কুতুবদিয়া প্রেসকাবের উদ্বেগ- অপসাংবাদিকতায় নকল ই-মেইল ব্যবহার

কুতুবদিয়া প্রেসকাবের উদ্বেগ- অপসাংবাদিকতায় নকল ই-মেইল ব্যবহার

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি-MTAwMTAwbm9oZ2xqbGps
কুতুবদিয়ায় সংবাদকর্মী নামধারী কতিপয় দুষ্ট চক্রের অপতৎপরতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওসব কুচক্রী মহল জাতীয়-স্থানীয় দৈনিক, অনলাইন পত্রিকার প্রতিনিধি ও বিভিন্ন এজেন্সীর পদবী ধারণ করে সরকারী-বেসরকারী অফিস-আদালত ছাড়াও স্ব-নামধন্য ব্যক্তি বিশেষকে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে প্রতিনিয়ত  চাঁদাবাজী করে যাচ্ছে। বিশেষত: উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিকদের ই-মেইল এড্রেস নকল করে মিথ্যা ও কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করে নানাভাবে হয়রানিসহ বিতর্কিত করা হচ্ছে। কুতুবদিয়া প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী, অর্থ সম্পাদক এম.এ.মান্নান, নির্বাহী সদস্য আহমদ কবির বাবুল ও আরিফুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে নকল ই-মেইল এড্রেস থেকে দীর্ঘদিন ধরে বানোয়াট, বিতর্কিত সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। কিছুদিন আগে কুতুবদিয়ার পিআইওকে গণধোলাই শিরোনামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয় ওই নকল ই-মেইল থেকে। এ ধরণের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রশাসনসহ এলাকায় বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন।অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধের দাবীতে রবিবার কুতুবদিয়া প্রেসকাবের এক জরুরী সভা সহ-সভাপতি কামাল হুসেন’র সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়। নেতৃবৃন্দ ওসব চিহ্নিত বর্ণচোরা সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন। প্রেসকাব মিলনায়তনে অনুষ্টিত সভায় সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী, অর্থ সম্পাদক এম.এ.মান্নান, নির্বাহী সদস্য আহমদ কবির বাবুল, আরিফুল ইসলাম, সাইফুল আলম সিকদার, মুহাম্মদ শাহেদ ও দিদারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

বিস্তারিত পড়ুন


ইত্তেফাক রিপোর্ট
রায় ঘোষণা উপলক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনাল-১ এ নেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পরেই বিচারপতি একেএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করবেন। বিএনপির এই নেতাকে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ ২৩টি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের করা হয়। এরপর একটি প্রিজন ভ্যানে করে পুলিশি পাহারায় সাকা চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয়। এ সময় অন্য দিনগুলোর তুলনায় তাকে বিমর্ষ ও চিন্তিত দেখা গেছে।

গত ১৪ আগস্ট মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শেষে রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ রাখে ট্রাইব্যুনাল। রাষ্ট্রপক্ষ একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ ১৭ টি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী হাজির করে। সাক্ষীদের দাবি কোন কোন ঘটনা তার উপস্থিতিতে এবং নির্দেশে সংঘটিত হয়েছে। অন্যদিকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে বলেছেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওই সময়ে বাংলাদেশেই ছিলেন না। তিনি সে সময় লেখাপড়ার জন্য পাকিস্তানে ছিলেন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সহপাঠী সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বিচারপতি শামীম হাসনাইনও প্রধান বিচারপতির কাছে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছিলেন, সালাহউদ্দিন কাদের ১৯৭১ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগষ্ট মাস পর্যন্ত পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছিলেন। দু'পক্ষের এই পরস্পরবিরোধী দাবির মুখে আজ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করবে।

সালাহউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে আনা ২৩ অভিযোগের মধ্যে ১৭টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণের দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, সালাহউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৭টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে আমাদের দাবি। তার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে আমরা এমনটাই প্রত্যাশা করি।

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম বলেন, এটি মিথ্যা মামলা। ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ থেকে ১৯৭৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে ছিলেন না। এটা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। রাষ্ট্রপক্ষ জেরাকালে সালাহউদ্দিন কাদেরকে প্রশ্ন করেছিলো, তিনি বেনামে ও বেআইনিভাবে ১৯৭৪ সালে দেশে এসেছিলেন। এ প্রশ্নের মাধ্যমে তারা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ১৯৭১ সালে সালাহউদ্দিন কাদের দেশে ছিলেন না। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই স্বীকার করেছেন ১৯৭১ সালে সালাহউদ্দিন কাদের বাংলাদেশে ছিলেন এ মর্মে তার কাছে কোনো দলিলপত্র নেই।

ফখরুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী গোপাল জবানবন্দীতে বলেছেন, তিনি সালাহউদ্দিন কাদেরকে দেখেছিলেন। কিন্তু জেরার জবাবে তিনি বলেছেন, ১৩ এপ্রিল ১৯৭১ সাল থেকে ২৮ এপ্রিল ভারত যাওয়ার পথে ২৭ এপ্রিল তিনি একবার মাত্র কুন্ডেশ্বরীতে গিয়েছিলেন। অতএব ১৩ এপ্রিল কুন্ডেশ্বরীতে সালাহউদ্দিন কাদেরকে দেখা একটা মিথ্যা। সাক্ষী রাষ্ট্রপক্ষের শেখানো মতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ধরনের সাক্ষীর উপর ভিত্তি করে কোনো সাজা হলে তা হবে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। তিনি বলেন, আইন পরিবর্তন করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সালাহউদ্দিন কাদেরকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমরা আশাকরি, এই মিথ্যা মামলা থেকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বেকসুর খালাস পাবেন।

২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই বছরের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলে ১৭ নভেম্বর তা আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
বিস্তারিত পড়ুন

ট্রাইব্যুনালে সালাউদ্দিন কাদের

ট্রাইব্যুনালে সালাউদ্দিন কাদের


ইত্তেফাক রিপোর্ট
রায় ঘোষণা উপলক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনাল-১ এ নেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পরেই বিচারপতি একেএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করবেন। বিএনপির এই নেতাকে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ ২৩টি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের করা হয়। এরপর একটি প্রিজন ভ্যানে করে পুলিশি পাহারায় সাকা চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয়। এ সময় অন্য দিনগুলোর তুলনায় তাকে বিমর্ষ ও চিন্তিত দেখা গেছে।

গত ১৪ আগস্ট মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শেষে রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ রাখে ট্রাইব্যুনাল। রাষ্ট্রপক্ষ একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ ১৭ টি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী হাজির করে। সাক্ষীদের দাবি কোন কোন ঘটনা তার উপস্থিতিতে এবং নির্দেশে সংঘটিত হয়েছে। অন্যদিকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে বলেছেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওই সময়ে বাংলাদেশেই ছিলেন না। তিনি সে সময় লেখাপড়ার জন্য পাকিস্তানে ছিলেন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সহপাঠী সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বিচারপতি শামীম হাসনাইনও প্রধান বিচারপতির কাছে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছিলেন, সালাহউদ্দিন কাদের ১৯৭১ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগষ্ট মাস পর্যন্ত পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছিলেন। দু'পক্ষের এই পরস্পরবিরোধী দাবির মুখে আজ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করবে।

সালাহউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে আনা ২৩ অভিযোগের মধ্যে ১৭টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণের দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, সালাহউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৭টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে আমাদের দাবি। তার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে আমরা এমনটাই প্রত্যাশা করি।

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম বলেন, এটি মিথ্যা মামলা। ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ থেকে ১৯৭৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে ছিলেন না। এটা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। রাষ্ট্রপক্ষ জেরাকালে সালাহউদ্দিন কাদেরকে প্রশ্ন করেছিলো, তিনি বেনামে ও বেআইনিভাবে ১৯৭৪ সালে দেশে এসেছিলেন। এ প্রশ্নের মাধ্যমে তারা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ১৯৭১ সালে সালাহউদ্দিন কাদের দেশে ছিলেন না। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই স্বীকার করেছেন ১৯৭১ সালে সালাহউদ্দিন কাদের বাংলাদেশে ছিলেন এ মর্মে তার কাছে কোনো দলিলপত্র নেই।

ফখরুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী গোপাল জবানবন্দীতে বলেছেন, তিনি সালাহউদ্দিন কাদেরকে দেখেছিলেন। কিন্তু জেরার জবাবে তিনি বলেছেন, ১৩ এপ্রিল ১৯৭১ সাল থেকে ২৮ এপ্রিল ভারত যাওয়ার পথে ২৭ এপ্রিল তিনি একবার মাত্র কুন্ডেশ্বরীতে গিয়েছিলেন। অতএব ১৩ এপ্রিল কুন্ডেশ্বরীতে সালাহউদ্দিন কাদেরকে দেখা একটা মিথ্যা। সাক্ষী রাষ্ট্রপক্ষের শেখানো মতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ধরনের সাক্ষীর উপর ভিত্তি করে কোনো সাজা হলে তা হবে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। তিনি বলেন, আইন পরিবর্তন করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সালাহউদ্দিন কাদেরকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমরা আশাকরি, এই মিথ্যা মামলা থেকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বেকসুর খালাস পাবেন।

২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই বছরের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলে ১৭ নভেম্বর তা আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
বিস্তারিত পড়ুন

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় আজ

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় আজ


ইত্তেফাক রিপোর্ট
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপির বিরুদ্ধে একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল সোমবার রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করে।

গত ১৪ আগস্ট মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শেষে রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ রাখে ট্রাইব্যুনাল। রাষ্ট্রপক্ষ একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ ১৭ টি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী হাজির করে। সাক্ষীদের দাবি কোন কোন ঘটনা তার উপস্থিতিতে এবং নির্দেশে সংঘটিত হয়েছে। অন্যদিকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে বলেছেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওই সময়ে বাংলাদেশেই ছিলেন না। তিনি সে সময় লেখাপড়ার জন্য পাকিস্তানে ছিলেন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সহপাঠী সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বিচারপতি শামীম হাসনাইনও প্রধান বিচারপতির কাছে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছিলেন, সালাহউদ্দিন কাদের ১৯৭১ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগষ্ট মাস পর্যন্ত পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছিলেন। দু'পক্ষের এই পরস্পরবিরোধী দাবির মুখে আজ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করবে। 

সালাহউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে আনা ২৩ অভিযোগের মধ্যে ১৭টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণের দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, সালাহউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৭টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে আমাদের দাবি। তার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে আমরা এমনটাই প্রত্যাশা করি। 

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম বলেন, এটি মিথ্যা মামলা। ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ থেকে ১৯৭৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে ছিলেন না। এটা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। রাষ্ট্রপক্ষ জেরাকালে সালাহউদ্দিন কাদেরকে প্রশ্ন করেছিলো, তিনি বেনামে ও বেআইনিভাবে ১৯৭৪ সালে দেশে এসেছিলেন। এ প্রশ্নের মাধ্যমে তারা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ১৯৭১ সালে সালাহউদ্দিন কাদের দেশে ছিলেন না। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই স্বীকার করেছেন ১৯৭১ সালে সালাহউদ্দিন কাদের বাংলাদেশে ছিলেন এ মর্মে তার কাছে কোনো দলিলপত্র নেই। 

ফখরুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী গোপাল জবানবন্দীতে বলেছেন, তিনি সালাহউদ্দিন কাদেরকে দেখেছিলেন। কিন্তু জেরার জবাবে তিনি বলেছেন, ১৩ এপ্রিল ১৯৭১ সাল থেকে ২৮ এপ্রিল ভারত যাওয়ার পথে ২৭ এপ্রিল তিনি একবার মাত্র কুন্ডেশ্বরীতে গিয়েছিলেন। অতএব ১৩ এপ্রিল কুন্ডেশ্বরীতে সালাহউদ্দিন কাদেরকে দেখা একটা মিথ্যা। সাক্ষী রাষ্ট্রপক্ষের শেখানো মতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ধরনের সাক্ষীর উপর ভিত্তি করে কোনো সাজা হলে তা হবে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। তিনি বলেন, আইন পরিবর্তন করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সালাহউদ্দিন কাদেরকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমরা আশাকরি, এই মিথ্যা মামলা থেকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বেকসুর খালাস পাবেন। 

২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই বছরের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলে ১৭ নভেম্বর তা আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
বিস্তারিত পড়ুন

ওরা ল্যাপটপ ছিনতাইকারী

ওরা ল্যাপটপ ছিনতাইকারী


ইত্তেফাক রিপোর্ট
রাস্তায় কারো ঘাড়ে ল্যাপটপের ব্যাগ দেখলেই ওদের চোখ চকচক করে ওঠে। টার্গেট কখন তারা ঐ ব্যাগটি ছোঁ মেরে ছিনিয়ে নিবে। এজন্য তারা মোটরসাইকেলে করে ঐ পথচারীর পিছু নেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘাড় থেকে ল্যাপটপের ব্যাগ নিয়ে চোখের নিমিষে মিলিয়ে যায়। এ ভাবেই তারা এক বছর ধরে রাজধানীতে ল্যাপটপ ছিনতাই করছে। আর ছিনতাই করা ল্যাপটপ তারা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্সের দোকানে দেয় বিক্রির জন্য। এরকমই রাজধানীর হাতিরপুল ও পল্টন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩৮টি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে র্যাব। এসব ল্যাপটপ বিভিন্ন কৌশলে তারা ছিনতাই করেছিল। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আসিফ আজাদী (২৩), সাইফুল ইসলাম জনি (২৩) ও মনির হোসেন (৩০)। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ১২৪টি মোবাইল ফোনসেট, ৫৭ হাজার টাকা, ৩ টি আইপট ও ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। র্যাবের মিডিয়া এ্যান্ড লিগ্যাল শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান বলেন, র্যাব-২ এর একটি দল সোমবার দুপুরে হাতিরপুলের ইস্টার্ন প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে আসিফ ও জনিকে দুটি ল্যাপটপসহ গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহূত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম মার্কেটে অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম মার্কেটের ইয়েস টেল ও মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম মার্কেটের নিউ হাবিব ইলেকট্রনিক্স, শাহনূর ইলেকট্রনিক্স ও সুমনা ইলেকট্রনিক্সের গোডাউন থেকে বিভিন্ন সময়ে ছিনতাইকৃত ১২৪টি মোবাইল এবং আরো ৩৬টি ল্যাপটপ, নগদ ৫৭ হাজার টাকা ও ৩টি আইপট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আসিফ ও জনি জানায়, তারা মোটরসাইকেলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। এসময় ফাঁকা কোন রাস্তায় ল্যাপটপ ঘাড়ে নিয়ে কাউকে হেঁটে যেতে দেখলে পিছু নেয়। পরে পরিস্থিতি বুঝে ল্যাপটপের ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। ঐ ল্যাপটপ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও মওলানা হকি স্টেডিয়ামের বিভিন্ন দোকানে দেয়। ল্যাপটপ বিক্রির পর ঐ দোকানদার তাদেরকে টাকা দেয়। গড়ে প্রতিটি ল্যাপটপ থেকে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পায়। 

র্যাব-২ এর অপারেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন সময়ে ল্যাপটপ ও মোবাইল ছিনতাই করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিস্তারিত পড়ুন

সুপারভাইজর নন, উপ সহকারী প্রকৌশলী’ নিজস্ব প্রতিবেদক

সুপারভাইজর নন, উপ সহকারী প্রকৌশলী’ নিজস্ব প্রতিবেদক

‘সুপারভাইজর নন, উপ সহকারী প্রকৌশলী’

ATED STORIES
বিস্তারিত পড়ুন

পরীক্ষা বর্জন করছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

পরীক্ষা বর্জন করছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

পরীক্ষা বর্জন করছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা
ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে মূল্যায়নসহ দুই দফা দাবিতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় রোববার পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করছে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক্যালের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১১টায় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারগ্যাস শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এদিকে মিরপুরের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে মিরপুর রোডেও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পরীক্ষা বর্জন করে  রোববার সকালে ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক  ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ।এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টার পর চট্টগ্রামের অন্যান্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হয়ে সড়কে অবস্থান নিলে ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবারও বগুড়া, মুন্সীগঞ্জ, শেরপুর এবং মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে।  এসব এলাকায় বিক্ষোভের সময় সড়ক অবরোধ, ভাংচুর ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।বগুড়া বিক্ষুব্ধদের সামলাতে ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেটও ছুঁড়তে হয় পুলিশকে। এতে ৩ শিক্ষার্থী আহত হন। শেরপুরের বিক্ষোভের সময় আহত চার ছাত্রকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এতে ইঞ্জিনিয়ারদের সংজ্ঞায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বাদ দেয়া হয়েছে। এটা পুরোটাই অযৌক্তিক। এতে অপমান বোধ করছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা। এরপর থেকেই তাদের আন্দোলন শুরু।পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি ইঞ্জিনিয়ারদের সংজ্ঞায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে দুই দফা দাবি পেশ করেছে। প্রথমটি হচ্ছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন বৈষম্য ও পেশাগত সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও সরকারের গঠিত ২টি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়ন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসে টাইমবার পদোন্নতি প্রথা প্রবর্তনসহ ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসকে ডেস্ক ও ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভাগ করে একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারদের ডেস্ক ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ফিল্ডের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব প্রশাসনিক পদে কারিগরি পেশাজীবীদের নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
বিস্তারিত পড়ুন

পরীক্ষা বর্জন করছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা
ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে মূল্যায়নসহ দুই দফা দাবিতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় রোববার পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করছে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক্যালের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১১টায় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারগ্যাস শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এদিকে মিরপুরের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে মিরপুর রোডেও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পরীক্ষা বর্জন করে  রোববার সকালে ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক  ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ।এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টার পর চট্টগ্রামের অন্যান্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হয়ে সড়কে অবস্থান নিলে ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবারও বগুড়া, মুন্সীগঞ্জ, শেরপুর এবং মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে।  এসব এলাকায় বিক্ষোভের সময় সড়ক অবরোধ, ভাংচুর ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।বগুড়া বিক্ষুব্ধদের সামলাতে ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেটও ছুঁড়তে হয় পুলিশকে। এতে ৩ শিক্ষার্থী আহত হন। শেরপুরের বিক্ষোভের সময় আহত চার ছাত্রকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এতে ইঞ্জিনিয়ারদের সংজ্ঞায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বাদ দেয়া হয়েছে। এটা পুরোটাই অযৌক্তিক। এতে অপমান বোধ করছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা। এরপর থেকেই তাদের আন্দোলন শুরু।পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি ইঞ্জিনিয়ারদের সংজ্ঞায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে দুই দফা দাবি পেশ করেছে। প্রথমটি হচ্ছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন বৈষম্য ও পেশাগত সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও সরকারের গঠিত ২টি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়ন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসে টাইমবার পদোন্নতি প্রথা প্রবর্তনসহ ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসকে ডেস্ক ও ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভাগ করে একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারদের ডেস্ক ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ফিল্ডের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব প্রশাসনিক পদে কারিগরি পেশাজীবীদের নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।
- See more at: http://www.dailyinqilab.com/2013/09/29/135986.php#sthash.5GhKAEn5.tVxvGLkX.dpuf
বিস্তারিত পড়ুন

যে ১০টি কথায় গলে যাবে প্রেমিকার মন

যে ১০টি কথায় গলে যাবে প্রেমিকার মন




প্রিয় সঙ্গী বা প্রেমিক বা হাজবেন্ডের কাছ থেকে মেয়েরা শুধু ভালোবাসার আর প্রশংসার কথাই শুনতে চান। কি বললে যে ভালবাসার মানুষটির চোখ-মুখ আনন্দে ঝিলমিলিয়ে উঠবে তার হদিস আজ দেওয়া হচ্ছে আপনাদের। সেইসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, কেনো মেয়েরা এসব কথা শুনতে এতো পছন্দ করেন। দেখবেন এসব কথায় আর মন্তব্যে তার রাগ, জেদ বা মন খারাপ কর্পূরের মতো মুহূর্তেই উবে যাবে। ব্যাপক গবেষণার পর বিশেষজ্ঞরা একটি বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, 'প্রেমিকের কাছ থেকে ভালবাসার মিষ্টি কথা শুনতে বিন্দুমাত্র বিরক্তি নেই মেয়েদের। তাদের যতোই বলবেন, তারা ততোই শুনতে চাইবে'।

আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে একই কথা বারবার বললেও বারবারই তারা খুশিতে আটখানা। নতুন প্রেম, পরিণত প্রেম, বিবাহত জীবন এমনকি প্রিয় কারো জন্যেও মেয়েদের এ স্বভাবটি চিরন্তন সত্য। সম্পর্কের টানাপড়েনে আপনার প্রিয়তমার মান ভাঙাতে ১০টি মৌলিক বিষয় আপনাদের দেওয়া হলো। তোতা পাখির মতো মুখস্থ করুন এবং সঠিক সময়ে ব্যবহার করুন। দেখুন কতো সহজেই মেয়েটির মন গলে যায়।

১. তোমাকে অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে: যদি প্রশ্ন করা হয়, কোন তিনটি জিনিস ছাড়া মেয়েরা বাঁচতেই পারে না? তাহলে নিঃসন্দেহে তালিকাটি হবে- এক. মজার মজার খাবার, দুই. ওয়ার্ডরোব উপচে পড়া পোশাক এবং তিন. প্রশংসায় ভাসানো কথা। মেয়েদেরকে প্রশংসাসূচক কথার বন্যায় ভাসিয়ে দিতে কোনো কার্পণ্য করবেন না। তার চেহারা নিয়ে, পোশাক নিয়ে, চাল-চলন নিয়ে, ফিগার নিয়ে, এমনকি পেশাগত জীবনে কাজের দক্ষতা নিয়েও নিঃসংকোচে প্রশংসা করুন। বহু নারী নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন,'তোমাকে এই কাপড়ে দারুণ লাগছে বা পৃথিবীর সবচে সুন্দরী মেয়েটি তুমি অথবা তুমি এখনও অনেক আবেদনময়ী- এ জাতীয় কথা শুনলেই যাদুর মতো মন ভালো হয়ে যায়'।

মনোচিকিৎসকরা বলেন, এসব কথায় মেয়েদের নিজের কাছে নিজেরই একটি অপরূপ প্রতিবিম্ব ভেসে ওঠে। মন ভাল হয়ে যায়, আরো ভাল হওয়ার ইচ্ছা কাজ করে এবং ব্যক্তিত্ববোধ আরো চাঙ্গা হয়।

২. তুমিই আমার জীবনে প্রথম নারী: এই একটি কথাই প্রেমিকার কাছে আপনাকে সৎ ও গ্রহণযোগ্য করে তুলবে। সব মেয়েই এমন একটি ছেলে চায় যার একাধিক নারীপ্রীতি নেই। তা ছাড়া সম্পর্ক দীর্ঘায়িত করতে বা ঘরসংসার পাততে চাইলে এ কথার কোনো বিকল্প নেই। এ কথায় মেয়েটি তার জীবনে আপনাকে নিরাপদ বলে মনে করবে। বহু পুরুষ নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলেছেন, 'এ কথাটি যতবারই বলেছি ততবারই তার চেহারায় সুখী একটা ভাব ফুটে উঠেছে'।

মনোচিকিৎসকদের মতে, একটা মেয়ে তার প্রেমিক বা হাজবেন্ডের জীবনে প্রথম- এমন কথা তার মনে এক আশ্চর্য সুখানুভূতি সৃষ্টি করে। তবে শুধুই খুশি করার জন্যে সহজ-সরলভাবে এ কথাটি বলা ঠিক হবে না। যেকোনো ছেলের হৃদয় থেকেই তা বলা উচিত। কারণ পরে আপনার কথা মিথ্যে বলে ধরা পড়লে সে কোনোদিনই আর আপনাকে বিশ্বাস করবে না।

৩. তোমাকে ছাড়া আমার রাত কাটে না: এ বাক্য স্বামী-স্ত্রীর সেক্স লাইফের জন্যে প্রযোজ্য। স্ত্রীকে আদর করে আরেকটু খোলামেলাভাবেই এ প্রশংসা করতে পারেন স্বামীরা। মোদ্দকথা হলো, সেক্স লাইফে তাকে ছাড়া আপনি কিছুই ভাবতে পারেন না এবং তার যাদুতেই আপনি মোহিত- এমন মন্তব্যে আপনার স্ত্রী আরো বেশি নিজেকে উজাড় করে দেবেন। আপনাদের মাঝের অবাঞ্ছিত বাধাগুলো দূর হয়ে যাবে। যৌনতা নিয়ে গবেষকরা বলেন, 'স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সেক্স বিষয়ে নানা জটিলতা দেখা যায়। এর মধ্যে মানসিক সমস্যা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। বিশেষ করে মেয়েদের লজ্জা এবং আচরণগত সীমাবদ্ধতার কারণে এ সম্পর্কে পূর্ণতা আসে না। এক্ষেত্রে দুজনেরই সমান দায়িত্ব রয়েছে। তাই স্বামীর এমন একটা কথাই স্ত্রীর মনের অস্বচ্ছ দেয়াল গুঁড়িয়ে দিতে পারে নিমিষেই।

৪. তুমি একজন আদর্শ মা হবে: বিয়ের পর মেয়েদের জীবনের পরিপূর্ণতা আনে মাতৃত্ব। এ জন্য হবু বাবারও যথেষ্ট পরিপক্ক মানসিকতাসম্পন্ন হতে হবে। এ কথাটি একদিকে যেমন একটি মেয়েকে মা হওয়ার স্বপ্ন দেখায়, তেমনি আপনার মাঝেও স্ত্রী একজন সচেতন পিতার ছায়া দেখতে পান। অনেক মেয়েই বলেন, 'আমার স্বামীর এমন কথাতেই আমার ভিতরে মা হওয়ার ইচ্ছা প্রবলভাবে জেগে ওঠে'।

মনোবিজ্ঞানীরাও এ কথা সমর্থন করেন। তারা বলেন, 'মেয়েরা মা হওয়ার আগে স্বামীকেও আগত সন্তানের আদর্শ পিতা হিসেবে দেখতে চায়। সন্তান নেওয়ার ইচ্ছা ছেলেটির মধ্যেও তো থাকতে হবে। এ নতুন অতিথির নিশ্চিত ভবিষ্যতের আলো বাবা-মা দুজনেই জ্বালবেন।

৫. তুমি কি বাকি জীবন আমার সাথে থাকবে?: একটু বেশি স্পর্শকাতর আর ভীতু নারীদের কাছে এ বাক্য আশ্বস্তের বাণী শোনায়। আপনাকে নিয়ে নিজের ভবিষ্যত এবং খুঁটিনাটি নানা বিষয়ে নেতিবাচক ভাবনা নিয়ে যে নারীরা অস্থির থাকেন, আপনার ওই একটি বাক্যই তার সমস্ত সিদ্ধান্তহীনতা দূর করে দিতে পারে। সেইসঙ্গে তাকে আরো বলুন জীবনের বাকি সময়টা তার সাথে কিভাবে কাটাতে চান। মুহূর্তেই তার মুখ থেকে উবে যাবে কালমেঘ, উঠবে ঝলমল করে।

এক্সপার্টরা বলেন, 'এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া একটি মেয়ের জন্যে সবচেয়ে কঠিন। আজীবনের একটি সম্পর্কের সিদ্ধান্ত নেওয়া সোজা কথা নয়। আবার এ জীবন শুরু করতে এটিই বহু আকাঙ্ক্ষিত প্রস্তাব।

৬. তুমি এ সম্পর্কে কি ভাবছো?: তার মতামত চান। ছোট-বড় সব সিদ্ধান্ত গ্রহণে মত চাওয়াতে আপনার কাছে তার গুরুত্ব ফুটে উঠবে। তবে শুধু চাইলেই হবে না, তার মতামত বিবেচনাও করতে হবে আপনাকে। তা ছাড়া সেও আশা করে যে আপনাদের কাজে দুজনের মতামত উঠে আসুক।

অভিজ্ঞজনদের মতামত হলো, একটি মেয়ের জন্যে খুব জরুরি একটি বিষয় সঙ্গীর কাছে তার মতামতের গ্রহণযোগ্যতা। তার গুরুত্ব এবং চাহিদা আপনার কাছে যে রয়েছে তা সে উপলব্ধি করবে।

৭. তুমিই আমার প্রিয়তম বন্ধু: শুধুমাত্র অপরূপ চেহারা বা আকর্ষণীয় ফিগারের কারণেই তার প্রতি দুর্বল নন, নিজের একান্ত আপন বন্ধু হিসেবেও আপনি সঙ্গিনীকে পেতে চান। আপনার এ  বোধ প্রকাশ করতে পারলে তার কাছে আপনি আরো বেশি আপন হয়ে উঠবেন। প্রেমঘটিত যৌন সম্পর্ককে ছাড়িয়ে আপনার এ মন্তব্য দুজনকে আরো কাছে নিয়ে আসবে।

বিয়ে এবং সম্পর্ক বিষয়ক কাউন্সিলররা বলেন, 'অর্ধাঙ্গিনী বা প্রেমিকা পরিচয়ের বাইরেও একটি মেয়ে আপনার সাথে বন্ধু বা পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো বহুদিনের পরিচিতের মতো হতে চায়। তাকে এ অনুভূতি দিন। আপনার প্রেমিকার মনের অন্যান্য সূক্ষ্ম সমস্যা চলে যাবে।

৮. আমি ভাগ্যবান যে তোমাকে পেয়েছি: এ কথা দিয়ে আপনি বোঝালেন যে, আপনাদের দুজনের এ সম্পর্ক জন্ম-জন্মান্তরের বন্ধন। তাকে না পেলে আপনি হয়তো এখনো একা থাকতেন। এতে মেয়েটিও অনুভব করবে যে, তার জীবনে আপনিই সেই ব্যক্তি যার জন্যে সে এতো সময় অপেক্ষা করেছে। অবাক হবেন না যদি এ কথা বলার পর প্রিয়ার গাল লজ্জায় লাল হয়ে ওঠে।

সম্পর্কের এক্সপার্টরা বলেন, 'এ কথায় এক অদ্ভুত শিহরণ জাগে মেয়েদের মনে। তারা অনুভব করে যে, ছেলেটি তাকে শুধু পেতেই চায়নি, বরং মনের মানুষকে পাওয়ায় সে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে'।

৯. তুমি বোঝ যে আমার মনে কি আছে: এর মাধ্যমে আপনি মেয়েটাকে নিজের মনের গহীনে বসিয়ে দিলেন। আপনার জন্যে কিছু একটা রান্না করেছে বা একটা শার্ট কিনে এনেছে সে। ঠিক এমনটা আপনিও চাচ্ছিলেন। কাজেই আপনার মনের সবই সে জানে। এ অনুভূতি আপনাকেও তার মনের গভীরে স্থান দেবে।

মনোবিজ্ঞানীরাও এ বিষয়ে একমত। এ কথায় মেয়েরা আপনার আরো অনেক কাছে আসার এবং কাছে পাওয়ার চেষ্টা করে। দুজনের সম্পর্ক ঝালিয়ে নিতে এ কথাটি অব্যর্থভাবে কার্যকর।

১০. আমি তোমাকে ভালবাসি: বহুল কথিত তিনটি শব্দের একটি বাক্য। এ তিন শব্দের যাদুতে কাবু হয় না এমন মেয়ে এ দুনিয়ায় নেই। তবে সঠিক সময়ে, সঠিক পরিবেশে এবং সঠিকভাবে তা বলা চাই। সম্পর্কের যেকোনো পর্যায়ে এ কথা বলা যায়। তবে খুব বেশি বেশি বলাটা ভাল দেখায় না। তবে যতবার আপনি বলবেন, এক অদ্ভুত পুলকে ভরে যাবে প্রেমিকার মন।

ছেলেদের পক্ষ থেকে এ কথাটি শুনতে রীতিমত অপেক্ষা করে একটি মেয়ে, বললেন এক্সপার্টরা। আপনি যতবার বলবেন ততবারই মেয়েটি অনুভব করবে যে আপনি তাকে ভালবাসেন, ভালবাসবেন এবং আরো বেশি ভালবাসতে চান।
বিস্তারিত পড়ুন

আসামি হাজির!

আসামি হাজির!


আপডেট: ০২:৩৪, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছিল মেসি ও  তাঁর বাবা হোর্হে মেসির বিরুদ্ধেবল পায়ে লিওনেল মেসি আর তাঁকে ঘিরে আছেন প্রতিপক্ষের একদল ডিফেন্ডার। ফুটবল অনুরাগীদের অনেক চেনা দৃশ্য। কত ফুটবল রূপকথার জন্ম হয়েছে এমন দৃশ্য থেকে। কিন্তু এভাবে পুলিশ আর নিরাপত্তাকর্মী বেষ্টিত লিওনেল মেসি (ওপরে বাঁয়ের ছবি), এই দৃশ্য তো কিছুটা অকল্পনীয়ই। বিশ্বের কঠিন থেকে কঠিনতম ডিফেন্ডারদের যিনি ফাঁকি দিতে পারেন চোখের পলকে, সেই মেসি ফাঁকি দিতে পারলেন না স্পেনের কর কর্মকর্তাদের।
ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের আয়কর বিবরণীতে গরমিল। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছিল মেসি ও তাঁর বাবা হোর্হে মেসির বিরুদ্ধে। অভিযোগটা প্রথম ওঠার পর গত জুলাইতে অস্বীকার করেছিলেন জেনেবুঝে কোনো অপরাধ করার কথা, ‘এই বিষয়গুলো আমি দেখাশোনা করি না, আমার বাবাও করেন না। এ জন্য আমাদের আইনজীবীরা আছেন, উপদেষ্টারা আছেন। তাঁরাই সব দেখেন। আমরা তাঁদের বিশ্বাস করি। আশা করি, এর সমাধান হয়ে যাবে।’ অভিযোগ অস্বীকার করলেও এরই মধ্যে জরিমানাসহ স্পেনের কর বিভাগে ৫০ লাখ ইউরো জমা দিয়েছেন। তাতে অবশ্য কর ফাঁকির মামলা থেকে রেহাই মেলেনি। ফলাফল, আদালতের চৌহদ্দিতে পিতা-পুত্র। গতকাল ছিল দুজনের আদালতে হাজিরার দিন। বার্সেলোনার গাভার একটি আদালতে পুলিশঘেরা অবস্থায় হাজিরা দিয়ে ফিরে গেছেন মেসি। সঙ্গে ছিলেন ভাই রদ্রিগো। হোর্হে মেসিএর কিছুক্ষণ আগে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা হোর্হেও (ডানের ছবি)। বিচারকক্ষ রুদ্ধদ্বার ছিল বলে আসলে কী ঘটেছে, সেটা জানতে পারেনি কোনো সংবাদমাধ্যম। মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছিলেন বাবা-ছেলে দুজনই। তবে তাঁদের আইনজীবী জানিয়েছেন, দুজনই জেনেশুনে প্রতারণা করেননি বলে প্রমাণ করতে পেরেছেন। আয়করের ঝামেলা মিটিয়ে
ফেলার ব্যাপারে তাঁদের আন্তরিকতাটুকুও বোঝাতে পেরেছেন।
ফেরার পথে বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের মুখে হাসি আর ‘থাম্বস আপ’ দেখানো একটা বার্তা অবশ্য দিয়েছে। আদালতকক্ষে বিব্রতকর কিছু ঘটেনি, বরং আপাতত কিছুটা নির্ভারই তিনি। এএফপি।
বিস্তারিত পড়ুন

চীনে এক রোগীর জীবন বাঁচাতে কপালে অপারেশন করে নাক লাগানো হল

চীনে এক রোগীর জীবন বাঁচাতে কপালে অপারেশন করে নাক লাগানো হল

চীনে জিলিয়ান নামে ২২ বছর বয়সীএক যুবকের সড়ক দুর্ঘটনায় নাক অকার্যকর হয়ে গেলে সে দেশের ডাক্তাররা বাধ্য হয়েই তাকে বাঁচাতে তার কপালে আরেকটি নাক লাগিয়েছেন।

অনেকের বিষয়টি বিশ্বাস হবেনা তবে ঘটনা সত্যি সম্প্রতি চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের ডাক্তাররা রোগী বাঁচাতে এই নাক প্রতিস্থাপনের সার্জারি করতে বাধ্য হয়েছেন। Xiaolian নামের এই রোগী ২০১২ সালের আগস্টে এক ভয়াবহও সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। সে সময় তিনি কেবল মাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পেরেছিলেন কারণ তার আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল ছিল। ফলে সেপ্টেম্বরেই Xiaolian এর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে এক সময় তার মুখে ইনফেকশন দেখা দেয়। পরে Xiaolian ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে ডাক্তার জানায় তার নাকের অবস্থা সত্যি খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে এতে করে যেকোনো মুহূর্তে তার শ্বাস নেয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে তার আগের নাক আর ঠিক করা যাবেনা কারণ এটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।
পরবর্তীতে ডাক্তার Xiaolian কে জানায় তার নাক বিকল হয়ে গেলে সে মারা যেতে পারে এক্ষেত্রে তার কপালে সে যদি রাজি থাকে তবে আলগা আরেকটি নাক প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। Xiaolian রাজি হলে ডাক্তার তার কপালে তার পাঁজর থেকে মাংস নিয়ে নাক প্রতিস্থাপন করে দেন এতে করে Xiaolian এর জীবন বেঁচে যায়।
A-doctor-checks-the-infected-and-deformed-nose-of-Xiaolian-2299336
এখন Xiaolian এর নতুন নাকের বয়স ৯ মাস, সে নতুন নাখ নিয়ে দিব্যি ভালো আছে শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছে।
Xiaolian এর ডাক্তার Guo Zhihui বলেন,”আমরা জিলিয়ানের ক্ষেত্রে কঠিন অবস্থা কাটিয়ে এসেছি এখন আমরা তার মুখে প্লাস্টিক সার্জারি করতে পারব। তবে কপালে নাক প্রতিস্থাপন এর আগে কখনই হয়নি।“
Xiaolian বর্তমানে সুস্থ আছে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে আর একটি ক্ষুদ্র প্লাস্টিক সার্জারির পর।
সূত্রঃ নিউ ইয়র্ক পোস্ট



বিস্তারিত পড়ুন

স্ত্রীর ভয়ে সিগারেট ছেড়েছি

স্ত্রীর ভয়ে সিগারেট ছেড়েছি

24 Sep, 2013 12:32 PM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নাকি স্ত্রীর ভয়ে ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন। সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় তিনি রসিকতা করে এ কথা বলেন।
 
প্রেসিডেন্ট ওবামা সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ম্যানিয়া কিয়াইর সঙ্গে আলাপে মগ্ন ছিলেন। এ সময় তিনি ঠোঁটে দুষ্টমীর হাসি ছড়িয়ে মজা করে কিয়াইকে বলেন, ‘গত ছয় বছর ধরে আমি ধূমপান করি না। বৌয়ের ভয়ে সিগারেট ছেড়ে দিয়েছে।’ পাশেই তখন সিএনএনর মাইক্রোফোন চালু ছিল যা তিনি খেয়াল করেননি। পরে তার এ রসিকতা সিএনএনে প্রচারিত হয়।
 
ওবামা তার একসময়ের সহপাঠীকে বলেন, ‘আশা করি তুমিও সিগারেট ছেড়ে দিয়েছো।’ উত্তরে কিয়াই বলেন, ‘মাঝে মাঝে করি।’
 
উল্লেখ্য, ওবামা আর কিয়াই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে একসঙ্গে লেখাপড়া করেছেন।
 
প্রেসিডেন্ট ওবামা বরাবরই স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তবে একসময় তার সিগারেটের প্রতি দুর্বলতা ছিল। যুবক বয়সে তিনি নাকি নিয়মিত ধূমপান করতেন। আর এ অভ্যাসটি তিনি পেয়েছিলেন তার বাবার কাছ থেকে। ২০০৮ সালে নির্বাচনী প্রচারণায় তার ধূমপান ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি ছিল মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের আলোচিত বিষয়। তখন তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ধূমপান ত্যাগে ৯৫ ভাগ সফল হয়েছি। তবে  কদাচিৎ খাই।’ তবে তিনি কখনই তার মেয়েদের সামনে সিগারেট খাননি।
 
২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে হোয়াইট হাউস মুখপাত্র রবার্ট গিবস বলেন, গত নয় মাস ধরে ওবামা ধূমপান করছেন না। কাজের চাপ থাকা সত্ত্বেও তিনি এটি ছাড়ার চেষ্টা করছেন।
 
মার্কিন ফার্স্ট লেডি ওবামা পত্নী মিশেল ওবামাও নাকি  স্বামীর ‍সিগারেট খাওয়া পছন্দ করতেন না। তবে এ নিয়ে তিনি কখনও প্রেসিডেন্টকে জোরাজুরি করেননি।
বিস্তারিত পড়ুন

এক সপ্তাহের মধ্যেই পেপাল আসছে বাংলাদেশে।

এক সপ্তাহের মধ্যেই পেপাল আসছে বাংলাদেশে।


যেখানে বাংলাদেশের মন্ত্রি মিনিস্টার সবাই ব্যর্থ, যেখানে বাংলাদেশে পেপাল এর কার্যক্রম শুরু করা একদম অসম্ভব সেখান থেকেই শুরু অনন্ত জলিলের। কারন অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তের কাজ। কারন বাংলাদেশে এক সপ্তাহের মধ্যে আসছে পেপাল। আর  এর সকল কৃত্বিত্ত্ব বাংলার অলরাউন্ডার অনন্ত জলিলের।
পেছনের ঘটনাঃ  এখনকার মেয়েরা ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে।  তারা বুঝে গেছে মার্কেট ঘুরে ঘুরে জিনিস পত্র দেখার থেকে অনলাইনে দেখা সহজ। আর মার্কেটে গরম আর জ্যাম। এত কষ্ট কে করে?? এ ছাড়া কোনটা কেমন বয় ফ্রেন্ড কে ফেসবুকে লিঙ্ক পাঠিয়েই উত্তর পাওয়া যায়। এদিকে অনন্ত জলীলের বউ বর্ষার একটি ড্রেস পছন্দ হয়েছে। অর্ডার দিতে গিয়ে দেখে তার কার্ড সাপোর্ট করে না। ওদের শুধু পেপাল সাফোর্ট করে। এ দিয়ে বাংলাদেশে পেপাল নেই। তাই বর্ষা অনন্ত জলিলের কাছে বায়না ধরনে তার পেপাল চাই।
বর্ষার জন্য অনন্ত সব কিছু করতে পারে, হৃদপিন্ড খুলে দিতে পারে। হৃডপিন্ডের মধ্যে ৩ডি মুভি দেখাতে পারে। কারন নিস্বার্থ ভালোবাসাঃwhat is love?? আর এই তো সামান্য পেপাল।
তাই অনন্ত খোজ দ্য সার্চ করে পেপালের প্রধান কার্যালয় গিয়ে উঠে। পেপালের কার্যক্রম শুরু হয় 1998 সালে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু কেন করা হয় নিয় এতে অনন্ত জলিল ক্ষোভ প্রকাশ করে পেপালের প্রধান কার্যালয় Californiaতে যায়। গিয়ে তাদের পিলার ধরে ঝাঁকানি শুরু করায়  দ্রুত সবাই বিল্ডিং থেকে নেমে পড়ে। পরে কেন এমন ঝাঁকানি শুরু করছে তা জিজ্ঞেস করায়  অনন্ত জলিল বলে “আই অ্যাম নট ফম ঘানা, আই অ্যাম ফম বাংলাদেশ” “ইউ নো, বাংলাদেশে এখনো পেহপাল এখটিভিটি শুরু করে নি। বাংলাদেশ থেকে মেইল করলে মেইল এর রেসপন্স করা হয় না। আর তাই অ্যাাই অ্যাম হেয়ার। এক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশে পেপাল চাই।”
এদিকে পেপালের প্রধান কার্যালয়তে ঝাঁকি দেওয়ার ফলে ছোট খাটো একটা ভুমি কম্প শুরু হয়। পুলিশ বাহিনী মানুষকে সাবধান করতে পথে নেমে দেখে অনন্ত জলিলের কান্ড। পুলিশের কথায় নাক সরি কান না দেওয়ায় পুলিশ এফবিআইকে খবর দেয়। এফবিআই এসে গুলি শুরু করলে অনন্ত জলিল হাল্ক স্টাইলে মারা শুরু করে।। এতে সবাই ভয় পেয়ে যায়। কিছুতেই অনন্তকে থামাতে না পেরে পেপাল থেকে সম্মত হলো যে বাংলাদেশে এক সপ্তাহের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু করবে।
এ কথা শুনে অনন্ত শান্ত হয় এবং বাংলাদেশে উড়াল দিয়ে এসেই একটা প্রেস কনফারেন্স করে।।
an
অনেকটা রাজনৈতিক ভাষনের মত বলেঃ ভায়েরা, আপনারা জানেন, অসম্ভবকে সম্ভব করাই জলিলের কাজ। আর কোন চিন্তা নেই।  এক সপ্তাহের মধ্যেই পেপাল আসছে বাংলাদেশে। সবাই এবার ইচ্ছে করলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পারেন
বিস্তারিত পড়ুন

আনসার ক্যাম্পের রাইফেল পুড়িয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা

আনসার ক্যাম্পের রাইফেল পুড়িয়েছে বিক্ষুব্ধ  শ্রমিকরা


গাজীপুর : বেতন বৃদ্ধির দাবিতে টানা বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় একটি আনসার ক্যাম্পের রাইফেল লুট করে ভেঙে আগুনে পুড়িয়েছে  বিক্ষোভরত পোশাক শ্রমিকরা । শ্রমিকদের হামলায় আহত হয়েছে এই ক্যাম্পের অন্তত ৫ আনসার সদস্য। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাইপাস এলাকায় কলোসাস অ্যাপারেলস কারখানার পাশে আনসার ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট আনসার ক্যাম্পের ইন-চার্জ মো. নাসির আহমেদ জানান, বিভিন্ন কারখানার আন্দোলনরত শ্রমিকরা সকালে কলোসাস গার্মেন্টসের সামনে এসে শ্রমিকদের বিক্ষোভে যোগ দিতে ডাকে। এতে সাড়া না পেয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এই কারখানায় ভাংচুর শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তারা পাশের আনসার ক্যাম্পে চড়াও হয়। এ সময় তারা ক্যাম্প থেকে ৮টি রাইফেল ও ১৩৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয়। এরপর কলোসাস গার্মেন্টসের সামনের রাস্তায় গিয়ে ৪ টি রাইফেল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আর বাকি ৪টি পরে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়।শ্রমিকরা তাণ্ডব চালিয়ে রাইফেল পুড়িয়ে দেয়ার অনেক পরে পুলিশ আসে। তখন শ্রমিকরাও ওই এলাকা ত্যাগ করে বলে জানান নাসির। শ্রমিকদের হামলায় আহত আনসার সদস্য মো. রোকনুজ্জামান (৩০), আবু রায়হান (২৫), ক্যাম্প কমান্ডার আপন মোল্লা (৩২), শেখর কুমার (২৭) ও মাহালমকে (২৫) স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।আনসারের গাজীপুর জেলা কমান্ডার মীর আলমগীর হোসেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আনসার ক্যাম্পের ইন-চার্জ মো. নাসির আহমেদ ও গাজীপুর সদর উপজেলা আনসারের কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।নাসির আহমেদ জানান, বিভিন্ন কারখানার আন্দোলনরত শ্রমিকরা সকালে কলোসাসের বাইরে এসে কর্মীদের বিক্ষোভে যোগ দিতে বলে। তাতে সাড়া না পেয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ওই কারখানায় ভাংচুর শুরু করে এবং এক পর্যায়ে পাশের আনসার ক্যাম্পে চড়াও হয়। এ সময় তারা ক্যাম্প থেকে আটটি রাইফেল ও ১৩৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয় এবং এরপর কলোসাল গার্মেন্টের সামনের রাস্তার ওপর অবস্থান নেয়। সেখানে চারটি রাইফেল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আর বাকি চারটি পরে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় বলে নাসির আহমেদ জানান।তিনি জানান, শ্রমিকরা তাণ্ডব চালিয়ে রাইফেল পুড়িয়ে দেয়ার অনেক পরে পুলিশ আসে। তখন শ্রমিকরাও ওই এলাকা ত্যাগ করে। আনসারের গাজীপুর জেলা কমান্ডার মীর আলমগীর হোসেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আনসার ক্যাম্পের ইন-চার্জ মো. নাসির আহমেদ ও গাজীপুর সদর উপজেলা আনসারের কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বিস্তারিত পড়ুন

আমির খানকে চুমো খেতে নারাজ আনুশকা শর্মা!

আমির খানকে চুমো খেতে নারাজ আনুশকা শর্মা!


২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ১২:৩০:৪০



বলিউডের পরিচালক রাজকুমার হিরানির 'পিকে' সিনেমায় আমির খান ও আনুশকা শর্মার উষ্ণ চুমোর দৃশ্য থাকবে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল কয়েকদিন আগে। খবরে বলা হয়েছিল, ভারতীয় সিনেমায় এত দীর্ঘ চুমোর দৃশ্য এর আগে চিত্রায়িত হয়নি। কিন্তু এ সিনেমারই এক প্রচার অনুষ্ঠানে খবরটিকে উড়িয়ে দিলেন আনুশকা শর্মা।

নিজ মুখে আনুশকা বলেন, দীর্ঘ চুমোর কোনো রেকর্ড তৈরি করা বা ভঙ্গ করার আগে সব সিনেমা দেখে চুমোর দৃশ্যগুলো পর্যবেক্ষণ করা উচিত অভিনেতাদের। আমাদের হাতে এত সময় নেই, এরকম কোনো ইচ্ছাও নেই।

আনুশকা বলেন, এটি একেবারে ফালতু প্রচারণা। এমন কিছুই নেই। গসিপবাজদের কাজ এটি। পিকেতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যা দেখার মতো। কিন্তু সেগুলো নিয়ে তো আগ্রহ তৈরি হবে না।

রাজকুমার হিরানির পিকে মুক্তি পাবে ২০১৪ সালে। এটি একটি রাজনৈতিক স্যাটায়ায়।
বিস্তারিত পড়ুন


রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩
স্টাফ রিপোর্টার :ব্যাপক সমালোচনার মুখে পিছু হটেছে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়। ইংরেজি বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের ছাত্রী হাফসা ইসলামের আইডি কার্ড সক্রিয় করে দেওয়াসহ বেশিকিছু বিষয়ে নিয়ম শিথিল করার প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হাফসার পরিবার বলেছে যে ড্রেসকোড নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সেটাই পরিবর্তন করতে হবে। হাফসাকে পরবর্তী সেমিস্টারে ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইসফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমরা চাই হাফসা ফের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসুক। তার বিষয়ে নিয়ম-কানুন শিথিল করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি চিঠি রোববার হাফসা ইসলামকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাফসার বড় ভাই  আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ঈসা বলেন, আমরা এ ধরনের কোন চিঠি পাইনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মৌখিক প্রস্তাব পেয়েছেন বলে জানান তিনি। আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ঈসা বলেন, কর্তৃপক্ষ বলছে হিজাব বা নিকাবের বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু ঠিকই তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে শুধু হাফসার হিজাব পরার বিষয়টি যদি শিথিল করা হয় তাহলে সে সিদ্ধান্ত মানা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেস কোড পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় বিষয়টি আইনগতভাবেই মোকাবিলা করা হবে। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ঈসা বলেন, হাফসাকে যে চিঠি দেয়া হয়েছে সেখানে বোর্ড অব ট্রাস্টির সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে। আমাদের কথা হচ্ছে ওই ড্রেস কোডই পরিবর্তন করতে হবে। আর যেহেতু লিখিতভাবে হাফসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তাই লিখিতভাবেই তা প্রত্যাহার করতে হবে। আর সেটা বোর্ড অব ট্রাস্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হতে হবে। এ বিষয়ে ছাত্রী হাফসা ইসলাম বলেন, বোরকার সঙ্গে নেকাব পরায় গত দুই সেমিস্টার ধরে আমাকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এভাবে আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে বোরকা ও নেকাব ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। জানুয়ারিতে নোটিশ জারির পরই এ ধরনের কড়াকড়ি শুরু হয় বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ড্রেস কোডের দোহাই দিলেও গত ২২ শে জানুয়ারি একটি নোটিশ জারি করে। এতে ড্রেস কোড ও নিরাপত্তার অজুহাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের বোরকা, নেকাব ও হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়। এ নোটিশের পর যেসব ছাত্রী বোরকা, হিজাব কিংবা নেকাব পরতেন তাদের ২৮ শে মে শো’কজ করা হয়। হাফসাকেও একই দিনে শো’কজ করা হয়েছিল। ৩রা জুনের মধ্যে তার কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়। হাফসা জবাব দিলেও তা কর্তৃপক্ষের পছন্দ হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাকে গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিস্তারিত পড়ুন

পিছু হটল ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়

পিছু হটল ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়


রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩
স্টাফ রিপোর্টার :ব্যাপক সমালোচনার মুখে পিছু হটেছে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়। ইংরেজি বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের ছাত্রী হাফসা ইসলামের আইডি কার্ড সক্রিয় করে দেওয়াসহ বেশিকিছু বিষয়ে নিয়ম শিথিল করার প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হাফসার পরিবার বলেছে যে ড্রেসকোড নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সেটাই পরিবর্তন করতে হবে। হাফসাকে পরবর্তী সেমিস্টারে ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইসফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমরা চাই হাফসা ফের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসুক। তার বিষয়ে নিয়ম-কানুন শিথিল করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি চিঠি রোববার হাফসা ইসলামকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাফসার বড় ভাই  আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ঈসা বলেন, আমরা এ ধরনের কোন চিঠি পাইনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মৌখিক প্রস্তাব পেয়েছেন বলে জানান তিনি। আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ঈসা বলেন, কর্তৃপক্ষ বলছে হিজাব বা নিকাবের বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু ঠিকই তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে শুধু হাফসার হিজাব পরার বিষয়টি যদি শিথিল করা হয় তাহলে সে সিদ্ধান্ত মানা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেস কোড পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় বিষয়টি আইনগতভাবেই মোকাবিলা করা হবে। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ঈসা বলেন, হাফসাকে যে চিঠি দেয়া হয়েছে সেখানে বোর্ড অব ট্রাস্টির সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে। আমাদের কথা হচ্ছে ওই ড্রেস কোডই পরিবর্তন করতে হবে। আর যেহেতু লিখিতভাবে হাফসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তাই লিখিতভাবেই তা প্রত্যাহার করতে হবে। আর সেটা বোর্ড অব ট্রাস্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হতে হবে। এ বিষয়ে ছাত্রী হাফসা ইসলাম বলেন, বোরকার সঙ্গে নেকাব পরায় গত দুই সেমিস্টার ধরে আমাকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এভাবে আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে বোরকা ও নেকাব ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। জানুয়ারিতে নোটিশ জারির পরই এ ধরনের কড়াকড়ি শুরু হয় বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ড্রেস কোডের দোহাই দিলেও গত ২২ শে জানুয়ারি একটি নোটিশ জারি করে। এতে ড্রেস কোড ও নিরাপত্তার অজুহাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের বোরকা, নেকাব ও হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়। এ নোটিশের পর যেসব ছাত্রী বোরকা, হিজাব কিংবা নেকাব পরতেন তাদের ২৮ শে মে শো’কজ করা হয়। হাফসাকেও একই দিনে শো’কজ করা হয়েছিল। ৩রা জুনের মধ্যে তার কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়। হাফসা জবাব দিলেও তা কর্তৃপক্ষের পছন্দ হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাকে গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিস্তারিত পড়ুন



সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুমকি হেফাজতের
ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি। তবে ঘেরাও কর্মসূচি পালনের কোনো নির্দিষ্ট সময় সংগঠনটি ঘোষণা করেনি।

শনিবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় জামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদ্রাসা মিলনায়তনে ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচিসহ মোট সাত দফা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের আমির আহমদ শফী। সম্মেলন থেকে আট দফা দাবিও ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে প্রস্তাবিত কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন’২০১৩ সংসদে পাস না করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর ১২টায় সারাদেশে একযোগে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

ঘোষিত অন্য কর্মসূচির মধ্যে আছে, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সব জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন করা, ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ওলামা-সুধী সমাবেশ এবং পেশাজীবী সংলাপের আয়োজন করা, আগামী ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে দু’দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলন করা, ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যেক জেলায় শানে রেসালত সম্মেলন, ‘শহীদ’দের কবর জিয়ারত ও ‘শহীদ’দের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রয়োজনীয় তথ্য কেন্দ্রে প্রেরণ করা এবং আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সচিবালয় ঘেরাও।

হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, নূর হোসাইন কাশেমী, জুনায়েদ আল হাবীব, সাইফুর রহমান, মোস্তাফা আল হোসাইনী, জাফর উলাহ খান, আব্দুল লতিফ নেজামী, সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশা, সেলিম উল্লাহ, মোহাম্মদ ইউনুস, আজাহারুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, আবুল হাছনাত আমিনী, সালাউদ্দিন, শামসুল আলম, মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী।

সম্মেলনে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট শূরা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া ২৫ সদস্য বিশিষ্ট সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে হেফাজতের আলোচিত-সমালোচিত নেতা মাইনউদ্দিন রুহীকে সম্মেলনস্থলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।
সম্মেলন থেকে ঘোষিত দাবিগুলো হচ্ছে, হেফাজতে ইসলাম ঘোষিত ১৩ দফা দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন, গত ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে সংঘটিত ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি ওয়াক্কাছের মুক্তি, আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নারী নীতিমালা প্রণয়ন, কওমি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আইন’২০১৩ সংসদে পাস করার তৎপরতা বন্ধ করা, মাদ্রাসায় ছাত্র কমানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ধৃষ্টতামূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করা, আহমদ শফীসহ আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রী-এমপিদের মিথ্যাচার বন্ধ করা, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও অধিকারের সাধারণ সম্পাদক আদিলুর রহমানের মুক্তি ও বন্ধ করে দেওয়া মিডিয়া খুলে দেওয়া।

উল্লেখ্য, কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগসহ সারাদেশে গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের নাস্তিক আখ্যায়িত করে এবং ব্লগারদের বিরুদ্ধে ইসলামবিদ্বেষী লেখালেখির অভিযোগ তুলে গত ফেব্রুয়ারিতে মাঠে নামে হেফাজতে ইসলাম। শুরু থেকেই সংঘাতপূর্ণ বিভিন্ন বক্তব্য-বিবৃতি ও কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি আলোচিত হয়ে ওঠে।

গত ৫ মে সংগঠনটির ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটে। শত শত দোকানপাট, কোরআন শরিফ ও যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা মতিঝিলে অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।

এক পর্যায়ে পরদিন ভোরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের মতিঝিল থেকে সরিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর হেফাজতে ইসলাম তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিহত হবার অভিযোগ তোলে। তাদের অভিযোগে সুর মেলায় বিএনপিসহ বিভিন্ন বিরোধীদলও।

তবে শনিবার হেফাজতে ইসলামের ওলামা-মাশায়েখে সম্মেলনে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করার সেই অভিযোগ আর কোন নেতা তোলেননি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিস্তারিত পড়ুন

সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুমকি হেফাজতের

সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুমকি হেফাজতের



সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুমকি হেফাজতের
ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি। তবে ঘেরাও কর্মসূচি পালনের কোনো নির্দিষ্ট সময় সংগঠনটি ঘোষণা করেনি।

শনিবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় জামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদ্রাসা মিলনায়তনে ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচিসহ মোট সাত দফা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের আমির আহমদ শফী। সম্মেলন থেকে আট দফা দাবিও ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে প্রস্তাবিত কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন’২০১৩ সংসদে পাস না করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর ১২টায় সারাদেশে একযোগে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

ঘোষিত অন্য কর্মসূচির মধ্যে আছে, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সব জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন করা, ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ওলামা-সুধী সমাবেশ এবং পেশাজীবী সংলাপের আয়োজন করা, আগামী ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে দু’দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলন করা, ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যেক জেলায় শানে রেসালত সম্মেলন, ‘শহীদ’দের কবর জিয়ারত ও ‘শহীদ’দের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রয়োজনীয় তথ্য কেন্দ্রে প্রেরণ করা এবং আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সচিবালয় ঘেরাও।

হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, নূর হোসাইন কাশেমী, জুনায়েদ আল হাবীব, সাইফুর রহমান, মোস্তাফা আল হোসাইনী, জাফর উলাহ খান, আব্দুল লতিফ নেজামী, সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশা, সেলিম উল্লাহ, মোহাম্মদ ইউনুস, আজাহারুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, আবুল হাছনাত আমিনী, সালাউদ্দিন, শামসুল আলম, মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী।

সম্মেলনে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট শূরা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া ২৫ সদস্য বিশিষ্ট সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে হেফাজতের আলোচিত-সমালোচিত নেতা মাইনউদ্দিন রুহীকে সম্মেলনস্থলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।
সম্মেলন থেকে ঘোষিত দাবিগুলো হচ্ছে, হেফাজতে ইসলাম ঘোষিত ১৩ দফা দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন, গত ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে সংঘটিত ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি ওয়াক্কাছের মুক্তি, আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নারী নীতিমালা প্রণয়ন, কওমি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আইন’২০১৩ সংসদে পাস করার তৎপরতা বন্ধ করা, মাদ্রাসায় ছাত্র কমানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ধৃষ্টতামূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করা, আহমদ শফীসহ আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রী-এমপিদের মিথ্যাচার বন্ধ করা, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও অধিকারের সাধারণ সম্পাদক আদিলুর রহমানের মুক্তি ও বন্ধ করে দেওয়া মিডিয়া খুলে দেওয়া।

উল্লেখ্য, কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগসহ সারাদেশে গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের নাস্তিক আখ্যায়িত করে এবং ব্লগারদের বিরুদ্ধে ইসলামবিদ্বেষী লেখালেখির অভিযোগ তুলে গত ফেব্রুয়ারিতে মাঠে নামে হেফাজতে ইসলাম। শুরু থেকেই সংঘাতপূর্ণ বিভিন্ন বক্তব্য-বিবৃতি ও কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি আলোচিত হয়ে ওঠে।

গত ৫ মে সংগঠনটির ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটে। শত শত দোকানপাট, কোরআন শরিফ ও যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা মতিঝিলে অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।

এক পর্যায়ে পরদিন ভোরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের মতিঝিল থেকে সরিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর হেফাজতে ইসলাম তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিহত হবার অভিযোগ তোলে। তাদের অভিযোগে সুর মেলায় বিএনপিসহ বিভিন্ন বিরোধীদলও।

তবে শনিবার হেফাজতে ইসলামের ওলামা-মাশায়েখে সম্মেলনে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করার সেই অভিযোগ আর কোন নেতা তোলেননি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিস্তারিত পড়ুন

ক্যান্সারাক্রান্ত বাংলাদেশি শিশুর পাশে সালমান

ক্যান্সারাক্রান্ত বাংলাদেশি শিশুর পাশে সালমান

বিস্তারিত পড়ুন

পেদ্রোর হ্যাটট্রিক, বড় জয় বার্সার

পেদ্রোর হ্যাটট্রিক, বড় জয় বার্সার

নিজের দ্বিতীয় গোলের পর পেদ্রোর উচ্ছ্বাস। এরপর হ্যাটট্রিক গোলেরও দেখা পেয়েছেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ছবি: রয়টার্স।
জিতেই চলেছে বার্সেলোনা। পেদ্রোর হ্যাটট্রিকে গত রাতে রায়ো ভায়েকানোকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।
স্কোরলাইনটাই বলে দিচ্ছে, এ ম্যাচে ভায়েকানোকে কতটা অসহায় করে তুলেছিলেন পেদ্রো। ম্যাচের প্রথম তিনটি গোলই করেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। দুটি গোল করেন প্রথমার্ধে (৩৩ ও ৪৭ মিনিট), একটি দ্বিতীয়ার্ধে (৭২ মিনিট)। ৮০ মিনিটের মাথায় বার্সার শেষ গোলটি করেন সেস ফ্যাব্রিগাস। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ছিলেন লিওনেল মেসি ও নেইমার। নিজেরা গোলের দেখা না পেলেও পেদ্রোর হ্যাটট্রিকে অবদান রাখেন তাঁরা। পেদ্রোর প্রথম গোলটিতে অবদান ছিল মেসির, আর তৃতীয় গোলে নেইমারের। মাঝের গোলটিতে অবদান ছিল ফ্যাব্রিগাসের।
গত রাতের জয়ের সুবাদে লা লিগায় বার্সার শীর্ষস্থানটা সুসংহত হলো আরও। পাঁচ ম্যাচে মেসিদের অর্জন পুরো ১৫ পয়েন্ট। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের অর্জনও ১৫ পয়েন্ট। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে বার্সা। ভিয়ারিয়াল ও রিয়াল মাদ্রিদের অবস্থান যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ। দুটি দলেরই চার ম্যাচে অর্জন ১০ পয়েন্ট। নামের পাশে ৬ গোল নিয়ে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে এগিয়ে আর্জেন্টাইন জাদুকর মেসি। গত রাতে হ্যাটট্রিক করে এক লাফে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন পেদ্রো। তাঁর গোলসংখ্যা এখন ৫। সমানসংখ্যক গোল করেছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড দিয়েগো কস্তা। সূত্র: রয়টার্স।
বিস্তারিত পড়ুন