আসামি হাজির!



আপডেট: ০২:৩৪, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছিল মেসি ও  তাঁর বাবা হোর্হে মেসির বিরুদ্ধেবল পায়ে লিওনেল মেসি আর তাঁকে ঘিরে আছেন প্রতিপক্ষের একদল ডিফেন্ডার। ফুটবল অনুরাগীদের অনেক চেনা দৃশ্য। কত ফুটবল রূপকথার জন্ম হয়েছে এমন দৃশ্য থেকে। কিন্তু এভাবে পুলিশ আর নিরাপত্তাকর্মী বেষ্টিত লিওনেল মেসি (ওপরে বাঁয়ের ছবি), এই দৃশ্য তো কিছুটা অকল্পনীয়ই। বিশ্বের কঠিন থেকে কঠিনতম ডিফেন্ডারদের যিনি ফাঁকি দিতে পারেন চোখের পলকে, সেই মেসি ফাঁকি দিতে পারলেন না স্পেনের কর কর্মকর্তাদের।
ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের আয়কর বিবরণীতে গরমিল। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছিল মেসি ও তাঁর বাবা হোর্হে মেসির বিরুদ্ধে। অভিযোগটা প্রথম ওঠার পর গত জুলাইতে অস্বীকার করেছিলেন জেনেবুঝে কোনো অপরাধ করার কথা, ‘এই বিষয়গুলো আমি দেখাশোনা করি না, আমার বাবাও করেন না। এ জন্য আমাদের আইনজীবীরা আছেন, উপদেষ্টারা আছেন। তাঁরাই সব দেখেন। আমরা তাঁদের বিশ্বাস করি। আশা করি, এর সমাধান হয়ে যাবে।’ অভিযোগ অস্বীকার করলেও এরই মধ্যে জরিমানাসহ স্পেনের কর বিভাগে ৫০ লাখ ইউরো জমা দিয়েছেন। তাতে অবশ্য কর ফাঁকির মামলা থেকে রেহাই মেলেনি। ফলাফল, আদালতের চৌহদ্দিতে পিতা-পুত্র। গতকাল ছিল দুজনের আদালতে হাজিরার দিন। বার্সেলোনার গাভার একটি আদালতে পুলিশঘেরা অবস্থায় হাজিরা দিয়ে ফিরে গেছেন মেসি। সঙ্গে ছিলেন ভাই রদ্রিগো। হোর্হে মেসিএর কিছুক্ষণ আগে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা হোর্হেও (ডানের ছবি)। বিচারকক্ষ রুদ্ধদ্বার ছিল বলে আসলে কী ঘটেছে, সেটা জানতে পারেনি কোনো সংবাদমাধ্যম। মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছিলেন বাবা-ছেলে দুজনই। তবে তাঁদের আইনজীবী জানিয়েছেন, দুজনই জেনেশুনে প্রতারণা করেননি বলে প্রমাণ করতে পেরেছেন। আয়করের ঝামেলা মিটিয়ে
ফেলার ব্যাপারে তাঁদের আন্তরিকতাটুকুও বোঝাতে পেরেছেন।
ফেরার পথে বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের মুখে হাসি আর ‘থাম্বস আপ’ দেখানো একটা বার্তা অবশ্য দিয়েছে। আদালতকক্ষে বিব্রতকর কিছু ঘটেনি, বরং আপাতত কিছুটা নির্ভারই তিনি। এএফপি।

Techvoice template ad banner
Related Posts
Previous
« Prev Post