নতুন পেলে?
ইন্টারনেট : আর্জেন্টিনায় কেউ পায়ের কারিকুরি দেখাতে পারলেই তাকে তুলনা করা হয় ডিয়েগো ম্যারাডোনার সাথে। পেলের ক্ষেত্রে বিষয়টা ব্যতিক্রম। ব্রাজিলের ফুটবল সম্রাটের সাথে কোনোকিছুই যেন তুলনীয় নয়। কিন্তু তুলনাটা এবার এসেই যাচ্ছে। বিশেষ করে পেলে যখন বিশ্বকাপ জেতার জন্য ‘এই দলটা যথেষ্ট ভালো নয়’ বলে মত দিলেন ঠিক এর কয়েকদিনের মধ্যে কনফেডারেশন্স কাপ জিতে একটা জবাব ছুড়ে দিয়েছে সেলেসাওরা। আর যাকে ঘিরে এই সাফল্য সেই নেইমার দ্য সিলভা সান্তোস জুনিয়রের মাঝে অনেকে খুঁজে পেয়েছেন নতুন পেলেকে। জাতীয় দলের জার্সিতে পাওয়া প্রথম এই সাফল্যে নেইমার নিজেও রোমাঞ্চিত, ‘যা আশা করেছিলাম তার চেয়েও আমরা ভালো খেলেছি। আমি সত্যিই ভীষণ খুশি। আমাদের অনেক মানুষকে আনন্দ দিতে পেরেছি। তবে এখন আমাদের পা মাটিতেই রাখতে হবে’। সাও পাওলোতে জন্ম নেয়া এই ফ্যাশন দুরন্তÍ তরুণ ভালো করেই জানেন তাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে আগামী বছর দেশের মাটিতে ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন।
পেলের মত মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জিততে পারেননি নেইমার। তবে ঐ বয়সে খেলেছেন পেলেরই সাবেক ক্লাব সান্তোসে। এই সান্তোসের হয়ে গত পাঁচ মৌসুমে ২২৫ ম্যাচে করেছেন ১৩৬ গোল, ৪৮ বছর পর ক্লাবকে এনে দিয়েছেন কোপা লিবার্তাদোরেস শিরোপা। পেলের পর নেইমারের পায়ের জাদুতেই মুকুটটা পেয়েছে সান্তোস। ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের গায়ে পেলের স্মৃতি বিজড়িত ১০ নম্বর জার্সিটা চাপিয়ে ব্রাজিলের ফুটবল কনফেডারেশন যে আস্থা রেখেছে সেটি বৃথা যায়নি। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলে নয় ম্যাচের যে গোল বন্ধ্যাত্ব সেটি কনফেডারেশন্স কাপের প্রথম ম্যাচের তৃতীয মিনিটেই কাটান নেইমার। মেক্সিকোর বিপক্ষে পরের ম্যাচে নিজে করেন একটি গোল, সতীর্থকে দিয়ে করান আরেকটি। ইতালির বিপক্ষে ফ্রি কিক থেকে টানা তিন ম্যাচে তৃতীয় গোল। সেমিফাইনালে উরুগুয়ের জাল খুঁজে না পেলেও ফ্রেড ও পাওলিনহোর দু’টো গোলেই আছে তার স্পর্শ। এরপর তো ফাইনালে করলেন টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ গোল। যে কারণে টুর্নামেন্ট সেরা ফুটবলারের গোল্ডেন বল এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে ব্রোঞ্জ বুট উঠেছে তার হাতে।
আর ক’দিন বাদেই বার্সেলোনায় জাভি, ইনিয়েস্তাদের সাথে খেলবেন নেইমার। তবে ফাইনালে এই আবেগ মোটেও স্পর্শ করেনি ২০১১’র দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা ফুটবলারকে, ‘আমি তাদের শ্রদ্ধা করি, প্রশংসা করি। কিন্তু আজ (গত ভোরে) আমি খেলেছি আমার দেশ ও পরিবারের হয়ে। চেষ্টা করেছি ওদের কাজটা কঠিন করতে’। নেইমারের বিশ্বাস মহাদেশীয় এ টুর্নামেন্ট জেতায় এখন প্রতিপক্ষরা যথেষ্ট সমীহ করবে র্যাংকিংয়ে ২২ এ নেমে যাওয়া ব্রাজিলকে। আর বার্সেলোনায় খেলাটাকে দেখছেন আগামী বছরের বিশ্বকাপের আগে নিজের আদর্শ প্রস্তুতি হিসেবে, ‘বিশ্বের অন্যতম বড় একটি ক্লাবে খেলতে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুতই ওখানে মানিয়ে নিতে পারব, যাতে আগামী বছর বিশ্বকাপে অসাধারণ কিছু করতে পারি’। কনফেডারেশন্স কাপের শিরোপা জেতার আগেই মার্কিন ক্রীড়া ম্যাগাজিন স্পোর্টস প্রো তাদের বিচারে নেইমারকে এগিয়ে রেখেছেন টানা চারবারের ফিফা ব্যালন ডি’অর লিওনেল মেসি ও গলফ্ তারকা ররি ম্যাকলরয়ের চেয়ে। প্রশংসার এই বৃষ্টিতেও বিনয়ে নত নেইমার, ‘এটা কাজেরই একটা অংশ। এই স্বীকৃতি বহন করা অনেক বড় দায়িত্বের, তবে ব্যাপারটা দারুণ’।
পেলের মত মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জিততে পারেননি নেইমার। তবে ঐ বয়সে খেলেছেন পেলেরই সাবেক ক্লাব সান্তোসে। এই সান্তোসের হয়ে গত পাঁচ মৌসুমে ২২৫ ম্যাচে করেছেন ১৩৬ গোল, ৪৮ বছর পর ক্লাবকে এনে দিয়েছেন কোপা লিবার্তাদোরেস শিরোপা। পেলের পর নেইমারের পায়ের জাদুতেই মুকুটটা পেয়েছে সান্তোস। ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের গায়ে পেলের স্মৃতি বিজড়িত ১০ নম্বর জার্সিটা চাপিয়ে ব্রাজিলের ফুটবল কনফেডারেশন যে আস্থা রেখেছে সেটি বৃথা যায়নি। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলে নয় ম্যাচের যে গোল বন্ধ্যাত্ব সেটি কনফেডারেশন্স কাপের প্রথম ম্যাচের তৃতীয মিনিটেই কাটান নেইমার। মেক্সিকোর বিপক্ষে পরের ম্যাচে নিজে করেন একটি গোল, সতীর্থকে দিয়ে করান আরেকটি। ইতালির বিপক্ষে ফ্রি কিক থেকে টানা তিন ম্যাচে তৃতীয় গোল। সেমিফাইনালে উরুগুয়ের জাল খুঁজে না পেলেও ফ্রেড ও পাওলিনহোর দু’টো গোলেই আছে তার স্পর্শ। এরপর তো ফাইনালে করলেন টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ গোল। যে কারণে টুর্নামেন্ট সেরা ফুটবলারের গোল্ডেন বল এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে ব্রোঞ্জ বুট উঠেছে তার হাতে।
আর ক’দিন বাদেই বার্সেলোনায় জাভি, ইনিয়েস্তাদের সাথে খেলবেন নেইমার। তবে ফাইনালে এই আবেগ মোটেও স্পর্শ করেনি ২০১১’র দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা ফুটবলারকে, ‘আমি তাদের শ্রদ্ধা করি, প্রশংসা করি। কিন্তু আজ (গত ভোরে) আমি খেলেছি আমার দেশ ও পরিবারের হয়ে। চেষ্টা করেছি ওদের কাজটা কঠিন করতে’। নেইমারের বিশ্বাস মহাদেশীয় এ টুর্নামেন্ট জেতায় এখন প্রতিপক্ষরা যথেষ্ট সমীহ করবে র্যাংকিংয়ে ২২ এ নেমে যাওয়া ব্রাজিলকে। আর বার্সেলোনায় খেলাটাকে দেখছেন আগামী বছরের বিশ্বকাপের আগে নিজের আদর্শ প্রস্তুতি হিসেবে, ‘বিশ্বের অন্যতম বড় একটি ক্লাবে খেলতে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুতই ওখানে মানিয়ে নিতে পারব, যাতে আগামী বছর বিশ্বকাপে অসাধারণ কিছু করতে পারি’। কনফেডারেশন্স কাপের শিরোপা জেতার আগেই মার্কিন ক্রীড়া ম্যাগাজিন স্পোর্টস প্রো তাদের বিচারে নেইমারকে এগিয়ে রেখেছেন টানা চারবারের ফিফা ব্যালন ডি’অর লিওনেল মেসি ও গলফ্ তারকা ররি ম্যাকলরয়ের চেয়ে। প্রশংসার এই বৃষ্টিতেও বিনয়ে নত নেইমার, ‘এটা কাজেরই একটা অংশ। এই স্বীকৃতি বহন করা অনেক বড় দায়িত্বের, তবে ব্যাপারটা দারুণ’।
