বুধবার জাতীয় সংসদে শেখ সেলিমের এই
বক্তব্যের আগে এলডিপি সভাপতি অলি আহমদ বলেন, “রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে গুলি করে
হেফাজতের প্রায় আড়াই হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।”
ওই সময় সরকারি দলের সদস্যরা হৈ-চৈ করে
ওঠেন। এরপর বক্তব্য দিতে দাঁড়িয়ে শেখ সেলিম বিরোধী
সদস্যদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
হেফাজতের পাশে
ঢাকাবাসীকে দাঁড়াতে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার আহ্বান জানানোর নিন্দা
জানিয়ে তিনি বলেন, “কোনো ঈমানদার মানুষ কোরান পোড়াতে পারে না। আপনি
(খালেদা
জিয়া) এর কোনো প্রতিবাদ না
করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেন। এ কোন রাজনীতি!”
শেখ সেলিম তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী দলের
উদ্দেশে বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে। অংশীদার
হতে চাইলে আসুন। নির্বাচনে কোনো কারচুপি হবে না। জনগণ যাকে ভোট দেবে, সে রায়
আমরা মেনে নেব।”
বিএনপির মওদুদ আহমদের উদ্দেশে তিনি বলেন,
“আপনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেন। আপনি একজন আইনীজীবী। আদালত যেটাকে অসাংবিধানিক-অবৈধ
বলেছে সেটা কিভাবে রাখা যায়?”নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে ‘পানি ঘোলা’ না
করতেও বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান সরকারি দলের এই সংসদ সদস্য।
“নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা নির্বাচনকালীন কোনো সরকারের দাবি থাকলে
বলুন, যুক্তিসঙ্গত হলে আমরা মেনে নেব।”
এলডিপি সভাপতি অলি সরকারের
সমালোচনা করে বলেন, “বর্তমান সরকারের আমলে ১০ লাখ
বিনিয়োগকারী তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ তুলে নিয়ে বিদেশে চলে গেছে।
“যে
অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজার বোঝেন না,
লুণ্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে
ব্যর্থ, তার ওই পদে
থাকার কোনো সুযোগ নেই।”