আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য একইসঙ্গে মনে করেন, ভুল শোধরানোর জন্য এই পরিস্থিতি ‘প্রয়োজন’ ছিল।
রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটে হারের পর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার যোগাযোগমন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “চারটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হারার পর অবশ্যই আমরা বেকায়দার আছি, অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
“তবে এই পরাজয় প্রয়োজন ছিল। না হলে আমরা ভুল সংশোধনের সুযোগ পেতাম না।”
সিটি নির্বাচনে পরাজয় আগামী জাতীয় নির্বাচনেও হারের ইঙ্গিত দেয় কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “জনপ্রিয়তার পারদ উঠানামা করে, আগামী চার মাসে রাজনীতির খেয়ালী মাতাল হাওয়া কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা বলা সম্ভব নয়।”
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের যেসব অভিযোগ বিরোধী দল তুলছে, তা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
“গাজীপুরের নির্বাচনও নিরপেক্ষ হবে, এ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বা জবরদস্তিমূলক কোনো পলিসি সরকারের নেই।”
কাদের বলেন, গাজীপুরে সমর্থনের ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি বিভক্ত হয়ে গেছে।
Communication Minister Obaidul Quader briefs reporters at Shetu Bhaban in Dhaka on Thursday. Photo: mustafiz mamun/ bdnews24.com/ Dhaka, Dec 06, 2012
<a href="http://www.kutubdiabarta.blogspot.com">kutubdia island</a>
“জাতীয় পার্টির কেউ কেউ আজমত উল্লার পক্ষে এবং কেউ কেউ এম এ মান্নানের পক্ষে কাজ করছে। এখানে তারা বিভক্ত হয়ে গেছে। এরশাদ সাহেবের কথাই ঠিক, যেহেতু তিনি অফিসিয়ালি সমর্থন দেননি, তিনি বিষয়টি ওপেন রেখেছেন।”
আগামী জাতীয় নির্বাচনে এরশাদ বা জাতীয় পার্টির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “জনগণ যদি এরশাদকে রায় দেয়, ফ্যাক্টর মনে করে তাহলে সে রায় কি আমি অস্বীকার করব।”
দেশের বর্তমান রাজনীতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “ভোটের রাজনীতিতে আদর্শের প্রশ্নে কম্প্রোমাইজ করতে করতে রাজনীতি নীতিহীন হয়ে পড়েছে।”
কালো টাকার প্রভাবে নির্বাচনে ‘ভালো’ মানুষরা প্রার্থী হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বলেও মনে করেন তিনি।