গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করতে গিয়ে তাকে একজন ‘রাজনীতিবিদ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
“তিনি অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। কিছু বলতে চাই না। তারপরেও বলতে বাধ্য হচ্ছি।”
বৈঠকের শুরুতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ সদস্য মওদুদ আহমদ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের কাঠামো বিকেন্দ্রীকরণের চেষ্টা সরকারের জন্য ‘আত্মঘাতী’ হবে।
এরপর এ বিষয়ে প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা চলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১৯৮৩ সালে একটি সামরিক অধ্যাদেশের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের সূচনা হয়। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টাকে ‘শান্তি স্থাপন’ বিবেচনা করে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংককে।
এরপর ২০১০ এর ডিসেম্বরে নরওয়ের টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ব্যাংককে দেওয়া বিদেশি অর্থ এক তহবিল থেকে অন্য তহবিলে স্থানান্তরের অভিযোগ ওঠে। এরপর দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় একটি কমিশন গঠন করে সরকার। সম্প্রতি কমিশন তাদের প্রতিবেদনে ব্যাংকের বর্তমান কাঠামো বদলে বিকেন্দ্রীকরণের সুপারিশ করে বলে গণমাধমের খবর।এ বিষয়ে আলোচনার জন্য ২ জুলাই রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে একটি কর্মশালারও আয়োজন করা হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রীকরণ ও সরকারি শেয়ার বাড়ানোর পদক্ষেপ না নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের নয়জন নারী সদস্য।
গ্রামীণ ফোনের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো সম্পর্ক নেই- ড. ইউনূসের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেন, “বক্তব্যটি মিথ্যা। সঠিক নয়।”
মুহিত বলেন, “ইউনূস সাহেব গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়ার পরে এখন অনেক উন্নত হয়েছে। উনি সময় দিতে পারতেন না। বোর্ড সভায় কোনো সিদ্ধান্ত হতো না।”
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, তার দল আগামীতে ক্ষমতায় গেলে গ্রামীণ ব্যাংকের ‘সব ক্ষমতা’ ফিরিয়ে দেবে, আগের মতো ‘স্বাধীনতা’ দেব।