারি
বালিকা
উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষকের শুন্য
পদটি
পূরণ
করা
হয়নি। এছাড়া
কর্মরত
৪
জন
শিক্ষকের গড়ে
এক’শ ছাত্রীকে প্রতিদিন পাঠদান
দিতে
হিমসিম
খেতে
হয়
বলে
কর্মরত
শিক্ষকরা জানান।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক
জানান,
কুতুবদিয়া সরকারি
বালিকা
উচ্চবিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন,
প্রশাসনিক ভবন
মারাত্মক ঝুকিঁর্পূণ হয়ে
পড়েছে।
যে
কোন
সময়ে
দূর্ঘটনা ঘটতে
পারে।
একটু
বৃষ্টি
হলে
একাডেমিক ভবন
আর
প্রশাসনিক ভবনের
ছাদ
দিয়ে
পানি
পড়ে
শিক্ষার্থীরা কাস
করতে
পারে
না।
এ
ভবনগুলো মেরামত
ও
পূনঃনির্মাণ করার
জন্য
শিক্ষা
প্রকৌশলী বরাবর
একাধিকবার লিখিত
আবেদন
করা
হলেও
তা
কোন
কাজ
হচ্ছে
না।
এ
প্রতিষ্ঠান থেকে
গত
২০১৪
সনের
এসএসসি
পরীক্ষার্থী ছিল
৪০জন,
পাস
করেছে
৩৯
জন।
জেএসসি
পরীক্ষার্থী ছিল
৪৫
জন,
পাশ
করেছে
৪৪
জন।
৪র্থ
শ্রেণীর ৫
জন
কর্মচারীর মধ্যে
৩
জন
কর্মচারী কর্মরত
আছে।
অফিস
সহকারি
পদটি
দীর্ঘ
একযুগ
ধরে
শুন্য
রয়েছে।
নৈশপ্রহরী না
থাকায়
৪র্থ
শ্রেণীর কর্মচারী সন্টু
শীল
দিবা-নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সূত্রে
আরো
জানা
গেছে,
গত
জুলাই
মাসে
মাধ্যমিক শিক্ষা
অধিদপ্তর কর্তৃক
চট্টগ্রাম সরকারি
মুসলিম
উচ্চবিদ্যালয় হতে
গণিত
বিষয়ের
শিক্ষক
মোঃ
জাফর
আলমকে
কুতুবদিয়া সরকারি
বালিকা
উচ্চবিদ্যালয়ে বদলী
করেন।
এ
বদলী
আদেশের
প্রেক্ষিতে ঐ
শিক্ষক
কুতুবদিয়া সরকারি
বালিকা
উচ্চবিদ্যালয়ে গত
২৪
জুলাই
যোগদান
করে
চলে
যাওয়ার
পর
থেকে
তিনি
কর্মস্থলে ফিরে
আসেনি
বলে
কর্মরত
শিক্ষক
ও
শিক্ষার্থীরা এবং
অভিভাবকবৃন্দ অভিযোগ
করেন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, ঐ শিক্ষক যোগদান করার পর তিন দিনের ছুঠি নিয়ে চলে যাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত কর্মস্থলে ফিরে আসেনি বলে নিশ্চিত করেন।