
রাস্তায় কারো ঘাড়ে ল্যাপটপের ব্যাগ দেখলেই ওদের চোখ চকচক করে ওঠে। টার্গেট কখন তারা ঐ ব্যাগটি ছোঁ মেরে ছিনিয়ে নিবে। এজন্য তারা মোটরসাইকেলে করে ঐ পথচারীর পিছু নেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘাড় থেকে ল্যাপটপের ব্যাগ নিয়ে চোখের নিমিষে মিলিয়ে যায়। এ ভাবেই তারা এক বছর ধরে রাজধানীতে ল্যাপটপ ছিনতাই করছে। আর ছিনতাই করা ল্যাপটপ তারা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্সের দোকানে দেয় বিক্রির জন্য। এরকমই রাজধানীর হাতিরপুল ও পল্টন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩৮টি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে র্যাব। এসব ল্যাপটপ বিভিন্ন কৌশলে তারা ছিনতাই করেছিল। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আসিফ আজাদী (২৩), সাইফুল ইসলাম জনি (২৩) ও মনির হোসেন (৩০)। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ১২৪টি মোবাইল ফোনসেট, ৫৭ হাজার টাকা, ৩ টি আইপট ও ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। র্যাবের মিডিয়া এ্যান্ড লিগ্যাল শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান বলেন, র্যাব-২ এর একটি দল সোমবার দুপুরে হাতিরপুলের ইস্টার্ন প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে আসিফ ও জনিকে দুটি ল্যাপটপসহ গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহূত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম মার্কেটে অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম মার্কেটের ইয়েস টেল ও মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম মার্কেটের নিউ হাবিব ইলেকট্রনিক্স, শাহনূর ইলেকট্রনিক্স ও সুমনা ইলেকট্রনিক্সের গোডাউন থেকে বিভিন্ন সময়ে ছিনতাইকৃত ১২৪টি মোবাইল এবং আরো ৩৬টি ল্যাপটপ, নগদ ৫৭ হাজার টাকা ও ৩টি আইপট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আসিফ ও জনি জানায়, তারা মোটরসাইকেলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। এসময় ফাঁকা কোন রাস্তায় ল্যাপটপ ঘাড়ে নিয়ে কাউকে হেঁটে যেতে দেখলে পিছু নেয়। পরে পরিস্থিতি বুঝে ল্যাপটপের ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। ঐ ল্যাপটপ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও মওলানা হকি স্টেডিয়ামের বিভিন্ন দোকানে দেয়। ল্যাপটপ বিক্রির পর ঐ দোকানদার তাদেরকে টাকা দেয়। গড়ে প্রতিটি ল্যাপটপ থেকে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পায়।
র্যাব-২ এর অপারেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন সময়ে ল্যাপটপ ও মোবাইল ছিনতাই করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।