নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : অবশেষে যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কী খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতা এস এম জাহিদ সিদ্দিক তারেক বুধবার রাতে র্যাবের 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছে।
রাজধানীর খিলক্ষেতে বিমানবন্দর সড়কে খিলক্ষেত থানার সামনে ঘটনা ঘটে। এসময় তারেকের আরেক সহযোগী শাহ আলম নিহত হয়েছে। শাহ আলম ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তারেককে গুলশান থানায় হস্তান্তর করার জন্য উত্তরার ফরচুন হাসপাতাল থেকে র্যাবের একটি গাড়িতে করে আনার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে র্যাব জানায়। র্যাবের মিডিয়া এ্যান্ড লিগ্যাল শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান বলেন, মিলকী খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তারেক বাদে অন্য ৬ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। গুলিবিদ্ধ তারেক উত্তরার ফরচুন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় সুস্থ হলে তাকে রাতেই গুলশান থানায় হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয় র্যাব। এর আগে তারেকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী র্যাব আরেক সহযোগী শাহ আলমকে গ্রেফতার করে। উত্তরার ঐ হাসপাতাল থেকে তারেককে র্যাবের একটি গাড়িতে নেয়া হয়। ঐ গাড়িতে গ্রেফতারকৃত আরেক আসামী শাহ আলম ছিলেন। খিলক্ষেত থানার কাছাকাছি পৌঁছলে একটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেট কার দিয়ে র্যাবের গাড়ির গতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়। এক পর্যায়ে ঐ গাড়ি থেকে সন্ত্রাসীরা র্যাবকে গুলি ছোঁড়ে। এসময় র্যাবের গাড়িতে অবস্থানরত দুই আসামী পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করলে র্যাব পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এতে ঐ দুই আসামী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এদিকে, তারেকের সঙ্গে নিহত শাহ আলমের পরিচয় জানা গেছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন যুবলীগের আরেক নেতা সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চলের ঘনিষ্ঠ জন শাহ আলম। বাড্ডা এলাকার যুবলীগের আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের চাঁদাবাজির এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত শাহ আলম। আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের মাধ্যমেই শাহ আলমের পরিচয় হয় চঞ্চলের সঙ্গে। চঞ্চলের সকল টেন্ডারবাজিতে এই শাহ আলমকে দেখা যেতো বলে জানিয়েছেন র্যাবের এক পদস্থ কর্মকর্তা। র্যাব দাবি করেছে, তারেক ইতিপূর্বে ২৮ টি খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারেক তার খুনের সকল তথ্য জানিয়ে দিয়েছে। |
Previous
« Prev Post
« Prev Post
Next
Next Post »
Next Post »
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)