আবার দাপটে সিরিজ জয়

আবার দাপটে সিরিজ জয়




অতিথিদের সামনে ২৪৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে মোটামুটি এই সংগ্রহ তাড়া করতে গিয়ে ৪৬ ওভার ৪ বলে ২০৭ রানে অলআউট নিউ জিল্যান্ড। ২০১০ সালের পর আবার অতিথিদের সামনে তাই সব ম্যাচে পরাজয়ের শঙ্কা।
RELATED STORIES
বিস্তারিত পড়ুন

ফের তিন দিনের হরতাল!

ফের তিন দিনের হরতাল!


আবারও টানা তিন দিনের হরতাল দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট। সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আগামী ৪ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত এ হরতাল দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠক এবং বুধবার ১৮ দলীয় জোটের বৈঠকে এ হরতাল দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বৈঠক সূত্র। খবর বাংলানিউজের। শুক্রবার দেশব্যাপী গায়েবানা জানাজা কর্মসূচির সময় এই হরতালের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে জানায় পার্টিসূত্র। উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার বৈঠক শেষে বিএনপি’র বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতার বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো প্রকাশ করে ৪-৬ নভেম্বর দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
বিস্তারিত পড়ুন

নিহতদের পরিবারে কান্না কুতুবদিয়া থমথমে

 নিহতদের পরিবারে কান্না কুতুবদিয়া থমথমে

বিজিবি মোতায়েন, দুটি মামলায় আসামি ১ হাজার ।। নিহতদের পরিবারে কান্না কুতুবদিয়া থমথমে
মো. ছফওয়ানুল করিম ও ছোটন কান্তি নাথ ॥
পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবিরের গোলাগুলিতে চারজন নিহত হওয়ার পর কুতুবদিয়ায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি। এছাড়া র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ও নাম নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি দেখা গেলেও সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ৩ ব্যক্তি নিহত হবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। নিহতরা হলো, দক্ষিণ ধুরুং মূসা সিকদার পাড়ার আবু বকরের পুত্র ইসমাঈল (১৬), লেমশিখালী কাজীর পাড়ার মোহাম্মদ আলমের ছেলে, লবণশ্রমিক আজিজুল হক প্রকাশ আয়েছ (১৪), উত্তর ধুরুং ফয়জানী পাড়ার মৃত ইসমাইল হোছাইনের ছেলে আব বকর প্রকাশ আবু (৫৫)। এ ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছে আরো অন্তত ৩০ জন। এদিকে জামায়াত নিহত ৩ ব্যক্তি তাদের কর্মী বলে দাবি করলেও নিহতের স্বজনদের দাবি তারা কোন রাজনৈতিক কর্মী নয়। নিহতদের নিজেদের কর্মী এবং হত্যার বিচার দাবিতে জামায়াত ইসলামী আজ কক্সবাজার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে। স্থানীয়রা জানান, নিহতদের সবাই দরিদ্র শ্রমিক শ্রেণীর লোক। বাজারে সওদা করতে এসে জামায়াতের মিছিলের মাঝখানে পড়ে তারা পুলিশের গুলির মুখে পড়ে নিহত হয়। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে ঘটে যাওয়া ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় অন্তত ১ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। তন্মধ্যে ৯শ’ জনই অজ্ঞাত হওয়ায় কুতুবদিয়ায়বাসীর মাঝে এখন গ্রেপ্তার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানায়, তিনটি লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, রাতেই জানাজা শেষে তিনজনের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে ঘটনার বিস্তারিত জানতে কুতুবদিয়া পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন ও জেলা পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) তোফায়েল আহমদ (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার)। বিকেলে জেলা প্রশাসক কুতুবদিয়া ত্যাগ করলেও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে রয়েছেন। কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম গতরাত পৌনে আটটার দিকে দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জানমালের নিরাপত্তায় পুরো উপজেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তবে গতকাল বুধবার রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’ ঘটনার বিষয়ে ওসি বলেন, জামায়াত-শিবিরকে সমাবেশ করতে বাধা দেয়ায় তারা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ নিজের জীবন রক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয়।’ ওসি আরো বলেন, সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ৪জন নিহত হওয়ার কথা প্রচার করা হলেও পুলিশ তিনটি লাশ উদ্ধার করতে পেরেছে। অপর একজনের লাশ কেন পাওয়া যাচ্ছে না বা কোথায় রয়েছে তার বিস্তারিত কিছুই বলতে পারেননি তিনি। কুতুবদিয়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল কালাম জানান, মঙ্গলবার হরতাল শেষে সন্ধ্যার দিকে উত্তর ধুরুং বাজারে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সমাবেশের ডাক দেয় জামায়াত-শিবির। অতীতের মতো নাশকতা সৃষ্টির বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পুলিশ সমাবেশ থেকে বিরত থাকতে বলে কয়েকটি মাইক জব্দ করে। এরপর কোন ধরণের উষ্কানি ছাড়াই পুলিশের উপর হামলে পড়ে সশস্ত্র জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ সময় মসজিদের মাইক থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে উষ্কানি ছড়িয়ে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সাথে সাধারণ মানুষ জড়ো করে পুলিশবাহী জিপটি ঘেরাও করে পুলিশ ও আনসারদের ব্যাপক মারধর করে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা । এ সময় থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে গেলেও হামলার শিকার হয়। এরপর থেকে পুলিশ এ্যাকশনে যায় এবং জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ, গোলাগুলি, পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কালাম আরো বলেন, হামলা ও সংঘর্ষের সময় পুলিশের দুটিসহ ৫টি যানবাহন ও অন্তত ২০টি দোকানে আগুন দিয়ে লুটপাট চালায় সশস্ত্র জামায়াত-শিবির কর্মীরা । ঘটনার বিবরণে স্থানীয় চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল-আজাদ বলেন, ‘গতানুগতিকভাবেই পুলিশ জামায়াত শিবিরের মিছিলে হামলা করে গুলি চালালে নিরীহ লোকজন নিহত হয়।’ জামায়াতের উত্তর ধুরুং শাখার আমির সাবেক চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী ও দক্ষিণ ধুরুং শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু সাঈদ বলেন, ‘পুলিশ বিনা কারণে জামায়াত কর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে পাখির মতো ৩ কর্মীকে হত্যা করে।’ ঘটনার বিবরণে ধুরুং বাজার ব্যবসায়ীদের অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘জামায়াত-শিবির মিছিল শেষে সমাবেশ করার জন্য চৌমুহনীতে মাইক লাগাতে গেলে পুলিশ মাইক জব্দ করে নেয়। এসময় পুলিশের সাথে জামায়াত কর্মীদের সাথে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে জামায়াত কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়লে পুলিশ স্থানীয় সজল নাথের দোকান ও শাহাব মিয়ার ভাতের হোটেলে আশ্রয় নেয়। জামায়াত কর্মীরা সেখানে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ৩ ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়।’ ঘটনাস্থলে থাকা কক্সবাজার সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান জানান, হতাহতের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে কুতুবদিয়া থানায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও ৪৫০ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে মোট ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তন্মধ্যে একটি মামলা হয়েছে সন্ত্রাস দমন আইনে। জামায়াত ইসলামী চকরিয়া উপজেলার (দক্ষিণ) সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কুতুবদিয়ায় নির্বিচারে গুলি চালিয়ে দলের ৪জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে পুলিশ। উপর্যপুরি গুলিতে এখনো জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে আরো অন্তত ১০জন। এদের মধ্যে মৌলভী মোহাম্মদ নোমান (৩৫), তাজুল ইসলাম (২৭) ও ফরহাদ (২২) এর অবস্থা আশঙ্কাজনক।’ এদিকে নিহত ইসমাইলের মা নুরুন্নাহার বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শহর থেকে বেড়াতে আসা তার অসুস্থ ছেলে সেদিন ওষুধ কিনতে বাজারে গিয়েছিল।’ সে চট্টগ্রামের একটি শিপ ইয়ার্ডে চাকরি করে বলে জানান তার মা। নিহত আজিজুল হক আয়েছের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পুত্রকে হারিয়ে তার বাবা-মা বাকরুদ্ধ হয়ে আছেন। মাঝে মাঝে কেঁদে উঠেন, তারা কোন কথা বলতে পারছেন না। এলাকার লোকজন জানান, আয়েছ একজন লবণ শ্রমিক। সে মজুরির টাকা নিতে সেদিন বাজারে গিয়েছিলেন। আর ফিরলেন লাশ হয়ে। নিহত আবু আহম্মেদ প্রকাশ আবু পেশায় দিনমজুর। আবুর স্ত্রীর দাবি তার স্বামী রাজনীতি কি জিনিস তা-ই জানতেন না। তিনি বলেন, ‘তাকে নিয়ে কেউ টানাহেঁচড়া করুক তা আমি চাই না।’ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি জামায়াতের : মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ এক বিবৃতিতে কুতুবদিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। একইভাবে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সফল করার লক্ষ্যে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম জোনাল নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিদাতা জোনাল জামায়াত নেতৃবৃন্দ হলেন জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম এমপি ও মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান, সেক্রেটারি জি.এম রহিম উল্লাহ প্রমুখ। চকরিয়া উন্নয়ন ফোরাম চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিকও পৃথক বিবৃতিতে একই দাবি জানান।
বিস্তারিত পড়ুন

কুতুবদিয়ায় সংঘর্ষ তাণ্ডব পুলিশের গুলিতে নিহত ৪

কুতুবদিয়ায় সংঘর্ষ তাণ্ডব পুলিশের গুলিতে নিহত ৪

কুতুবদিয়ায় সংঘর্ষ তাণ্ডব পুলিশের গুলিতে নিহত ৪ ।। গাড়ি ও দোকানে আগুন ভাঙচুরআহত অর্ধশতাধিককাল বৃহত্তর চট্টগ্রামে হরতাল
চকরিয়া প্রতিনিধি ॥
 কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের সাথে বিএনপি-জামায়াতের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে ৪ জন। আহত হয়েছে ৯ পুলিশ ও সংবাদকর্মীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। ১৮ দলের নেতাকর্মীরা পুলিশের জিপসহ পাঁচটি যানবাহন ও দুটি দোকান জ্বালিয়ে দিয়েছে। আরো ২০টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ১৮ দল। নিহতরা হলেন উপজেলার লেমশীখালীর আজিজুর রহমান (২০), উত্তর ধুরুংয়ের আবু আহমেদ (৫৫), দক্ষিণ ধুরুংয়ের মোহাম্মদ পারভেজ (২৪এবং দক্ষিণ ধুরুংয়ের মুছাপাড়ার আবু বকরের ছেলে মো.ইসমাইল (২২)। কক্সবাজার জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি দিদারুল ইসলামকুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরী ও আহত পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো.আবুল কালাম সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে তিনজন মারা যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আরেকটি সূত্রে জানা গেছেজামায়াত তাদের পাঁচজন কর্মী নিহত হয়েছে বলে দাবি করে। তবে এদের একজন মোনোমান চকরিয়ার জমজম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিভিন্ন সূত্র জানায়গতকাল মাগরিবের নামাজের পর উপজেলার উত্তর ধুরুং বাজারে সমাবেশ আহ্বান করে জামায়াত। এতে নাশকতার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় কুতুবদিয়া থানা পুলিশ সমাবেশস্থল থেকে কয়েকটি মাইক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সশস্ত্র নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ৪ জন নিহত হয়। এ সময় থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোআবুল কালাম ও শরিফুল ইসলামসহ ৯জন পুলিশ ও আনসার সদস্য আহত হয়। এছাড়া স্থানীয় সংবাদকর্মী মোহাম্মদ রাসেলসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারী পুলিশকে প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
পুলিশ জানায়হামলাকারীরা পুলিশের জিপটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। অপপ্রচার চালিয়ে তারা স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে তাণ্ডব চালায়। তারা তিনটি মোটর সাইকেল ও আরো একটি জিপসহ দুটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় ২০টি বেশি দোকানে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়থানা ও উপজেলা প্রশাসনিক ভবনে নাশকতা চালানোর জন্য সন্ধ্যার দিকে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা উপজেলার ৬ ইউনিয়নের নারী-পুরুষদের জড়ো করছিল। এ সময় অবরুদ্ধ ছিল কুতুবদিয়া থানার পুলিশ। খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। বিডিনিউজ জানায়মাগরিবের নামাজের পর জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপিকর্মীরা ধুরুং বাজার মসজিদ থেকে মিছিল করতে জড়ো হলে মোটর সাইকেল ও জিপে করে সেখানে পুলিশ যায়। এ সময় জামায়াতকর্মীরা পুলিশের মোটর সাইকেল ও জিপে অগ্নিসংযোগ এবং গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আহমদকুতুবদিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলামসহ অতিরিক্ত পুলিশ। ওই সময় তাদেরও অবরুদ্ধ করে রাখে হামলাকারীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপিমুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান গত রাত ৯টায় আজাদীকে জানাননানা অপপ্রচার চালিয়ে নারী-পুরুষদের জড়ো করে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র কর্মীরা নাশকতা শুরু করে। তারা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে। চকরিয়া ও পেকুয়া থেকে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
কাল হরতাল কুতুবদিয়ায় জামায়াতের ৪ কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহত্তর চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ১৮ দলীয় জোট। ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাত ৯টায় কক্সবাজার সদরচকরিয়ামহেশখালী ও উখিয়ায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। ইসলামী ছাত্রশিবির কক্সবাজার জেলার সভাপতি দিদারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানানআজ বুধবার বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ জেলা সদর ও উপজেলাগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল হবে। বৃহস্পতিবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে পূর্ণদিবস হরতাল পালন করা হবে।
বিস্তারিত পড়ুন

রুবেলের হ্যাটট্রিকে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

রুবেলের হ্যাটট্রিকে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ


মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৫ বলে ২৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।RELATED STORIES
বিস্তারিত পড়ুন

সাকিবের পাঁচ উইকেট

সাকিবের পাঁচ উইকেট

বিস্তারিত পড়ুন

মন্ত্রী জি এম কাদেরকে পদত্যাগের নির্দেশ

মন্ত্রী জি এম কাদেরকে পদত্যাগের নির্দেশ


মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৩, ০৭:১৯ অপরাহ্ন

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার ছোট ভাই জি এম কাদেরকে মহাজোটের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। রোববার প্রধানমন্ত্রীর সাথে গণভবনে বৈঠকের পর দিনই তাকে মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদেরও পদত্যাগপত্র তৈরি করে রেখেছেন। এখন শুধু পার্টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপো বলে পার্টির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে। জাপা সূত্র জানায়, বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের এক মাস আগে থেকেই পদত্যাগপত্র পেশ করার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। তবে সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রা করে চলেনÑ পার্টির এমন বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য নিতান্তই সৌজন্যের খাতিরে হলেও প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর পরই পদত্যাগ না করার জন্য অনুরোধ করায় তিনি আর এগোননি। পদত্যাগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তিনি গতকালের নিয়মিত মন্ত্রিসভা বৈঠকেও যোগ দেননি বলে ওই সূত্রটি জানিয়েছে। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগপন্থী ও মুক্তিযুদ্ধের পরে নেতা হিসেবে জি এম কাদের আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ হলেও সরকারের বেশ কিছু সিদ্ধান্তে তিনি একমত হতে পারেননি। বেশ কয়েক মাস আগে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু নানা চাপে শেষ পর্যন্ত তা করতে পারেননি। তবে জাতীয় পার্টি এখনই মহাজোট ছাড়ছে না। জিএম কাদেরও আরো কিছু দিন সরকারে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেণ করে যাবেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দু-এক দিন আগে এরশাদ মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা দিতে পারেন। ঠিক তার পরেই জিএম কাদেরও পদত্যাগ করবেন। এরশাদের ঘনিষ্ঠ পার্টির একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের সাথে মহাজোটে থাকার জন্য গত বুধবার একটি প্রতিবেশী দেশের অনুরোধ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন এরশাদ। বিদ্যমান বাস্তবতায় তিনি তাদের অনুরোধ বিবেচনা করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রটির দাবি। এ দিকে মহাজোটে থেকেই জাতীয় পার্টির আগামী নির্বাচন করার ব্যাপারে সরকারের দিক থেকে আগ্রহ ও চাপ থাকলেও পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ মনোভাব কাজ করছে। পার্টির নেতাকর্মী ও জনগণের নার্ভ বুজে এরশাদ সাম্প্রতিকালে বলছেন, শেষ বয়সে এসে দালাল হিসেবে জাতির কাছে কলঙ্কিত হতে চাই না। ফলে মতাসীনদের সাথে এরশাদ যে আর থাকছেন নাÑ এটা প্রায় চূড়ান্ত। পার্টির হাতেগোনা কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও তাদের অনুগামীরা এর বিরোধিতা করছেন। এ ছাড়াও রযেছে পাশের একটি বৃহৎ শক্তির চাপ। জাপা সূত্র জানায়, পার্টির একজন প্রভাবশালী নেতা ও তৃতীয় একটি মাধ্যমে এরশাদ বিএনপির সাথে আস্থাশীল সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। বিএনপি তাকে পুরোপুরি আস্থায় না নিলেও মহাজোট থেকে তাকে বের করে আনাই হবে তাদের বড় অর্জন। তবে অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস ঘেঁটে এখনো দোটানায় আছেন এরশাদ। মন চায় মহাজোট ছাড়তে। কিন্তু রিস্ক নিতে সাহস পাচ্ছেন না। যদি অন্য কিছু ঘটে যায়Ñ এই আশঙ্কাও কাজ করছে তার ভেতরে। ফলে প্রধান দুই দলের আচরণে দ্বিধান্বিত এরশাদ ‘একলা চলো নীতি’র কথা বলছেন। এরশাদের ঘনিষ্ঠ একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, বিএনপি না গেলে জাতীয় পার্টির নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বললেও এটি তার শেষ কথা কি নাÑ তা নিয়েও সংশয় রয়েছে তাদের। সরকারের প্রতি মানুষের যে অসন্তোষ রয়েছে, তাতে বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টির যোগ্য প্রার্থীদের ভোটারেরা বিকল্প হিসেবেও বেছে নিতে পারেন। এ আশা থেকেই দলীয়ভাবে নির্বাচন করার বাসনা রয়েছে তার। তার ওপর রয়েছে আঞ্চলিক রাষ্ট্রীয় শক্তির প্রচণ্ড চাপ
বিস্তারিত পড়ুন

‘মিথ্যা’ জন্মদিনে কেক কাটা দেখে বুকে আঘাত পাই: প্রধানমন্ত্রী

‘মিথ্যা’ জন্মদিনে কেক কাটা দেখে বুকে আঘাত পাই: প্রধানমন্ত্রী

Wed, 23 Oct, 2013 01:51:16 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
নতুন বার্তা ডটকম
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা জন্মদিন’ পালন না করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “উনি সেদিন যখন কেকে ছুরি চালায়, তখন মনে হয় আমার বুকে ছুরি চালাচ্ছেন। আমার প্রিয় রাসেল আমার বুকে বসে আছে। মনে হয় আমার রাসেলের বুকে ছুরি চালাচ্ছেন।”

ছোটভাই শেখ রাসেলের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “বিরোধীদলীয় নেতা ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন। আমি তাকে বলবো, তিনি যেন মিথ্যা জন্মদিন পালন না করেন।” এর বদলে খালেদা জিয়াকে স্কুলের নিবন্ধনে দেয়া জন্ম তারিখেই জন্মদিন পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

ছোটভাইয়ের কথা বলতে গিয়ে আপ্লুত হয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “যে ফুলটা ফোটার আগেই ঝরে গেছে। বাংলাদেশে এই ঘটনা যেনো আর না ঘটে।”

তিনি বলেন, “রাসেল ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মায়ের সঙ্গে বন্দি হয়েছিল সে। রাসেলের স্বপ্ন ছিল সেনা কর্মকর্তা হবে। তার সে স্বপ্ন পূরণ হবে না।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পারিবারিকভাবে আমরা দুই বোন যে যে সম্পদ পেয়েছিলাম তা দিয়ে একটি ট্রাস্ট গঠন করেছি। এই ট্রাস্ট থেকে অসহায় শিশু কিশোরদের সাহায্য করা হয়। এই ট্রাস্ট শিশুদের সহযোগিতা করছে।”

তিনি বলেন, “আজ দেশের শতভাগ শিশু পড়াশোনা করছে। শিশুরা বই পাচ্ছে বছরের শুরুতেই। আমি আশা করি তোমার পড়াশোনা করবে, মানুষের মতো মানুষ হবে। জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তোমরা হবে সোনার মানুষ। একদিন তোমরা বড় হবে, বড় বড় জায়গায় যাবে, আমার মতো মন্ত্রী হবে।”

সংগঠনের মহাসচিব মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল বারাকত, সংগঠনের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কে এম শহিদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুর রহমান, সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান হাওলাদার প্রমুখ
বিস্তারিত পড়ুন

ঝুঁকি না নিলে পিছিয়ে পড়তে হয়

ঝুঁকি না নিলে পিছিয়ে পড়তে হয়


মার্ক জাকারবার্গ | আপডেট: ০০:৪০, অক্টোবর ২০, ২০১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গফেসবুকের সৃষ্টি হয়েছিল শুধু একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নয়, আমাদের একটি সামাজিক উদ্দেশ্য ছিল। সে উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া, মানুষকে একে অপরের কাছে নিয়ে আসা। ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে এই উদ্দেশ্যটি বুঝতে হবে, জানতে হবে আমরা কী করি, কেনই বা করি। এই চিঠিতে আমি সে কথা জানাব।
বর্তমানে পৃথিবীর সব মানুষকে এক সুতোয় গেঁথে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার এক বিশাল চাহিদা ও সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। সবাইকে নিজের স্থান থেকে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিলে তা গোটা সমাজব্যবস্থাকেই বদলে দেবে। মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে। যতই উচ্চাভিলাষী মনে হোক না কেন, অনেক বড় কিছুর শুরুও ছোট্ট একটি পদক্ষেপ থেকেই হয়।
মানুষের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুতোগুলোই আমাদের নতুন আইডিয়া খুঁজে দেয়, চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বুঝতে সাহায্য করে, আমাদের জীবনকে ভরিয়ে তোলে। ফেসবুক মানুষের চাহিদা অনুযায়ী তাকে অন্যদের সঙ্গে সংযুক্ত করে, পারস্পরিক তথ্য ও ভাব আদান-প্রদানের সুযোগ করে দেয়। সর্বোপরি নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলে, একই সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তা করে।
শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্কই নয়, আমরা আশা করি এই বিস্তৃত সম্পর্কের জাল ব্যবসা-বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করবে। এই নিত্যনতুন সম্পর্কের ফলে অসংখ্য নতুন পণ্য ও সেবার সৃষ্টি হবে, যা মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করবে বহুগুণে। আমরা ইতিমধ্যে গেমস, সংগীত ও সংবাদশিল্পে ফেসবুকের উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখেছি। সামনের দিনগুলোতে এমন আরও অনেক শিল্পকে আমরা নতুন আঙ্গিকে দেখতে চাই, যা সরাসরি সমাজব্যবস্থাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আমরা ফেসবুকে এক ভিন্নধর্মী কাজের ধারার প্রচলন করেছি, একে বলা হয় ‘হ্যাকার ওয়ে’। সাধারণত ‘হ্যাকার’ শব্দটিকে সবাই নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করে। আসলে এর শাব্দিক অর্থ খুব দ্রুত কিছু তৈরি করা বা কোনো কিছুর সম্ভাবনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা আরও কী করা যেতে পারে। হ্যাকার ওয়ে বলতে আমরা বোঝাই কোনো কাজে সার্বক্ষণিক উন্নতি করা ও প্রয়োজন হওয়ামাত্রই পরিবর্তন আনা। আমাদের হ্যাকাররা বিশ্বাস করে একটি কাজকে সব সময়ই আরও ভালো, আরও নিখুঁত করে তোলার সুযোগ থাকে। কাজ কখনো পাকাপাকিভাবে শেষ হবে না। সেজন্য আত্মতুষ্টি পরিহার করে কোনো কাজকে প্রতিনিয়ত সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে কোনো কাজ খুব কঠিন হলেও সেটিকে অসম্ভব দাবি করে বসে থাকা যাবে না। অনেক বছর সময় নিয়ে একেবারে পরিপূর্ণ একটি জিনিস তৈরির পরিকল্পনা না করে, তারা প্রতিনিয়ত ছোট ছোট পরিবর্তন আনতে থাকে এবং ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। অফিসের দেয়ালে আমরা বড় বড় অক্ষরে লিখে রেখেছি, ‘শতভাগ নিখুঁত কিন্তু অসমাপ্ত কাজের চেয়ে কিছু ভুলত্রুটিসহ একটি সমাপ্ত কাজ অধিক গুরুত্বপূর্ণ।’
একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা পাঁচটি নীতির ওপর ভিত্তি করে চলি: ১. সম্ভাব্য ফলাফলের ওপর মনোযোগ দাও: যদি তুমি সত্যি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চাও, তাহলে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো খুব গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো খুঁজে বের করা। এটা শুনতে জলের মতো সহজ মনে হলেও বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ কাজটি সুষ্ঠুভাবে করতে ব্যর্থ হয়। ফেসবুকে আমরা সবার কাছ থেকে প্রত্যাশা করি যে তারা কাজ করার জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোকেই বেছে নেবে।
২. দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাও: দ্রুতগতিতে কাজ করায় আমরা বেশি কাজ করতে পারি আর খুব তাড়াতাড়ি নতুন জিনিস শিখেও নিতে পারি। সাধারণত, একটি প্রতিষ্ঠান যত বড় হয়, সেখানে নতুন আইডিয়া গ্রহণ করা বা শেখার গতিও তত কমে আসে। কারণ, তারা সব রকম ভুল এড়িয়ে চলতে চায়, নতুন সম্ভাবনাকে দমিয়ে রেখে হলেও তারা নিজেদের কাজে যথাসম্ভব নির্ভুল থাকতে চায়। আমরা বলি, ‘সবকিছু ভেঙেচুরে হলেও দ্রুত এগিয়ে চলো।’ যদি কিছু না-ই ভাঙল, তাহলে সম্ভবত তুমি যথেষ্ট দ্রুত এগিয়ে চলছ না।
৩. দৃঢ়চেতা হও: বড় কিছু করতে হলে ঝুঁকি নিতেই হবে। এটি সহজ কাজ নয়, অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা উচিত হলেও করে না। কিন্তু পৃথিবী যেভাবে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে, ঝুঁকি না নিয়ে সব সময় নিরাপদে থাকতে চাইলে পিছিয়ে পড়তে হবে। আমরা বরং বলি, ‘সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে কোনো ঝুঁকিই না নেওয়া।’ আমরা সবাইকে সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহ দিই। মাঝেমধ্যে ভুলত্রুটি হতে পারে, হলোই না হয়!
৪. মনকে উদার করে তোলো: আমরা বিশ্বাস করি পৃথিবীর তথ্যভান্ডার যত উন্মুক্ত হবে, মানুষ তত উন্নতি করবে। অধিকতর তথ্য পাওয়ার ফলে মানুষ আরও সহজে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এবং সমাজে তার প্রভাব পড়বে। প্রতিষ্ঠান চালানোর ব্যাপারেও আমরা এই নীতি অনুসরণ করি। ফেসবুকে কর্মরত সবার কাছে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত তথ্য যতটা সম্ভব উন্মুক্ত রাখা হয়। এতে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে ও প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে অধিকতর অবদান রাখতে পারে।
৫. সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করো: ফেসবুকের লক্ষ্য পৃথিবীকে আরও উন্মুক্ত করা, মানুষের একে অপরের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ সৃষ্টি করা। শুধু ব্যবসা করে মুনাফা অর্জন করা নয়, আমরা সবাই খেয়াল রাখি প্রতিদিনের কাজের মাধ্যমে আমরা কীভাবে সমাজব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনতে পারি, পৃথিবীকে কিছু দিতে পারি।
এই চিঠি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমরা বিশ্বাস করি, পৃথিবীকে কিছু দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা আমাদের আছে। আমি আশা করি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারব।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ অনলাইন সংস্করণ। ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিত
অনুবাদ: অঞ্জলি সরকার
বিস্তারিত পড়ুন

আলীমের আমৃত্যু কারাদণ্ড

আলীমের আমৃত্যু কারাদণ্ড

Wed, 09 Oct, 2013 12:33 PM
ট্রাইব্যুনাল থেকে আজিজুল ইসলাম ও মুনিফ আম্মার
ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সাবেক বিএনপি নেতা ও মন্ত্রী আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আলীমের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের মোট নয়টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও বয়সের বিবেচনায় তার বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়েছে।
আলীমের বিরুদ্ধে মোট ১৭টি অভিযোগ আনা হয়। এর ১, ২, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ৩, ১১, ১৩, ১৫, ১৬ ও ১৭ নম্বর অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া ৪ ও ৫ নম্বর অভিযোগে কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি প্রসিকিশন।
বুধবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম রায়ের ১৯১ পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপ পড়া শুরু করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া রায়ের দ্বিতীয় অংশ পড়েন। এরপর ট্রাইব্যুনাল প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সাজা ঘোষণা করেন।
এর আগে ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে একটি সাদা রঙের অ্যাম্বুলেন্সে করে আলীমকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে হুইল চেয়ারে করে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে এজলাসে উঠানো হয়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন। ওইদিন আলীমের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল আলীমের রায়ের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন। আদেশের পর প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম আলীমের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে বলেন, ‘আমরা আসামি আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে আনা ১৭টি অভিযোগের মধ্যে ১৫টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য আলীমের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।’
অবশ্য আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আলীম জয়পুরহাটের একজন জনপ্রিয় নেতা। প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছেন তা বিস্ময়কর। আলীমের বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। তিনি খালাস পাবেন বলে আমরা আশা করছি।’
২০১২ সালের ১১ জুন আলীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর টানা এক বছর তিন মাস শেষে মামলার কার্যক্রম শেষ হয়।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। এর আগে গত ৪ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার কার্যদিবসে প্রসিকিউশন প্রথম পর্যায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
আলীমের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রসিকিউশনের ৩৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া দুই জনের জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এদিকে আলীমের পক্ষে তিন জন সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ২৩ মে আলীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার জন্য ট্রাইব্যুনাল আদেশের দিন ধার্য করেন। ওইদিন একই সঙ্গে তার জামিনের মেয়াদ ১১ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ আব্দুল আলীমের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) রেজিস্ট্রারের কাছে দাখিল করেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। গত ২৭ মার্চ তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিশেষ শর্তে জামিনে থাকা আলীমের বিরুদ্ধে তিন হাজার ৯০৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এতে সাত ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৮টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয় ট্রাইব্যুনালে। পরে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত মোট ২৮টি ঘটনার ১৭টি আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত বছরের ২৭ মার্চ জয়পুরহাটের নিজ বাড়ি থেকে আলীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩১ মার্চ তাকে এক লাখ টাকায় মুচলেকা এবং ছেলে ফয়সাল আলীম ও আইনজীবী তাজুল ইসলামের জিম্মায় জামিন দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে শুনানিতে পর্যায়ক্রমে কয়েক দফা এই জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বিস্তারিত পড়ুন

আলীমের আমৃত্যু কারাদণ্ড

আলীমের আমৃত্যু কারাদণ্ড

Wed, 09 Oct, 2013 12:33 PM

ট্রাইব্যুনাল থেকে আজিজুল ইসলাম ও মুনিফ আম্মার
ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সাবেক বিএনপি নেতা ও মন্ত্রী আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আলীমের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের মোট নয়টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও বয়সের বিবেচনায় তার বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়েছে।
আলীমের বিরুদ্ধে মোট ১৭টি অভিযোগ আনা হয়। এর ১, ২, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ৩, ১১, ১৩, ১৫, ১৬ ও ১৭ নম্বর অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া ৪ ও ৫ নম্বর অভিযোগে কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি প্রসিকিশন।
বুধবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম রায়ের ১৯১ পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপ পড়া শুরু করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া রায়ের দ্বিতীয় অংশ পড়েন। এরপর ট্রাইব্যুনাল প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সাজা ঘোষণা করেন।
এর আগে ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে একটি সাদা রঙের অ্যাম্বুলেন্সে করে আলীমকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে হুইল চেয়ারে করে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে এজলাসে উঠানো হয়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন। ওইদিন আলীমের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
গত মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল আলীমের রায়ের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন। আদেশের পর প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম আলীমের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে বলেন, ‘আমরা আসামি আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে আনা ১৭টি অভিযোগের মধ্যে ১৫টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য আলীমের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।’
অবশ্য আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আলীম জয়পুরহাটের একজন জনপ্রিয় নেতা। প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছেন তা বিস্ময়কর। আলীমের বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। তিনি খালাস পাবেন বলে আমরা আশা করছি।’
২০১২ সালের ১১ জুন আলীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর টানা এক বছর তিন মাস শেষে মামলার কার্যক্রম শেষ হয়।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। এর আগে গত ৪ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার কার্যদিবসে প্রসিকিউশন প্রথম পর্যায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
আলীমের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রসিকিউশনের ৩৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া দুই জনের জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এদিকে আলীমের পক্ষে তিন জন সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ২৩ মে আলীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার জন্য ট্রাইব্যুনাল আদেশের দিন ধার্য করেন। ওইদিন একই সঙ্গে তার জামিনের মেয়াদ ১১ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ আব্দুল আলীমের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) রেজিস্ট্রারের কাছে দাখিল করেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। গত ২৭ মার্চ তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিশেষ শর্তে জামিনে থাকা আলীমের বিরুদ্ধে তিন হাজার ৯০৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এতে সাত ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৮টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয় ট্রাইব্যুনালে। পরে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত মোট ২৮টি ঘটনার ১৭টি আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত বছরের ২৭ মার্চ জয়পুরহাটের নিজ বাড়ি থেকে আলীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩১ মার্চ তাকে এক লাখ টাকায় মুচলেকা এবং ছেলে ফয়সাল আলীম ও আইনজীবী তাজুল ইসলামের জিম্মায় জামিন দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে শুনানিতে পর্যায়ক্রমে কয়েক দফা এই জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বিস্তারিত পড়ুন

চুম্বনের ছবি ফেইসবুকে দিয়ে কারাগারে

চুম্বনের ছবি ফেইসবুকে দিয়ে কারাগারে


বিস্তারিত পড়ুন