কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি


কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি


কুতুবদিয়ায় পূর্ণিমার জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে লোনা পানিতে তলীয়ে গেছে ৫০০ ঘর-বাড়ি।এ সব এলাকায় সদ্য রোপিত আউশের চারা লবনাক্ত পানির নীচে এখন। গত সোমবার(২৪ জুন) থেকে প্রতিদিন দু‘বার জোয়ারে অবিরাম সাগরের পানি প্রবেশ করছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও সরেজমিন দেখা যায়, উত্তরধুরুং আকবরবলী ঘাট,পূর্ব চরধুরুং,পশ্চিম চরধুরুং,ফয়জানি পাড়া,লেমশীখালী পেয়ারা কাটা,সতর উদ্দিন হাই স্কুল সংলগ্ন স্থানে খোলা বেড়িবাঁধ দিয়ে গত সোমবার থেকে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। পূর্ণ জোয়ারের সময় তীর বেগে লবনাক্ত পানি শত শত একর সদ্য রোপিত আউশ ক্ষেতে প্রবেশ করছে। এতে তলীয়ে গেছে কয়েক‘শ একর জমির চারা। এ সব এলাকার অন্তত: ৫০০ কাচা-পাকা ঘর পানির নীচে রয়েছে। এমন পরিস্থিতি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলবে বলে এলাকাবাসীরা জানান।
kutubdia flood,flood at kutubdia,kutubdia coxsbazar
Kutubdia
উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দৌলাহ,কুতুবদিয়া বাচাঁও আন্দোলনের সভাপতি আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী,উত্তর ধুরুং ফিশিং বোট মালিক সমিতির সেক্রেটারী মো: নাছির জানান,খোলা বেড়িবাঁধ ও চলমান বালি মাটির নির্মিত বাঁধ ভেঙে সহজেই জোয়ারের পানি ভিতরে প্রবেশ করে গত দু‘দিনে এ সব এলাকার প্রায় ৩‘শ ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া আউশের চারা বিনষ্ট হয়েছে কয়েক‘শ একর জমির।সতর উদ্দিন হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক শহীদ উল্লাহ কাইছার বিএসসি বলেন, জরুরী ভিত্তিতে নির্মিত বেড়িবাঁধ কয়েক দিনের জোয়ারের ধাক্কায় ভেঙে বিশাল এলাকা পানিতে সয়লাব। বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় খোলা থাকলেও ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাশ করতে পারবেনা।কাদা আর পানিতে একাকার বিদ্যালয় আঙ্গিনা।
অপর দিকে তীব্র বেগে সাগরের পানি ঢোকায় প্রতিদিন দু‘দফা মিরাখালী সড়ক তলিয়ে যাচ্ছে। সড়কে প্রায় হাঁটু পানি আচঁড়ে পড়ছে অপর প্রান্তে । এ সব এরাকায় ২‘শ বাড়ি এখন পানির নীচে। মাটির দেয়াল ধসে পড়েছে অর্ধশত কাচাঁ বাড়ির। যাত্রীবাহি টেম্পো,রিক্সা যাতায়াতে চরম ভোগান্তি হচ্ছে বলে যাত্রীরা জানান। আলী আকবর ডেইল জেলে পাড়া থেকে শুরু করে তাবালের চর পর্যন্ত পশ্চিম দক্ষিণে লোনা পানি প্রবেশ করেছে বলে  উপজেলা আ‘লীগ সেক্রেটারী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুচছাফা  জানিয়েছেন।লেমশী খালী ও উত্তরধুরুং এলাকার জনগন অভিযোগ করেন,চলমান বেড়িবাঁধ নির্মাণ হচ্ছে বালি মাটির। আবার কোন অংশে খোলা রেখেই চলে গেছে ঠিকাদার। যে কারণে অবাধে প্রবেশ করছে অস্বাভাবিক ফুলে ওঠা জোয়ারের পানি। ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে বাড়ি-ঘর,ফসলী জমির। পাউবো কর্তৃপক্ষ খোজঁ নিচ্ছেনা।Pani Bondi

Techvoice template ad banner
Related Posts
Previous
« Prev Post