নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ১৫:৩৮, আগস্ট ২৯, ২০১৩
ফজলুল করিম সর্বশেষ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফজলুল করিম সপরিবারে রামপুরার ৭৫/২ ওয়াপদা রোডের একটি পাঁচতলা ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতেন। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মুখোশপরা তিন অস্ত্রধারী যুবক ওই ভবনের তিনতলার ফ্ল্যাটের সামনে গিয়ে ডোরবেল বাজায়। এ সময় ভেতর থেকে দরজা খুলে দেওয়া হলে সন্ত্রাসীরা বাসার সবাইকে জিম্মি করে একটি ঘরে আটকে রাখে। তারা ফজলুল করিমকে খুঁজতে থাকে। বারান্দায় থাকা ফজলুল করিমকে লক্ষ্য করে দু-তিনটি গুলি ছোড়ে ওই তিন যুবক। গুলিবিদ্ধ ফজলুল করিম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত ফজলুল করিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ফজলুল করিমের মেয়ে ফারজানা করিম খান ঢাকা মেডিকেলে সাংবাদিকদের জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রামকৃষ্ণাদি গ্রামে। গ্রামের বাড়িতে জমিজমা নিয়ে তাঁর চাচা ও চাচাতো ভাইদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরেই তাঁর বাবাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মতিঝিল জোনের উপকমিশনার আশরাফুজ্জামান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সিআইডি আলামত সংগ্রহ করছে। তদন্ত করে সব জানা যাবে। এ মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না। অস্ত্রধারীরা বাসার ভেতর কীভাবে ঢুকেছে বা বের হয়েছে, এ ব্যাপারে কিছু এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।