যেখানে বাংলাদেশের মন্ত্রি মিনিস্টার সবাই ব্যর্থ, যেখানে বাংলাদেশে পেপাল এর কার্যক্রম শুরু করা একদম অসম্ভব সেখান থেকেই শুরু অনন্ত জলিলের। কারন অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তের কাজ। কারন বাংলাদেশে এক সপ্তাহের মধ্যে আসছে পেপাল। আর এর সকল কৃত্বিত্ত্ব বাংলার অলরাউন্ডার অনন্ত জলিলের।
পেছনের ঘটনাঃ এখনকার মেয়েরা ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে। তারা বুঝে গেছে মার্কেট ঘুরে ঘুরে জিনিস পত্র দেখার থেকে অনলাইনে দেখা সহজ। আর মার্কেটে গরম আর জ্যাম। এত কষ্ট কে করে?? এ ছাড়া কোনটা কেমন বয় ফ্রেন্ড কে ফেসবুকে লিঙ্ক পাঠিয়েই উত্তর পাওয়া যায়। এদিকে অনন্ত জলীলের বউ বর্ষার একটি ড্রেস পছন্দ হয়েছে। অর্ডার দিতে গিয়ে দেখে তার কার্ড সাপোর্ট করে না। ওদের শুধু পেপাল সাফোর্ট করে। এ দিয়ে বাংলাদেশে পেপাল নেই। তাই বর্ষা অনন্ত জলিলের কাছে বায়না ধরনে তার পেপাল চাই।
বর্ষার জন্য অনন্ত সব কিছু করতে পারে, হৃদপিন্ড খুলে দিতে পারে। হৃডপিন্ডের মধ্যে ৩ডি মুভি দেখাতে পারে। কারন নিস্বার্থ ভালোবাসাঃwhat is love?? আর এই তো সামান্য পেপাল।
তাই অনন্ত খোজ দ্য সার্চ করে পেপালের প্রধান কার্যালয় গিয়ে উঠে। পেপালের কার্যক্রম শুরু হয় 1998 সালে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু কেন করা হয় নিয় এতে অনন্ত জলিল ক্ষোভ প্রকাশ করে পেপালের প্রধান কার্যালয় Californiaতে যায়। গিয়ে তাদের পিলার ধরে ঝাঁকানি শুরু করায় দ্রুত সবাই বিল্ডিং থেকে নেমে পড়ে। পরে কেন এমন ঝাঁকানি শুরু করছে তা জিজ্ঞেস করায় অনন্ত জলিল বলে “আই অ্যাম নট ফম ঘানা, আই অ্যাম ফম বাংলাদেশ” “ইউ নো, বাংলাদেশে এখনো পেহপাল এখটিভিটি শুরু করে নি। বাংলাদেশ থেকে মেইল করলে মেইল এর রেসপন্স করা হয় না। আর তাই অ্যাাই অ্যাম হেয়ার। এক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশে পেপাল চাই।”
এদিকে পেপালের প্রধান কার্যালয়তে ঝাঁকি দেওয়ার ফলে ছোট খাটো একটা ভুমি কম্প শুরু হয়। পুলিশ বাহিনী মানুষকে সাবধান করতে পথে নেমে দেখে অনন্ত জলিলের কান্ড। পুলিশের কথায় নাক সরি কান না দেওয়ায় পুলিশ এফবিআইকে খবর দেয়। এফবিআই এসে গুলি শুরু করলে অনন্ত জলিল হাল্ক স্টাইলে মারা শুরু করে।। এতে সবাই ভয় পেয়ে যায়। কিছুতেই অনন্তকে থামাতে না পেরে পেপাল থেকে সম্মত হলো যে বাংলাদেশে এক সপ্তাহের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু করবে।
এ কথা শুনে অনন্ত শান্ত হয় এবং বাংলাদেশে উড়াল দিয়ে এসেই একটা প্রেস কনফারেন্স করে।।