মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০১৩
স্টাফ রিপোর্টার: সরকার চাইলে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে আলোচনায় রাজি নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো আমার কাছে আসে। আমি তাদের কাছে যাই না। সরকারও যদি আমার কাছে আসে এবং এ ব্যাপারে আমার কথা শুনতে চায়, তাহলে তাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে রাজি আছি। গতকাল দুপুরে মিরপুরের ইউনূস সেন্টারে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যত দিন যাচ্ছে ততই সঙ্কট ঘনীভূত হচ্ছে। দেশে অশান্তির কালো ছায়া দেখা যাচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ অশান্তি চায় না। তারা দেশে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চায়। আজকের যে নির্বাচনের আয়োজন তা দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার আয়োজন। তরুণদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের অর্ধেকই তরুণ। তরুণরা যদি অশান্তি দেখে তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়। তরুণরা বহুবার প্রমাণ করেছে তারা বিশ্বমানের তরুণ। বিশ্বমানের সৃজনশীলতা তাদের মধ্যে রয়েছে। দেশে অশান্তি সৃষ্টি হলে সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ হারিয়ে ফেলবে তারা। তিনি বলেন, আমরা অশান্তি চাই না। আমরা তরুণদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য দেশ রেখে যেতে চাই। ড. ইউনূস বলেন, অনেক পিতা-মাতাই যারা অর্থ-বিত্তশালী তারা তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বাংলাদেশের সব মানুষ তো আর ছেলে-মেয়েদের বিদেশে পাঠাতে পারবেন না। তাদের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা রকম দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। কিভাবে নির্বাচন হতে পারে এ নিয়ে পরিবারের খাবার টেবিলে, অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা হচ্ছে। অনেকে বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে চাইছেন। সমঝোতার মাধম্যে বিরোধী দলকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাইছেন, আবার অনেকে নির্দলীয় সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, দেশে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি দরকার। আগামী প্রজন্মের কাছে কোন বাংলাদেশ রেখে যাবো তা নির্ভর করছে এর উপরেই। তবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে অশান্তি কমবে বলে মনে হয়। সেজন্যই নির্দলীয় সরকারের কথা বলছিলাম। প্রধান দুই দলকে দ্রুত সমঝোতার উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সমঝোতার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে যত দেরি হবে অশান্তি তত বাড়বে। আপনারা দ্রুত সমঝোতায় আসুন। আমাদের শান্তির আশ্বাস দেন। দেশের মানুষের কাছে আবেদন, যে পদ্ধতিতে শান্তি দীর্ঘস্থায়ী হবে সেই আবেদন আমাদের নেতৃবৃন্দকে জানান। তারা যেন আমাদের দীর্ঘস্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করেন।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ২০০৬ সালে বিচারপতি কেএম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করা হয়েছিল। তখন বিচারপতি কেএম হাসানের গায়ে বিএনপির গন্ধ আছে অভিযোগ তুলে নির্বাচনে যায়নি আওয়ামী লীগ। কিন্তু বর্তমানে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা নিজে সরকার প্রধান থেকে তার অধীনে নির্বাচন করার কথা বলছেন। এটা ইতিহাসের সঙ্গে তামাশা। তিনি আরও বলেন, সঙ্কট উত্তরণে নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া উচিত। এ জন্য দেশের ভেতরে ও বাইরে জনমত সৃষ্টি এবং ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে ড. ইউনূসের সহযোগিতা কামনা করছি। অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান কল্যাণ পার্টির নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া সৈয়দ ইবরাহিমের লেখা কয়েকটি বইও উপহার দেয়া হয়। এ সময় কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল মালেক, স্থায়ী কমিটির সদস্য কর্নেল (অব.) মোস্তাক হোসেন চৌধুরী, কাহির মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব এসএম আনিসুর রহমান, মো. ইলিয়াস, ভাইস চেয়ারম্যান, সাহিদুর রহমান তামান্না, কর্নেল (অব.) এম নুরুদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ২০০৬ সালে বিচারপতি কেএম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করা হয়েছিল। তখন বিচারপতি কেএম হাসানের গায়ে বিএনপির গন্ধ আছে অভিযোগ তুলে নির্বাচনে যায়নি আওয়ামী লীগ। কিন্তু বর্তমানে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা নিজে সরকার প্রধান থেকে তার অধীনে নির্বাচন করার কথা বলছেন। এটা ইতিহাসের সঙ্গে তামাশা। তিনি আরও বলেন, সঙ্কট উত্তরণে নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া উচিত। এ জন্য দেশের ভেতরে ও বাইরে জনমত সৃষ্টি এবং ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে ড. ইউনূসের সহযোগিতা কামনা করছি। অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান কল্যাণ পার্টির নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া সৈয়দ ইবরাহিমের লেখা কয়েকটি বইও উপহার দেয়া হয়। এ সময় কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল মালেক, স্থায়ী কমিটির সদস্য কর্নেল (অব.) মোস্তাক হোসেন চৌধুরী, কাহির মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব এসএম আনিসুর রহমান, মো. ইলিয়াস, ভাইস চেয়ারম্যান, সাহিদুর রহমান তামান্না, কর্নেল (অব.) এম নুরুদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।