ঐশীর অন্ধকার জগত


ঐশীর অন্ধকার জগত
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : রাজধানী বাড্ডার জনি নামের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকেই অন্ধকার জগতে পা রাখে ঐশী। বখাটে জনি ওই এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। রাজধানীর বিভিন্ন হোটেল ও ড্যান্স পার্টিতে জনির নিয়মিত যাতায়াত ছিল। ঐশীর মা-বাবাকে হত্যার ঘটনায় জনি ও সাইদুল তাকে সহায়তা করে। সাইদুলকে ঘটনার দিনই প্রথম দেখেছে ঐশী।

তবে এর আগেও জনির মুখে তার নাম শুনেছে। ঐশী দাবি করে, মা-বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা তার ছিল না। 'জনি আর সাইদুলের কারণেই এমন ভয়ানক একটি কাণ্ড ঘটেছে।'

বখাটে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে একটি সম্ভাবনাময়ী তরুণীর জীবন কী ধরনের বিভীষিকাময় অবস্থায় পড়তে পারে, ঐশীর বক্তব্যে বেরিয়ে এসেছে সেই অজানা কথা। মা-বাবাকে হত্যার পর খুনির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ঐশী জিজ্ঞাসাবাদে যত কথা বলছে, ততই বিস্মিত হচ্ছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

ঐশী জানিয়েছে, বছরখানেক আগে ফেসবুকে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মাধ্যমে জনির সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর জনির সঙ্গে ওই বন্ধুর মাধ্যমে একদিন দেখাও হয়। এরপর তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো। পরে ঐশী জানতে পারে, জনি বাড্ডা এলাকায় ইয়াবা সরবরাহ করে। যাদের কাছে জনি ইয়াবা সরবরাহ করে, তাদের অনেকেই স্কুল-কলেজপড়ূয়া। বাড্ডায় তার একটি গানের স্কুলও রয়েছে। মাঝেমধ্যে ড্যান্স পার্টিতে যেত জনি। ড্যান্স পার্টির বিভিন্ন তরুণীকে নিয়ে নিজেই দল গঠন করে। তার দলের সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলের পার্টিতে টাকার বিনিময়ে 'শো' করত।

এ বিষয়ে ঐশী জানায়, 'মানুষের তো সব ধরনের বন্ধু থাকে। ও ছিল এমন বন্ধু, যার কাছে যেন কোনো কিছুই অসম্ভব ছিল না। কোনো কিছু চাইলে মুহূর্তেই নিয়ে হাজির হতো। জনির মধ্যে একটি নেতাসুলভ ভাব আছে। কোনো কিছুতেই সে হার মানে না। ঐশীর অনেক আবদারই জনি পূরণ করে দিত। 

Techvoice template ad banner
Related Posts
Previous
« Prev Post