পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ের পর নতুন রাজনৈতিক মিত্রের সন্ধান করছে সরকারি দল। রাজনৈতিক ময়দানে একের পর এক বিপর্যয় ঘটার পর তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে তারা। ইতোমধ্যে সরকারপ্রধান আগামী অক্টোবরে সংসদ ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নির্দলীয় নিরপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অটল রয়েছে বিরোধী দল। ঈদের পর এ দাবিতে তীব্র আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার প্রোপটে আগামী তিন মাসের মধ্যে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হলে নির্বাচন নিয়ে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। অনেকটাই একাকী হয়ে পড়া সরকারি দল সে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে মনে করছে না। প্রধান দুই দলের এ সঙ্ঘাতের আশঙ্কার মধ্যেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো সঙ্কটের মধ্যে পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। ২০০৮ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। তার আগে এক রক্তাক্ত সঙ্ঘাতের মধ্যে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সে সময় সরকারের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছিল বর্তমান প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বিএনপি মতায় ফিরে আসার সব ধরনের চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু কোনো চেষ্টা কৌশলই কাজে লাগেনি। সব দলের সমর্থনে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন হয়েছিল তার ধারাবাহিকতাও রা হয়নি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে অনেকেই ২০০৬ সালের পরিস্থিতির সাথে তুলনা করছেন। তারা বলছেন, প্রধান দুই দল পরস্পরবিরোধী অবস্থান অব্যাহত রাখলে তা খারাপ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আওয়ামী লীগ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পেছনে প্রধান কারণ ছিল বিএনপি মাঠে সক্রিয় হতে না পারা। রাষ্ট্রের প্রশাসনযন্ত্র ছিল সম্পূর্ণরূপে আওয়ামী লীগের অনুকূল। বিদেশী মিত্ররা বিএনপি ও তার সহযোগীদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। দুর্নীতি ও স্বজন-তোষণের প্রচারণার বিরুদ্ধে তাদের বক্তব্য জোরালো ছিল না। আওয়ামী লীগের প্রচারণা ছিল আক্রমণাত্মক। তদুপরি ঘরে ঘরে চাকরি দেয়া, চালের কেজি ১০ টাকা করা, বেকারত্বের অবসান, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সুশাসন নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু সস্তা ধরনের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল তারা। গত সাড়ে চার বছরে পাওয়া না পাওয়ার হিসাব মেলাতে গিয়ে জনগণ বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। রাষ্ট্রের জন্য অপ্রয়োজনীয় বিষয়েই এ ক’বছর তারা বেশি মনোযোগী ছিল। রাজনৈতিক দমন-নিপীড়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দেশে ভিন্নমতাবলম্বীদের বসবাস করাই দুরূহ হয়ে উঠেছে। কাজের চেয়ে কথা বেশি হচ্ছেÑ সরকার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া এমনই। আবার সরকার সব কথারই প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে কাজের পরিবেশ ও মনোযোগ উভয়ই নষ্ট করছে। ফলে সমাজে উগ্রতা, হিংসা ও বিদ্বেষপূর্ণ অসহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘরে-বাইরে আওয়ামী লীগ এখন উভয় সঙ্কটে। আওয়ামী লীগের মূলধারার ত্যাগী নেতাকর্মীরা হতাশ। তাদের অভিযোগ আওয়ামী লীগে বহিরাগত বামপন্থীদের ভিড় বেড়েছে। তারা ক্রমান্বয়ে দলকে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলছে বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে। খোদ দলীয় প্রধানের সামনেই এ অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে খুব বেশি কাজ হয়নি। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সরকারের দূরত্ব তৈরির পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। হেফাজতে ইসলামের সাথে সঙ্ঘাতে জড়িয়ে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন নিম্নমুখী হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যুটিকে রাজনৈতিক মোড়ক লাগিয়ে বিতর্কিত করেছে সরকারের লোকজনই। প্রশাসন সাজানো হয়েছে সম্পূর্ণ নিজেদের ইচ্ছামতো। তৃতীয় স্তর পর্যন্ত কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়েছে নিজেদের নির্বাচনী স্বার্থের অনুকূলে। প্রায় সাড়ে চার কোটি নতুন প্রজন্মের ভোটার রয়েছে বাংলাদেশে। দিনবদলের স্লোগানে সাড়া দিয়ে তারা আওয়ামী লীগের প্রতি ঝুঁকেছিল। কিন্তু এসব তরুণ এখন হতাশ। সম্প্রতি কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন জুগিয়েছিল সরকারি দলের সমর্থক বহু তরুণ। তারা এখন দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইছে। ব্যাংক, বীমা, বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে। শেয়ারবাজারের হাজার হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠনের জবাব আজও মেলেনি। নীরব জনগোষ্ঠী নির্বাচনের কিছুটা সুযোগ পাওয়ায় নীরবেই তাদের মনোভাব জানিয়ে দিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, সিটি নির্বাচনে পরাজয়কে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুর বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল সরকারি দল। কিন্তু তাদের কোনো কথায় আর আমল দিচ্ছে না সাধারণ মানুষ। তারা সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি সরকারি দলের পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালানো হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে আরো ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। নিঃসঙ্গ এবং একাকী অবস্থানে নির্বাচন হলে তাতে সরকারি দলের চরম ভরাডুবির কথা জানানো হয়েছে। মহাজোটের শরিকদের মধ্যে গা-ছাড়া ভাব। জাতীয় পার্টিকে বিশ্বাস করছে না আওয়ামী লীগের অনেকেই। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সরকারি দলের ুব্ধ প্রায় ১০ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে যাননি বলে তথ্য পাওয়া গেছে। শরিকদের মধ্যে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে ঈদের পর মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তৃণমূলপর্যায়ে দলকে সংগঠিত করতে পারলে নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় ঠেকানো সম্ভব বলে দলের হাইকমান্ড মনে করছে। একই সাথে বিরোধী দলগুলোর সাথে দূরুত্ব কিছুটা কমিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু মতায় শেষপ্রান্তে এসে সরকারের এ উদ্যোগ কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেছে।
সরকার নতুন মিত্রের সন্ধানে
পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ের পর নতুন রাজনৈতিক মিত্রের সন্ধান করছে সরকারি দল। রাজনৈতিক ময়দানে একের পর এক বিপর্যয় ঘটার পর তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে তারা। ইতোমধ্যে সরকারপ্রধান আগামী অক্টোবরে সংসদ ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নির্দলীয় নিরপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অটল রয়েছে বিরোধী দল। ঈদের পর এ দাবিতে তীব্র আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার প্রোপটে আগামী তিন মাসের মধ্যে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হলে নির্বাচন নিয়ে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। অনেকটাই একাকী হয়ে পড়া সরকারি দল সে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে মনে করছে না। প্রধান দুই দলের এ সঙ্ঘাতের আশঙ্কার মধ্যেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো সঙ্কটের মধ্যে পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। ২০০৮ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। তার আগে এক রক্তাক্ত সঙ্ঘাতের মধ্যে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সে সময় সরকারের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছিল বর্তমান প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বিএনপি মতায় ফিরে আসার সব ধরনের চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু কোনো চেষ্টা কৌশলই কাজে লাগেনি। সব দলের সমর্থনে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন হয়েছিল তার ধারাবাহিকতাও রা হয়নি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে অনেকেই ২০০৬ সালের পরিস্থিতির সাথে তুলনা করছেন। তারা বলছেন, প্রধান দুই দল পরস্পরবিরোধী অবস্থান অব্যাহত রাখলে তা খারাপ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আওয়ামী লীগ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পেছনে প্রধান কারণ ছিল বিএনপি মাঠে সক্রিয় হতে না পারা। রাষ্ট্রের প্রশাসনযন্ত্র ছিল সম্পূর্ণরূপে আওয়ামী লীগের অনুকূল। বিদেশী মিত্ররা বিএনপি ও তার সহযোগীদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। দুর্নীতি ও স্বজন-তোষণের প্রচারণার বিরুদ্ধে তাদের বক্তব্য জোরালো ছিল না। আওয়ামী লীগের প্রচারণা ছিল আক্রমণাত্মক। তদুপরি ঘরে ঘরে চাকরি দেয়া, চালের কেজি ১০ টাকা করা, বেকারত্বের অবসান, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সুশাসন নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু সস্তা ধরনের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল তারা। গত সাড়ে চার বছরে পাওয়া না পাওয়ার হিসাব মেলাতে গিয়ে জনগণ বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। রাষ্ট্রের জন্য অপ্রয়োজনীয় বিষয়েই এ ক’বছর তারা বেশি মনোযোগী ছিল। রাজনৈতিক দমন-নিপীড়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দেশে ভিন্নমতাবলম্বীদের বসবাস করাই দুরূহ হয়ে উঠেছে। কাজের চেয়ে কথা বেশি হচ্ছেÑ সরকার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া এমনই। আবার সরকার সব কথারই প্রতিক্রিয়া দেখাতে গিয়ে কাজের পরিবেশ ও মনোযোগ উভয়ই নষ্ট করছে। ফলে সমাজে উগ্রতা, হিংসা ও বিদ্বেষপূর্ণ অসহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘরে-বাইরে আওয়ামী লীগ এখন উভয় সঙ্কটে। আওয়ামী লীগের মূলধারার ত্যাগী নেতাকর্মীরা হতাশ। তাদের অভিযোগ আওয়ামী লীগে বহিরাগত বামপন্থীদের ভিড় বেড়েছে। তারা ক্রমান্বয়ে দলকে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলছে বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে। খোদ দলীয় প্রধানের সামনেই এ অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে খুব বেশি কাজ হয়নি। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সরকারের দূরত্ব তৈরির পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। হেফাজতে ইসলামের সাথে সঙ্ঘাতে জড়িয়ে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন নিম্নমুখী হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যুটিকে রাজনৈতিক মোড়ক লাগিয়ে বিতর্কিত করেছে সরকারের লোকজনই। প্রশাসন সাজানো হয়েছে সম্পূর্ণ নিজেদের ইচ্ছামতো। তৃতীয় স্তর পর্যন্ত কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়েছে নিজেদের নির্বাচনী স্বার্থের অনুকূলে। প্রায় সাড়ে চার কোটি নতুন প্রজন্মের ভোটার রয়েছে বাংলাদেশে। দিনবদলের স্লোগানে সাড়া দিয়ে তারা আওয়ামী লীগের প্রতি ঝুঁকেছিল। কিন্তু এসব তরুণ এখন হতাশ। সম্প্রতি কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন জুগিয়েছিল সরকারি দলের সমর্থক বহু তরুণ। তারা এখন দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইছে। ব্যাংক, বীমা, বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে। শেয়ারবাজারের হাজার হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠনের জবাব আজও মেলেনি। নীরব জনগোষ্ঠী নির্বাচনের কিছুটা সুযোগ পাওয়ায় নীরবেই তাদের মনোভাব জানিয়ে দিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, সিটি নির্বাচনে পরাজয়কে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুর বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল সরকারি দল। কিন্তু তাদের কোনো কথায় আর আমল দিচ্ছে না সাধারণ মানুষ। তারা সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি সরকারি দলের পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালানো হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে আরো ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। নিঃসঙ্গ এবং একাকী অবস্থানে নির্বাচন হলে তাতে সরকারি দলের চরম ভরাডুবির কথা জানানো হয়েছে। মহাজোটের শরিকদের মধ্যে গা-ছাড়া ভাব। জাতীয় পার্টিকে বিশ্বাস করছে না আওয়ামী লীগের অনেকেই। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সরকারি দলের ুব্ধ প্রায় ১০ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে যাননি বলে তথ্য পাওয়া গেছে। শরিকদের মধ্যে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে ঈদের পর মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তৃণমূলপর্যায়ে দলকে সংগঠিত করতে পারলে নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় ঠেকানো সম্ভব বলে দলের হাইকমান্ড মনে করছে। একই সাথে বিরোধী দলগুলোর সাথে দূরুত্ব কিছুটা কমিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু মতায় শেষপ্রান্তে এসে সরকারের এ উদ্যোগ কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেছে।