‘গ্রামীণ ব্যাংককে ভেঙ্গে ১৯ টুকরো করার সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয়’


ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশের একমাত্র  প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংককে  খণ্ড-বিখণ্ড না করে এ ধরনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ আয়োজিত এক নাগরিক প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এ পরামর্শ দেন। বাংলাদেশ প্রজন্ম একাডেমী, গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষা ও দুর্জন প্রতিরোধ কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা আগামী ২ জুলাই থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংস করার প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ করার আহ্বান জানান।
‘গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উদ্দেশে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক সারা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে’ দাবি করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রউফ বলেন, একটি দেশকে গড়তে রাষ্ট্রের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোক্তারা কাজ করেন। তাদের সমর্থন দেয়া সরকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক সরকার ভেঙে দিতে চায়। যা রাষ্ট্রের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই বিচারপতি।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙার চেষ্টা  করছেন, তা না করে নতুন একটা করে দেখান। জাতিকে অনর্থক খারাপ জিনিস শেখাবেন না।’
গ্রামীণ ব্যাংককে ভেঙ্গে ১৯ টুকরো করার সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক সচিব এম মনিরুজ্জামান গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের উদ্যোগের প্রতিবাদে ২ জুলাই থেকে সবাইকে কালো ব্যাজ ধারণ করার আহ্বান জানান। প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে কলাম লেখক সাদেক খান, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বক্তব্য দেন।
এ আগে গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জনকারী এ প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার জন্য বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে উঠেপড়ে লেগেছে। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারি ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, “দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংকের সফলতা এবং এর দক্ষতার মূল কারিগর মুহাম্মদ ইউনূসকে অপমান করাই ছিল যেন এই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।”
উল্লেখ্য,  যে আইনী কাঠামোর মধ্য দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা লাভ করেছে, সেই  কাঠামোকে পরিবর্তন করে গ্রামীণ ব্যাংককে পল্লী বিদ্যুত্ সমিতির আদলে ১৯টি বা ততোধিক ক্ষুদ্র গ্রামীণ ব্যাংকে পরিণত করার  সুপারিশ করেছে সরকারী তদন্ত কমিশন।
এ প্রসঙ্গে  বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহিম খালেদ মনে করেন বিষয়টি নিয়ে মিডিয়াও বাড়াবাড়ি করছে।  তবে তিনি রেডিও তেরানকে বলেন,  সরকার গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে এতটা না করলেও পারতো।  বিষয়টা নিয়ে ড. ইউনুসের সাথে কথাবার্তা বলে একটা সমাধান বের করা যেত। তা যখন হয়নি, তখন  ইউনুস সাহেবের অবর্তমানে  কী করে প্রতিষ্ঠানটিকে আরো সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যায় সে পথটাই দেখতে হবে।
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সব ধরনের অশুভ পরিকল্পনা পরিহার করে দরিদ্র জনগোষ্ঠির সেবা করার প্রক্রিয়া  অব্যাহত  রাখার জন্য দেশের সুধী সমাজ ও আন্তর্জাতিক মহল বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।  ড. মুহাম্মদ ইউনুস নিজেও দেশবাসীর কাছে  আহ্বান জানিয়েছেন  তারা যেন লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মহিলাদের প্রতিষ্ঠান  গ্রামীণ ব্যাংককে রক্ষায় এগিয়ে আসেন।
এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সুহৃদ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙার প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “সরকার এখন বলছে ৫১ ভাগ শেয়ার তাদের দিতে হবে। আর না দিলে গ্রামীণ ব্যাংক টুকরো টুকরো করা হবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি এটি  আইনের কথা নয়। এটা গায়ের জোরের কথা।”
গ্রামীণ ব্যাংক ১৯ টুকরা করার যে প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে সরকার তা দেশবাসীকে একযোগে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন এ নোবেল বিজয়ী। রে,তে
- See more at: http://bd24live.com/2013/06/22/%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%a3-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a7%87%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87/#sthash.TUJs8eMs.dpufড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশের একমাত্র  প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংককে  খণ্ড-বিখণ্ড না করে এ ধরনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ আয়োজিত এক নাগরিক প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এ পরামর্শ দেন। বাংলাদেশ প্রজন্ম একাডেমী, গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষা ও দুর্জন প্রতিরোধ কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা আগামী ২ জুলাই থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংস করার প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ করার আহ্বান জানান।
‘গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উদ্দেশে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক সারা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে’ দাবি করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রউফ বলেন, একটি দেশকে গড়তে রাষ্ট্রের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোক্তারা কাজ করেন। তাদের সমর্থন দেয়া সরকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক সরকার ভেঙে দিতে চায়। যা রাষ্ট্রের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই বিচারপতি।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙার চেষ্টা  করছেন, তা না করে নতুন একটা করে দেখান। জাতিকে অনর্থক খারাপ জিনিস শেখাবেন না।’
গ্রামীণ ব্যাংককে ভেঙ্গে ১৯ টুকরো করার সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক সচিব এম মনিরুজ্জামান গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের উদ্যোগের প্রতিবাদে ২ জুলাই থেকে সবাইকে কালো ব্যাজ ধারণ করার আহ্বান জানান। প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে কলাম লেখক সাদেক খান, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বক্তব্য দেন।
এ আগে গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জনকারী এ প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার জন্য বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে উঠেপড়ে লেগেছে। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারি ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, “দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংকের সফলতা এবং এর দক্ষতার মূল কারিগর মুহাম্মদ ইউনূসকে অপমান করাই ছিল যেন এই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।”
উল্লেখ্য,  যে আইনী কাঠামোর মধ্য দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা লাভ করেছে, সেই  কাঠামোকে পরিবর্তন করে গ্রামীণ ব্যাংককে পল্লী বিদ্যুত্ সমিতির আদলে ১৯টি বা ততোধিক ক্ষুদ্র গ্রামীণ ব্যাংকে পরিণত করার  সুপারিশ করেছে সরকারী তদন্ত কমিশন।
এ প্রসঙ্গে  বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহিম খালেদ মনে করেন বিষয়টি নিয়ে মিডিয়াও বাড়াবাড়ি করছে।  তবে তিনি রেডিও তেরানকে বলেন,  সরকার গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে এতটা না করলেও পারতো।  বিষয়টা নিয়ে ড. ইউনুসের সাথে কথাবার্তা বলে একটা সমাধান বের করা যেত। তা যখন হয়নি, তখন  ইউনুস সাহেবের অবর্তমানে  কী করে প্রতিষ্ঠানটিকে আরো সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যায় সে পথটাই দেখতে হবে।
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সব ধরনের অশুভ পরিকল্পনা পরিহার করে দরিদ্র জনগোষ্ঠির সেবা করার প্রক্রিয়া  অব্যাহত  রাখার জন্য দেশের সুধী সমাজ ও আন্তর্জাতিক মহল বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।  ড. মুহাম্মদ ইউনুস নিজেও দেশবাসীর কাছে  আহ্বান জানিয়েছেন  তারা যেন লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মহিলাদের প্রতিষ্ঠান  গ্রামীণ ব্যাংককে রক্ষায় এগিয়ে আসেন।
এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সুহৃদ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙার প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “সরকার এখন বলছে ৫১ ভাগ শেয়ার তাদের দিতে হবে। আর না দিলে গ্রামীণ ব্যাংক টুকরো টুকরো করা হবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি এটি  আইনের কথা নয়। এটা গায়ের জোরের কথা।”
গ্রামীণ ব্যাংক ১৯ টুকরা করার যে প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে সরকার তা দেশবাসীকে একযোগে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন এ নোবেল বিজয়ী। রে,তে
- See more at: http://bd24live.com/2013/06/22/%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%a3-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a7%87%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87/#sthash.TUJs8eMs.dpufড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশের একমাত্র  প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংককে  খণ্ড-বিখণ্ড না করে এ ধরনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ আয়োজিত এক নাগরিক প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এ পরামর্শ দেন। বাংলাদেশ প্রজন্ম একাডেমী, গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষা ও দুর্জন প্রতিরোধ কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা আগামী ২ জুলাই থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংস করার প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ করার আহ্বান জানান।
‘গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উদ্দেশে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক সারা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে’ দাবি করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রউফ বলেন, একটি দেশকে গড়তে রাষ্ট্রের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোক্তারা কাজ করেন। তাদের সমর্থন দেয়া সরকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক সরকার ভেঙে দিতে চায়। যা রাষ্ট্রের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই বিচারপতি।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙার চেষ্টা  করছেন, তা না করে নতুন একটা করে দেখান। জাতিকে অনর্থক খারাপ জিনিস শেখাবেন না।’
গ্রামীণ ব্যাংককে ভেঙ্গে ১৯ টুকরো করার সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক সচিব এম মনিরুজ্জামান গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের উদ্যোগের প্রতিবাদে ২ জুলাই থেকে সবাইকে কালো ব্যাজ ধারণ করার আহ্বান জানান। প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে কলাম লেখক সাদেক খান, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বক্তব্য দেন।
এ আগে গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জনকারী এ প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার জন্য বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে উঠেপড়ে লেগেছে। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারি ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, “দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংকের সফলতা এবং এর দক্ষতার মূল কারিগর মুহাম্মদ ইউনূসকে অপমান করাই ছিল যেন এই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।”
উল্লেখ্য,  যে আইনী কাঠামোর মধ্য দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা লাভ করেছে, সেই  কাঠামোকে পরিবর্তন করে গ্রামীণ ব্যাংককে পল্লী বিদ্যুত্ সমিতির আদলে ১৯টি বা ততোধিক ক্ষুদ্র গ্রামীণ ব্যাংকে পরিণত করার  সুপারিশ করেছে সরকারী তদন্ত কমিশন।
এ প্রসঙ্গে  বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহিম খালেদ মনে করেন বিষয়টি নিয়ে মিডিয়াও বাড়াবাড়ি করছে।  তবে তিনি রেডিও তেরানকে বলেন,  সরকার গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে এতটা না করলেও পারতো।  বিষয়টা নিয়ে ড. ইউনুসের সাথে কথাবার্তা বলে একটা সমাধান বের করা যেত। তা যখন হয়নি, তখন  ইউনুস সাহেবের অবর্তমানে  কী করে প্রতিষ্ঠানটিকে আরো সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যায় সে পথটাই দেখতে হবে।
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সব ধরনের অশুভ পরিকল্পনা পরিহার করে দরিদ্র জনগোষ্ঠির সেবা করার প্রক্রিয়া  অব্যাহত  রাখার জন্য দেশের সুধী সমাজ ও আন্তর্জাতিক মহল বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।  ড. মুহাম্মদ ইউনুস নিজেও দেশবাসীর কাছে  আহ্বান জানিয়েছেন  তারা যেন লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মহিলাদের প্রতিষ্ঠান  গ্রামীণ ব্যাংককে রক্ষায় এগিয়ে আসেন।
এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সুহৃদ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙার প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “সরকার এখন বলছে ৫১ ভাগ শেয়ার তাদের দিতে হবে। আর না দিলে গ্রামীণ ব্যাংক টুকরো টুকরো করা হবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি এটি  আইনের কথা নয়। এটা গায়ের জোরের কথা।”
গ্রামীণ ব্যাংক ১৯ টুকরা করার যে প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে সরকার তা দেশবাসীকে একযোগে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন এ নোবেল বিজয়ী। রে,তে
- See more at: http://bd24live.com/2013/06/22/%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%a3-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a7%87%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87/#sthash.TUJs8eMs.dpufড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশের একমাত্র  প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংককে  খণ্ড-বিখণ্ড না করে এ ধরনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ আয়োজিত এক নাগরিক প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এ পরামর্শ দেন। বাংলাদেশ প্রজন্ম একাডেমী, গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষা ও দুর্জন প্রতিরোধ কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা আগামী ২ জুলাই থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংস করার প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণ করার আহ্বান জানান।
‘গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উদ্দেশে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক সারা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে’ দাবি করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রউফ বলেন, একটি দেশকে গড়তে রাষ্ট্রের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোক্তারা কাজ করেন। তাদের সমর্থন দেয়া সরকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক সরকার ভেঙে দিতে চায়। যা রাষ্ট্রের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই বিচারপতি।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙার চেষ্টা  করছেন, তা না করে নতুন একটা করে দেখান। জাতিকে অনর্থক খারাপ জিনিস শেখাবেন না।’
গ্রামীণ ব্যাংককে ভেঙ্গে ১৯ টুকরো করার সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক সচিব এম মনিরুজ্জামান গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের উদ্যোগের প্রতিবাদে ২ জুলাই থেকে সবাইকে কালো ব্যাজ ধারণ করার আহ্বান জানান। প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে কলাম লেখক সাদেক খান, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বক্তব্য দেন।
এ আগে গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জনকারী এ প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার জন্য বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে উঠেপড়ে লেগেছে। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারি ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, “দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংকের সফলতা এবং এর দক্ষতার মূল কারিগর মুহাম্মদ ইউনূসকে অপমান করাই ছিল যেন এই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।”
উল্লেখ্য,  যে আইনী কাঠামোর মধ্য দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা লাভ করেছে, সেই  কাঠামোকে পরিবর্তন করে গ্রামীণ ব্যাংককে পল্লী বিদ্যুত্ সমিতির আদলে ১৯টি বা ততোধিক ক্ষুদ্র গ্রামীণ ব্যাংকে পরিণত করার  সুপারিশ করেছে সরকারী তদন্ত কমিশন।
এ প্রসঙ্গে  বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহিম খালেদ মনে করেন বিষয়টি নিয়ে মিডিয়াও বাড়াবাড়ি করছে।  তবে তিনি রেডিও তেরানকে বলেন,  সরকার গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে এতটা না করলেও পারতো।  বিষয়টা নিয়ে ড. ইউনুসের সাথে কথাবার্তা বলে একটা সমাধান বের করা যেত। তা যখন হয়নি, তখন  ইউনুস সাহেবের অবর্তমানে  কী করে প্রতিষ্ঠানটিকে আরো সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যায় সে পথটাই দেখতে হবে।
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সব ধরনের অশুভ পরিকল্পনা পরিহার করে দরিদ্র জনগোষ্ঠির সেবা করার প্রক্রিয়া  অব্যাহত  রাখার জন্য দেশের সুধী সমাজ ও আন্তর্জাতিক মহল বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।  ড. মুহাম্মদ ইউনুস নিজেও দেশবাসীর কাছে  আহ্বান জানিয়েছেন  তারা যেন লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মহিলাদের প্রতিষ্ঠান  গ্রামীণ ব্যাংককে রক্ষায় এগিয়ে আসেন।
এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সুহৃদ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক ভাঙার প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “সরকার এখন বলছে ৫১ ভাগ শেয়ার তাদের দিতে হবে। আর না দিলে গ্রামীণ ব্যাংক টুকরো টুকরো করা হবে। তিনি বলেন, আমি মনে করি এটি  আইনের কথা নয়। এটা গায়ের জোরের কথা।”
গ্রামীণ ব্যাংক ১৯ টুকরা করার যে প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে সরকার তা দেশবাসীকে একযোগে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন এ নোবেল বিজয়ী। রে,তে
- See more at: http://bd24live.com/2013/06/22/%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%a3-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a7%87%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87/#sthash.TUJs8eMs.dpuf

Techvoice template ad banner
Related Posts
Previous
« Prev Post