বলিউডে যেকোনো উৎসবের তুলনায় ঈদের উদ্‌যাপন অনেক বেশি জাঁকজমকপূর্ণ। এর কারণটাও স্পষ্ট। বলিউডটাই যে 'খান'দের দখলে! অমিতাভ বচ্চন যতই শতাব্দীর সেরা ভারতীয় অভিনেতা হন না কেন, এখনো বহির্বিশ্বে বলিউড মানেই খান- আমির, সালমান কিংবা শাহরুখের নামেই সবাই এখন বলিউডকে চেনে। ফলে ভক্ত তো বটেই, অন্যদেরও আগ্রহ থাকে এই খানরা কিভাবে ঈদ করছেন তা জানার জন্য।

আমির খানের জন্য এ বছরের ঈদ খুব একটা ব্যতিক্রম নয়। বরাবরই ঈদকে একেবারেই ব্যক্তিগত একটি অনুষ্ঠান হিসেবে উদ্‌যাপন করেন আমির। হাতেগোনা কয়েকজন বন্ধু কিংবা একেবারে পরিচিতজন ছাড়া ঈদে কারো সামনে উপস্থিত হন না আমির। সকালে মুম্বাই জামে মসজিদে নামাজ পড়েই ঘরে যে প্রবেশ করেন, তাঁর চেহারা আর খুব একটা দেখার সুযোগ কেউ পান না। এর মধ্যে গত বছর তিনি ঈদ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। 'ধুম থ্রি' ছবির শুটিং চলছে শিকাগোতে। এ বছরও হয়তো ঈদের আগে আগে সেখানেই যাবেন মি. পারফেকশনিস্ট। তবে এখনো যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখে যাত্রা করেননি তিনি। যেহেতু নিজে সব কাজই চুপিসারে সারতে পছন্দ করেন, তাই এখনই বলা যাচ্ছে না ঈদ তিনি কোথায় করবেন। তবে যেখানেই ঈদ করুন না কেন, আমিরের ঈদ মানে একান্ত পরিবার নিয়ে সময় কাটানো। স্ত্রী-সন্তান আর ভাগ্নে ইমরানকে নিয়েই উদ্‌যাপন হয় আমিরের ঈদ।

প্রতিবছর ঈদ মানে সালমান খান। অন্তত গত কয়েক বছর এই কথাই প্রতিষ্ঠিত করেছেন সাল্লু ভাইজান। 'ওয়ান্টেড', 'দাবাঙ', 'রেডি', 'এক থা টাইগার'- একের পর এক রেকর্ড ভাঙা ছবি উপহার দিয়েছেন সাল্লু। এমনিতে ছুটিছাটায় দেশের বাইরে থাকলেও পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে বেশ দায়িত্ববান সালমান খান। আর সে কারণেই প্রতিবছরই তিনি ঈদ করেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। বাবা সেলিম খানের কড়া হুকুম- যত যা-ই হোক, ঈদ মানেই পরিবারের সঙ্গে থাকা। সকালে বাড়ির সামনে মসজিদে নামাজ পড়ার পর থেকে সে কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন তাঁর তিন ছেলে- সালমান, আরবাজ ও সোহেল।

বন্ধুবৎসল হিসেবে সালমানের খ্যাতি আছে আর খ্যাতি আছে ঈদের দিন তাঁদের বাড়িতে রান্না হওয়া বিরিয়ানির। ফলে ঈদের দিন সকাল থেকেই সালমানদের বাড়িতে বন্ধু বা বলিউডের তারকাদের ভিড় লেগেই থাকে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। তবে এ বছর সালমানের সঙ্গে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ হচ্ছে একটি নাম আর তা হলো, ভাইজানের নতুন বান্ধবী লুলিয়া ভান্তুর। রুমানিয়ার এই টেলিভিশন উপস্থাপক বেশ কয়েক দিন ধরেই সালমানের হৃদয়ে অবস্থান করছেন। আর সে কারণেই এ বছরের ঈদে তিনি অতিথি হয়ে থাকছেন সালমানদের 'খান মঞ্জিল'-এ।

এর আগে বেশির ভাগ ঈদ দুবাইতে করলেও এ বছরটা শাহরুখ খান ঈদ করবেন মুম্বাইতেই। কারণ এ বছর ঈদ তাঁর জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। এ বছর ঈদে মুক্তি পাচ্ছে শাহরুখের 'চেন্নাই এক্সপ্রেস' এবং তা একেবারেই প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া। প্রথমে এই ছবিটির সঙ্গে অক্ষয় কুমারের 'ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই দুবারা' মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও পরে সে ছবিটির প্রযোজকরা মুক্তির দিন এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিলে ঈদ হয়ে উঠছে এককভাবে শাহরুখের। রোজা রেখেই নিয়মিত ছবিটির প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন 'বাদশা' খান। তা ছাড়া মাত্র কয়েক দিন আগেই শাহরুখের ঘরে জন্ম নিয়েছে তাঁর তৃতীয় সন্তান ছেলে আবরাম। ফলে নতুন সন্তানকে নিয়ে ঈদ করার আনন্দটাও শাহরুখের কাছে অনেক বড় হয়ে উঠছে। প্রতিবছরই ঈদের সময়ে সন্তানদের জন্য সেরা কিছু দেওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকেন শাহরুখ। তাই ২৭ মে জন্ম নেওয়া আড়াই মাস বয়সী আবরামের প্রথম ঈদটি সেভাবেই উদ্‌যাপান করবেন বাবা শাহরুখ। নতুন এই অতিথির প্রথম ঈদটি বাবা শাহরুখের জন্য দারুণ এক ঈদ হয়ে থাকবে, তা নিঃসন্দেহেই বলা যায়।

বলিউডের আরেক খান সাইফ আলী। এ বছরে তাঁর ঘরেও রয়েছে নতুন অতিথি স্ত্রী কারিনা কাপুর খান। পাঁচ বছর প্রেম করার পর গত বছরের ১৬ অক্টোবর বিয়ে করেন সাইফ ও কারিনা। যদিও একসঙ্গে থাকার সুবাদে এর আগেও তাঁরা একসঙ্গে ঈদ করেছেন; কিন্তু এ বছরটি সে ক্ষেত্রে ভিন্ন। কারণ এ বছর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তাঁরা পালন করবেন তাঁদের প্রথম রোজার ঈদ। তবে ভারতে তাঁদের ঈদ করা হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় ঈদে ভারতে আসা হচ্ছে না পতৌদির নবাবের। কারিনাই বা বিবাহিত জীবনের প্রথম ঈদ কেন হাতছাড়া করবেন। তাই ৩০ জুলাই তিনি চলে গেছেন সেখানে। উদ্দেশ্য অবশ্য শুধু ঈদ নয়, ঈদের কয়েক দিন পরই ১৬ আগস্ট সাইফের ৪৩তম জন্মদিন। তাই ঈদের পর সাইফের জন্মদিনটাও একান্তে পালন করে আসবেন কারিনা।
বিস্তারিত পড়ুন

মিল্কীর হত্যাকরী তারেক নিহতের আসল ঘটনা

মিল্কীর হত্যাকরী তারেক নিহতের আসল ঘটনা

spacer image
মিল্কীর হত্যাকরী তারেক নিহতের আসল ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : অবশেষে যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কী খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতা এস এম জাহিদ সিদ্দিক তারেক বুধবার রাতে র‌্যাবের 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছে।

রাজধানীর খিলক্ষেতে বিমানবন্দর সড়কে খিলক্ষেত থানার সামনে ঘটনা ঘটে।

এসময় তারেকের আরেক সহযোগী শাহ আলম নিহত হয়েছে। শাহ আলম ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

তারেককে গুলশান থানায় হস্তান্তর করার জন্য উত্তরার ফরচুন হাসপাতাল থেকে র‌্যাবের একটি গাড়িতে করে আনার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে র‌্যাব জানায়।

র‌্যাবের মিডিয়া এ্যান্ড লিগ্যাল শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান বলেন, মিলকী খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তারেক বাদে অন্য ৬ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। গুলিবিদ্ধ তারেক উত্তরার ফরচুন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় সুস্থ হলে তাকে রাতেই গুলশান থানায় হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয় র‌্যাব। এর আগে তারেকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী র‌্যাব আরেক সহযোগী শাহ আলমকে গ্রেফতার করে।

উত্তরার ঐ হাসপাতাল থেকে তারেককে র‌্যাবের একটি গাড়িতে নেয়া হয়। ঐ গাড়িতে গ্রেফতারকৃত আরেক আসামী শাহ আলম ছিলেন। খিলক্ষেত থানার কাছাকাছি পৌঁছলে একটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেট কার দিয়ে র‌্যাবের গাড়ির গতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়। এক পর্যায়ে ঐ গাড়ি থেকে সন্ত্রাসীরা র‌্যাবকে গুলি ছোঁড়ে। এসময় র‌্যাবের গাড়িতে অবস্থানরত দুই আসামী পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করলে র‌্যাব পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এতে ঐ দুই আসামী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

এদিকে, তারেকের সঙ্গে নিহত শাহ আলমের পরিচয় জানা গেছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন যুবলীগের আরেক নেতা সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চলের ঘনিষ্ঠ জন শাহ আলম। বাড্ডা এলাকার যুবলীগের আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের চাঁদাবাজির এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত শাহ আলম। আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের মাধ্যমেই শাহ আলমের পরিচয় হয় চঞ্চলের সঙ্গে। চঞ্চলের সকল টেন্ডারবাজিতে এই শাহ আলমকে দেখা যেতো বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের এক পদস্থ কর্মকর্তা।

র‌্যাব দাবি করেছে, তারেক ইতিপূর্বে ২৮ টি খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারেক তার খুনের সকল তথ্য জানিয়ে দিয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন

বেশি খেলে সংকেত দেবে যন্ত্র

বেশি খেলে সংকেত দেবে যন্ত্র
দাঁতে স্থাপন করা হবে স্মার্ট-সেন্সরদাঁতে স্থাপন করা হবে স্মার্ট-সেন্সর

দাঁতে স্মার্ট-সেন্সর স্থাপনের মাধ্যমে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ

স্বাস্থ্য রক্ষায় মানুষের চেষ্টার তো কমতি নেই। এ ক্ষেত্রে অনেকে খাদ্যাভ্যাস বা মুখের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। দাঁতে অত্যাধুনিক সংবেদী (স্মার্ট-সেন্সর) যন্ত্র ব্যবহার করে যদি খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, তাহলে কেমন হবে? হ্যাঁ, গবেষকেরা এবার এ রকম প্রযুক্তিই নিয়ে এসেছেন। তাইওয়ানের একদল গবেষক উদ্ভাবন করেছেন দাঁতে ব্যবহার্য নতুন স্মার্ট-সেন্সর। বিষয়টি ‘সেন্সর-এমবেডেড টিথ ফর ওরাল অ্যাক্টিভিটি রিকগনিশন’ শিরোনামে ওই গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, নতুন স্মার্ট-সেন্সরটি ব্যবহার করে মানুষের খাবার চিবানো, তরল পান করা, কথা বলা ও জোরে কাশি দেওয়ার মতো কার্যক্রম চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
ওই সেন্সরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে এক ধরনের বিশেষ যন্ত্র (অ্যাকসেলেরোমিটার), যা মানুষের মুখের সব ধরনের গতিবিধি শনাক্ত করবে এবং মুখের অভ্যন্তরে সম্পন্ন বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যকার বৈসাদৃশ্য তুলে ধরবে।
বিজ্ঞানীরা আরও বলেন, মুখের কার্যক্রম রেকর্ড করে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য আগে যে ধরনের সেন্সর ব্যবহার করা হতো, সেটির তুলনায় নতুন স্মার্ট-সেন্সরটি অনেক বেশি কার্যকর। ব্যাপারটিকে এবারের গবেষণায় বড় ধরনের অগ্রগতি বলা যেতে পারে। নতুন স্মার্ট-সেন্সরটি কোথায় স্থাপন করা হচ্ছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে কোনো একটা দাঁতে স্থাপন করা হলে সেটা খুব কাছ থেকে মুখের কার্যক্রম শনাক্ত করতে পারবে। এভাবে স্মার্ট-সেন্সরটি মুখের ৯৪ শতাংশ কাজকর্মকে নির্ভুলভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম হবে। মানুষ কী বলছে বা চর্বিযুক্ত খাবার খাচ্ছে কি না—এটা শনাক্ত করামাত্রই স্মার্ট-সেন্সরটি অর্থবহ তথ্য আকারে পরিবেশন করবে এবং একই সঙ্গে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে।
দাঁতের স্মার্ট-সেন্সরটির ব্যবহার নিয়ে এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। গবেষকেরা ভবিষ্যতে এই সেন্সরের সঙ্গে আরও কিছু বিষয় যুক্ত করার চিন্তাভাবনা করছেন; যেমন- ব্লুটুথের মাধ্যমে নিকটবর্তী স্মার্টফোনের সঙ্গে স্মার্ট-সেন্সরের সংযোগ স্থাপন। এ ছাড়া দাঁতের একটি গর্তে স্থাপনের মাধ্যমে যন্ত্রটির আকার আরও সংকুচিত করে আনার চিন্তাভাবনাও বিজ্ঞানীদের মাথায় রয়েছে। তাঁরা এই স্মার্ট-সেন্সর ব্যক্তির মুখের অভ্যন্তরে স্থাপনের সাহায্যে তাঁর খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সাফল্যের ব্যাপারে বিশেষ আশাবাদী। ইনডিপেনডেন্ট।
বিস্তারিত পড়ুন

ভয় পাচ্ছেন মুশফিক!

ভয় পাচ্ছেন মুশফিক!

ঢাকা: আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫ সাল বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আইসিসি বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
 
মঙ্গলবার মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘আইসিসি ২০১৫ বিশ্বকাপ আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। এবার আমাদের মোকাবেলা করতে হবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মতো দলকে। এটি সম্ভবত আমাদের জন্য কঠিন বিশ্বকাপ হবে। কারণ প্রতিপক্ষ সবকয়টি দলই ক্রিকেট বিশ্বসেরা। তাই এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
 
এছাড়া তিনি বলেন, ‘উপমহাদেশে ভালো ক্রিকেট খেললেও অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন ও মেলবোর্নে খেলার অভিজ্ঞতা কম। তবে নিউজিল্যান্ড একটি সুন্দর দেশ আমরা সেখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবো।’
বিস্তারিত পড়ুন

জামায়াতের নিবন্ধন: রায় বৃহস্পতিবার

জামায়াতের নিবন্ধন: রায় বৃহস্পতিবার


বিস্তারিত পড়ুন

৫০০ বছরে অক্ষত প্রাণহীন তুষার-কন্যা!

৫০০ বছরে অক্ষত প্রাণহীন তুষার-কন্যা!

ঢাকা: চার হাত-পা বাঁধা। মাথাটা একটু সামনের দিকে হেলানো। চামড়ার রংটা একটু কালচে হয়েছে শুধু। তবে দেখে মনে হচ্ছে ডাকলেই উঠে পড়বে। তার নাম রাখা হয়েছে তুষার-কন্যা। আর বয়স? বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঁচশো বছরের কম কিছুতেই হবে না। ১৯৯৯ সালে আর্জেন্তিনার আন্দিজ পর্বতমালার অন্তর্গত ২০ হাজার ফুট উঁচু আগ্নেয়গিরির পাশের এক গুহা থেকে একে উদ্ধার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। সঙ্গে আরও দু’টি ছোট ছোট ছেলেমেয়ের দেহ। তিনটি দেহকেই মমি করে রাখা ছিল। শুধু তা-ই নয়, মমিগুলো এত ভাল অবস্থায় ছিল, যে তা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাই।
 
এত দিন ধরে দেহগুলো পরীক্ষা করছিলেন ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যান্ড্রু উইলসন ও তাঁর সঙ্গীরা। তিনিই জানালেন, ইনকা সভ্যতারই অংশ এই মমিগুলো। মারা যাওয়ার সময়ে তুষার-কন্যার বয়স ছিল ১৩ বছর। মৃত্যুর অন্তত এক বছর আগে থেকে তাকে বিশেষ ভাবে তৈরি করা হচ্ছিল। উৎসর্গের জন্য। অ্যান্ড্রুর মতে, ইনকা সভ্যতার রীতি অনুযায়ী, অল্পবয়সী ছেলেমেয়েকে এ ভাবে মমি করে দেবতাকে উৎসর্গ করা হত সাম্রাজ্য বিস্তার করতে। এই রীতির নাম ছিল ক্যাপাকোচা।
 
তবে বাইরে থেকে আঘাত করে তুষার-কন্যাকে মারা হয়নি বলেই মনে করছেন অ্যান্ড্রু। সম্প্রতি ‘প্রসিডিংস অফ ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস’ নামের জার্নালে অ্যান্ড্রুর এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছেন, “এক বছর ধরে ধীরে ধীরে প্রস্তুতির পরই মেরে ফেলা হয় তুষার-কন্যা আর অন্য দুই ছেলেমেয়েকে। এর জন্য ইনকা সভ্যতার রাজধানী কাসকো যা বতর্মানে পেরুতে অবস্থিত, সেখান থেকে তাদের বিশেষ ভাবে নির্বাচিত করা হয়।” তুষার-কন্যা পুরো অবিকৃত থাকায় তার চামড়া বা চুলের নমুনা সংগ্রহ করতে অসুবিধে হয়নি অ্যান্ড্রুদের। সেই নমুনা পরীক্ষা করে অ্যান্ড্রু নিশ্চিত যে মৃত্যুর আগে এক সপ্তাহ ধরে অস্বাভাবিক পরিমাণে মদ আর কোকেন খাওয়ানো হয়েছিল তাকে। কোকেন তৈরি হয় যে কোকা গাছ থেকে তার পাতার টুকরোও মিলেছে তুষার-কন্যার দাঁত থেকে।
 
অ্যান্ড্রু জানিয়েছেন, সম্ভবত প্রবল ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্যই ভুট্টা থেকে তৈরি মদ ‘চিচা’ খাওয়ানো হত তুষার-কন্যাকে। আর যাতে নেশার ঘোরে থাকে তাই কোকেন। আর সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে মাংস আর ভুট্টা। ফলে ওর চেহারা খুব ভারী হয়ে গিয়েছিল। একাকীত্ব যাতে অসহ্য না লাগে তাই অবসর সময় পালকের কাপড় বুনত তুষার-কন্যা। গবেষকদের মতে, উৎসর্গের জন্য তুষার-কন্যা ও অন্য দু’টি ছেলেমেয়েকে (যাদের বয়স যথাক্রমে ৪ ও ৫ বছর) ২০ হাজার ফুট উঁচু গুহায় নিয়ে আসা হয়। পুরোপুরি নেশাগ্রস্ত হওয়ার জন্য সম্ভবত অপেক্ষা করছিলেন পুরোহিত। ওরা অচেতন হয়ে গেলে বিশেষ খুপরিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তার আগে তাদের দামি পোশাক পরানো হয়। মৃত্যুর কয়েক দিন আগে তাদের চুলও কাটা হয়েছিল। অস্বাভাবিক পরিমাণে মাদকের প্রভাব আর খুপরির মধ্যে অক্সিজেনের অভাবেই শেষে তারা মারা যায় বলে মনে করছেন অ্যান্ড্রুরা। ওদের মৃত্যুর পরে বিশেষ পুজোঅর্চনাও করেন পুরোহিত।
 
অনেকে আবার মনে করছেন, এই তিন শিশুকে বলি দিয়ে তাঁর রাজত্বে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করতে চেয়েছিলেন ইনকা রাজা। যাতে ভয়ে কেউ বিদ্রোহ করতে না পারে। ওই তুষার-কন্যার খুপরির মধ্যে চার কোণে ইনকা সভ্যতার বিভিন্ন নিদর্শন যেমন, শামুকের খোল, পাখির পালক, কোকা পাতা, পাওয়া গিয়েছে।
 
অ্যান্ড্রু বলেন, “ইনকা সভ্যতার এই ভয়ঙ্কর রীতি আবিষ্কার করে ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। চোখ বুজলেই মনে হয় তুষার-কন্যা আমাকে ডেকে বলছে, দেখো আমার সঙ্গে ঠিক কী হয়েছে।” হয়তো বা আমাদেরও সতর্ক করে বলছে, সাবধান আমি পাহারায়।

বিস্তারিত পড়ুন

নিষিদ্ধ পথেই প্রভা

নিষিদ্ধ পথেই প্রভা
প্রভার অন্ধকার জগতের খবর হয়তো কারুই অজানা নেই। তবে সব ভুলে আবার আলোতে ফিরেছিলেন এই অভিনেত্রী। বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। স্বামীকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন, শুটিং করেছেন।

কিন্তু নতুন খবর হলো, আবার ও বিপথে যেতে বসেছে সমালোচিত এই অভিনেত্রী। সুখ যেন তার কপালে সইছে না। ইদানীং কারণে অকারণে স্বামী শান্তর সাথে খারাপ আচরণ করছেন তিনি। বেড়ে গেছে মোবাইলে কথা বলার পরিমাণ। শুটিং এর কথা বলে বেশির ভাগ সময়ই বাইরে বাইরে সময় কাটাচ্ছেন।

জানাগেছে, স্বামীর অপার স্বাধীনতার সুযোগে তার অপব্যবহার করছে। বাতাসে গুজব উঠেছে প্রভা সম্প্রতি এক প্রযোজকের সঙ্গে নাকি তার বিশেষ সম্পর্ক তৈঁরই হয়েছে। ঐ প্রযোজকের বেশিরভাগ নাটকের অভিনেত্রী হচ্ছেন প্রভা। এছাড়া একাধিক সাংবাদিকের সাথেও নাকি তার বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এ সব বিষয় গুলো মোটেও ভালো ভাবে নিচ্ছে না স্বামী শান্ত। প্রভার এই আচরণে শান্ত আর কত দিন শান্ত থাকে এখন সেটাই দেখার বিষয়।



বিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা কক্সবাজারে

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা কক্সবাজারে

spacer image
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা কক্সবাজারে
কক্সবাজার প্রতিনিধি: বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলার সন্ধান মিলেছে কক্সবাজারে। মহিলাটির নাম আমির খাতুন।বয়স ১১৭ বছর। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের মৌলভী পাড়া গ্রামে। কারো কোন ধরণের সাহায্য ছাড়াই তিনি একাই চলাফেরা করতে পারেন।

 তিনি ৩ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জননী। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে তাঁর স্বামী মতিউর রহমানকে বৃটিশ সমর্থিত কালা বাহিনীর সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে। তখন থেকে আমির খাতুন তিন পুত্র সন্তান ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে জীবনের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমা পাড়ি দিয়ে জীবন সায়াহ্নে এসে মৃত্যুর দিন গুনছেন।

তবে দীর্ঘজীবি এই মহিলাটি এখনো পর্যন্ত সরকারী কোন সাহায্য সহায়তা পাননি। সূত্র জানায়, ১৮৯৭ সালের ২ জানুয়ারী আমির খাতুন উখিয়ার রাজাপালং দক্ষিণ পুকুরিয়া গ্রামের হাজী আবুল খাইরের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন রীতি অনুযায়ী ১২ বছর বয়সেই উখিয়া সদরের ঘিলাতলী গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মতিউর রহমানের সাথে তাঁর বিবাহ হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা পাকিস্থানের শান্তকাউর বাজোয়ার ১১৫ বছর বয়সে  মৃত্যু হয়। সেই হিসেবে আমির খাতুন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশী বয়স্ক নারী।
বিস্তারিত পড়ুন

সুবাহান আল্লাহ্‌ ''

সুবাহান আল্লাহ্‌ ''


নবীজির অনেক নাম গুলোর মাঝে একটি হল '' আহামদ ''
আর নামাজ হল শুধু মাএ আল্লাহর জন্য । আর সেখানেও স্মরণ করা হয়েছে নবীজিকে ।

মুমিন ভাইয়েরা শেয়ার করে সকল কে দেখানোর সুযোগ করে দিবেন প্লীজ । এতে আপনার সওয়াব বাড়বে বৈ কমবে না ॥”


বিস্তারিত পড়ুন

শাহরুখ মাতালেন সিটি সেন্টার

শাহরুখ মাতালেন সিটি সেন্টার

spacer image
শাহরুখ মাতালেন সিটি সেন্টার
বিনোদন প্রতিবেদক: সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর প্রচারের জন্য স্বয়ং কিং খান আসছেন ।তাই চারিদেক শাহরুখ শাহরুখ ধ্বনিতে উচ্ছ্বিসত। ভক্তদের ডাকে সাড়া দিয়ে  বহু অপেক্ষার পর সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ মঞ্চে আর্বিভূত হলেন বলিউডের বাদশা শাহরুখ। আর এই ভিড় জমেছিল দুপুর থেকেই। সময় যত গড়াচ্ছিল সেই ভিড়টাই জনসমুদ্রের চেহারা নিল। সল্টলেক সিটি সেন্টার টু'তে শনিবার দুপুর থেকেই অষ্টমীর ঠাকুর দেখার ভিড়।

হাততালি, চিৎকার, উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল জনতা। চল্লিশ মিনিট ধরে নাচ, গান, কসরত দেখিয়ে নিজস্ব স্টাইলে মঞ্চ মাতালেন বাদশা। মাঝে মাঝে জয়ধ্বনি উঠল কলকাতা নাইট রাইডার্সের নামেও। বোঝা দায়, তিলোত্তমায় কে হাজির? চেন্নাই এক্সপ্রেস ছবির নায়ক কিং খান নাকি নাইট রাইডার্সদের অধিপতি?

প্রসঙ্গত, শহরেরই ছেলে তথা বিশ্ববন্দিত টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ অভিনীত 'রাজধানী এক্সপ্রেস' ছবিটি ফ্লপ করেছিল। এখন সবার একই প্রশ্ন এ ছবিটা ফ্লপ খাবে না তো.!
বিস্তারিত পড়ুন

-প্রার্থনা

-প্রার্থনা
-প্রার্থনা
সুফিয়া কামাল

তুলি দুই হাত
করি মোনাজাত
হে রহিম রহমান
কত সুন্দর করিয়া ধরণী
মোদের করেছ দান,

গাছে ফুল ফল
নদী ভরা জল
পাখির কন্ঠে গান
সকলি তোমার দান।

মাতা, পিতা, ভাই, বোন ও স্বজন
সব মানুষেরা সবাই আপন
কত মমতায় মধুর করিয়া
ভরিয়া দিয়াছ প্রাণ।

তাই যেন মোরা তোমারে না ভুলি
সরল সহজ সৎ পথে চলি
কত ভালো তুমি, কত ভালোবাস
গেয়ে যাই এই গান।


বিস্তারিত পড়ুন

আপনার জীবন বাঁচাতে পারে এক কাপ কফি

আপনার জীবন বাঁচাতে পারে এক কাপ কফি

আপনার জীবন বাঁচাতে পারে এক কাপ কফি
spacer image
আপনার জীবন বাঁচাতে পারে এক কাপ কফি
লাইফস্টাইল প্রতিবেদক: আপনার সকাল যদি এক কাপ কফি দিয়ে শুরু হয় আপনি অনেক বেশি কাজ করার উৎসাহ পেতে পারেন। আর যদি এটা আপনার অভ্যেস হয়ে থাকে তাহলে নির্ভয়ে আপনার হাত থেকে বিপদতারিনীর দাগা খুলে ফেলুন।

কারণ ডাক্তাররা জানাচ্ছেন সারাদিনে দু-তিন কাপ কফি যদি খান, সারতে পারে স্কিন ক্যানসার, কমতে পারে আপনার হৃদয়ের দুর্বলতা আর লিভার থাকে সুস্থ। যার লিভার ঠিক, তার মন ঠিক। কারণ আপনি পেট ভরে খান, অম্বলের কইফত্ কাউকে দিতে হবে না।

কিন্তু সব থেকে মজার বিষয়, বেশি কফি পান করলে আত্মহত্যা প্রবণতা অনেকাংশে কমে যায়। হার্ভাড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ তাদের পত্রিকা দ্য ওর্য়াল্ড জার্নাল অফ বায়োলজিক্যাল স্যাইকিয়াট্রি জানাচ্ছে যে সব মানুষ প্রতিদিন কফি পান করেন তাঁদের আত্মহত্যা করার প্রবণতা কম থাকে।

তাঁরা ১৬ বছর ধরে দু লাখ মানুষের উপর গবেষণা করে দেখেছেন কফি মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। স্নায়ু অনেক বেশি সজাগ থাকে। মানুষের কাছে কফি নেশার বস্তু হলেও হতাশা, বুক ধরফর কমাতে সেরোটিন, ডোপামিনের মতো হরমনগুলিকে সক্রিয় করে তোলে। তখন আপনার ভাবনা, চিন্তাশক্তি করার ক্ষমতা সঠিক সময়ে ঠিকঠাক কাজ করে।
বিস্তারিত পড়ুন

প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসেই সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি: জাহাঙ্গীর

প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসেই সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি: জাহাঙ্গীর

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন গাজীপুরের জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, ‘নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নির্দেশে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলাম। দলের সমর্থিত প্রার্থীর হয়ে কাজও করেছি। ওই সময় দলীয় প্রধান আমাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। তাঁর কথার ওপর পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা রেখেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নিচ্ছি।’ রবিবার ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সিটি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর গাজীপুরে তার জনপ্রিয়তা কমেনি, বরং বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণদের বড় একটি অংশ বরাবরই তার সঙ্গে আছেন। তাই আগামী নির্বাচনে দলের টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী তিনি।

জনপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকলেও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দলের সমর্থন না পাওয়া কারণ কী?- জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গাজীপুরবাসীর সমর্থন নিয়েই আমি সিটি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু নেত্রীকে আমার সম্পর্কে ভুল বোঝানো হয়েছে। গাজীপুরে কার কী অবস্থান তার সঠিক তথ্য দলের কাছে ছিল না। আমি বুঝতে পেরেছিলাম মানুষ পরিবর্তন চায়। এটা আমি দলকে বলেছি। কিন্তু আমার কথা মূল্যায়ন করা হয়নি।’

কেন মনে হল মানুষ পরিবর্তন চায়? এমন প্রশ্নের জবাবে বিগত সময় যারা গাজীপুরের শাসন ক্ষমতায় ছিলেন তাদের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরলেন। বললেন, ‘ইতিপূর্বে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের ওপর গাজীপুর নগরীর শিল্প মালিকরা অসন্তুষ্ট। তাদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির খবর প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। তাছাড়া  উন্নয়নের জন্য যতটুকু বরাদ্দ কিংবা বৈদেশিক তহবিল পাওয়া যেত তার ৩০ শতাংশ ব্যয় হতো বাকিগুলো যেত পকেটে। মানুষ যখন এসব দুর্নীতির কথা জেনে যায় তখন জনসমর্থন ধরে রাখা কষ্ট। আমি আমার বড় ভাইকে (আজমত উল্লা খান) এসব বিষয়ে আগেই বলেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাকে উল্টো তিরস্কার করেছেন। অথচ আমি বাপ-দাদা সম্পত্তি বিক্রি করে, নিজের আয় করা টাকা ব্যয় করে নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর তার কথা চিন্তা করে সরে দাঁড়িয়েছিলাম।’


জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি দলের সমর্থিত প্রার্থীর সমালোচনা করছি না। স্থানীয় মানুষের কথাই বলছি। তিনি (আজমত উল্লা) ১৮ বছর টঙ্গী পৌর এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। সে অনুযায়ী  টঙ্গীতে তার জনপ্রিয়তা বেশি থাকার কথা ছিল। কিন্তু ভোটের পর দেখা গেল তার নিজের এলাকাতেই তিনি জয়ী হতে পারেন নি। যাদের বয়স ১৮ বছর হয়েছে, মানে নতুন ভোটার হয়েছে তাদের ভোটও তিনি পাননি। এ থেকে বোঝা যায় তিনি বিগত সময়ে নিজের জন্য ভোটার তৈরি করতে পারেনি। তার পরও কি বলবেন মানুষ পরিবর্তন চায়নি?’


তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর মানুষ আমার জন্য কেঁদেছে। নফল রোজা রেখেছে। কিন্তু আমার বড় ভাই আজমত উল্লা খান হেরে যাওয়ার পর কেউ তো চোখের পানি ফেলেনি। বরং তিনি নির্বাচনে হেরে আমাকে দোষারোপ করেছেন। আর আমাকে দোষারোপ করা মানেই জনগণকে দোষারোপ করা।’    


শোনা গেছে, নির্বাচনে  একজন মন্ত্রী, স্থানীয় সাংসদ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি অংশ আপনার পক্ষে ছিলেন। তারা আপনাকে দল থেকে সমর্থন দেয়ার ব্যাপারেও আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু পরে যা ঘটল তা পুরোপুরি ভিন্ন। এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে গাজীপুরের সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসলে অনেকেই চেয়েছিলেন আমি নির্বাচন করি। তারা স্থানীয় মানুষের জনসমর্থন বিবেচনায় করেই এটা চেয়েছিলেন। আমাকে তারা আশ্বস্তও করেছিলেন দলের কাছে তারা সঠিক চিত্রটি তুলে ধরবেন। আসলে নেত্রীর  (শেখ হাসিনা) সামনে গিয়ে সত্য বলা যোগ্যতা কিংবা গুণ কিছুই নেই তাদের। যা কারণে নেত্রীকে তারা সঠিক তথ্য দিতে পারেনি।’  

অনেকটা আক্ষেপ নিয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের অনেককেই আমি বিশ্বাস করি না। যারা আমার সামনে এক, দলীয় প্রধানের সামনে এক কথা বলেন তাদের বিশ্বাস করা যায়?’

তবে তার মতে ভোট হচ্ছে জনগণের ভালবাসার ফল। জনগণ যাকে ভালবেসে সমর্থন দেবে সেই জয়ী হবে। তিনি বলেন, ‘অনেকে বলে জাতীয় ইস্যু গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কাজ করেছে। আমি বলি, জাতীয় নয়, স্থানীয় ইস্যুই এখানে বড় ভূমিকা রেখেছে। দল সমর্থিত প্রার্থী মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পারেননি। তাই তাকে পরাজিত হয়েছে।’

বিস্তারিত পড়ুন

গ্রেফতারের আগে এমপি রনির বক্তব্য

গ্রেফতারের আগে এমপি রনির বক্তব্য


গ্রেফতারের আগে সরকার দলীয় এমপি গোলাম মওলা রনি বলেছেন, ‘আমার জামিন বাতিল হয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আমার একটি বিশ্বাস ছিল- যে সব রাষ্ট্রীয় দূর্নীতি এবং ব্যক্তি বিশেষের অন্যায় ও অবিচার সম্পর্কে আমি সরব ছিলাম তার সাথে সরকারের কোনো সংযোগ নেই। নির্বোধের মত এই বিশ্বাসের পিঠে সোওয়ার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আজ সেই বিশ্বাসে চীড় ধরেছে। যেভাবে জামিনটি বাতিল হলো- তা স্বাধীন বাংলাদেশে তো নয়-ই, পাকিস্তান আমলেও ঘটেনি। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি শাহবাগ থানা কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকার মহামান্য সিএমএম সাহেবকে। আমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও আমার অন্তরের অন্তর স্থল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি- আমাকে জেলে পাঠানোর মাধ্যমে সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে একটি মাইল ফলক স্থাপন করার জন্য। আমার শাস্তির বিনিময়ে হলেও শেয়ার বাজার চাঙ্গা হোক, সাগর-রুনির হত্যাকারী ধরা পড়–ক এবং প্রিয় দলটি আবার ক্ষমতায় আসুক, দেশবাসী শান্তিতে থাকুক। আজ মনে হচ্ছে, আমার মত অর্বাচীন যেন কারো সন্তান না হয় কিংবা কোনো স্ত্রী যেন এমন স্বামী না পায়! কোনো সন্তানের যেন এমন পিতা না থাকে! পবিত্র রমজান মাসের রোজা অবস্থায় আমি যে, দূর্ভোগের শিকার হলাম তা যেন কোনো শত্রুর কপালেও না ঘটে। আপনারা সবাই ঈদ করবেন। আমার পরিবারের ঈদ কেমন হবে? সবাই ভাল খাকুন- আল্লাহ হাফেজ...’
বিস্তারিত পড়ুন

উইলিয়ামকে অভিনন্দন

উইলিয়ামকে অভিনন্দন


সন্তান জন্মের চাইতে বেশি খুশির কিছুই হতে পারে না বলে মনে করেন প্রিন্স উইলিয়াম; রাজপরিবারের নতুন অতিথির আগমনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্বনেতারাও ।
প্রিন্স উইলিয়ামের মতে ছেলের জন্মের চাইতে বেশি আনন্দের আর কিছুই হতে পারে না। ২২ জুলাই প্রথম সন্তানের জন্মের পর একথা বলেন তিনি। সোমবার লন্ডনের সেন্ট মেরি হাসপাতালে ব্রিটিশ সিংহাসনের চতুর্থ উত্তরাধিকার এবং প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী ডাচেস অফ ক্যাম্ব্রিজ ক্যাথরিন। এদিকে, প্রথমবারের মতো সন্তানের বাবা-মা হওয়ায় রাজদম্পতিকে অভিন্দন জানিয়েছেন বিশ্বনেতারও। খবর কন্টাক্টমিউজিকের।
বাবা উইলিয়াম এবং দাদা প্রিন্স চার্লসের পর ব্রিটিশ সিংহাসনের তৃতীয় উত্তরাধিকারের জন্ম হয়েছে। সন্তানের জন্মের পর নিজের অনুভূতি জানাতে উইলিয়াম বলেন, “এরচেয়ে বেশি খুশি আমি কখনও ছিলাম না।”
প্রথমবারের মতো দাদা হওয়া প্রিন্স চার্লস তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, “কারও জীবনে নাতি-নাতনির মুখ দেখা একটি ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা। প্রথমবারের মতো দাদা হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।”
রাজপরিবারের নতুন অতিথির আগমনে দারুণ আনন্দিত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা। ভিন্ন ভিন্ন বিবৃতিতে উইলিয়াম এবং কেইটকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নতুন রাজপুত্রের জন্মে এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেছেন, “আমি নতুন শিশুর জন্মে সত্যি খুশি এবং রাজপুত্র এবং তার স্ত্রীকে আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি মনে করি তারা খুবই ভালো অভিভাবক হবেন।”
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মিশেল এবং আমি ডিউক এবং ডাচেসকে তাদের প্রথম সন্তানের জন্মে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তাদের সঙ্গে আমাদের বিশেষ একটি সম্পর্ক রয়েছে। তাই যুক্তরাজ্যের সকলের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও রাজপুত্রের জন্মে আনন্দ করবে সবাই।”
বিস্তারিত পড়ুন

বিশেষ রহমত নাজিলের মাস রমজান

বিশেষ রহমত নাজিলের মাস রমজান

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বিশেষ রহমত লাভের মাস রমজানুল মোবারকের আজ ১৪ তারিখ। সৃষ্টিকুলের প্রতি সর্বণ আল্লাহর অশেষ রহমত বর্ষিত হতে থাকে। নইলে জগৎ টিকে থাকতে পারত না। আর মানুষের ব্যাপারে এ নিয়ম আরো সত্য। এ প্রসঙ্গে কুরআন মজিদে ইরশাদ হয়েছেÑ তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত না থাকলে তোমরা অবশ্যই বিপন্ন হতে। (সূরা বাকারা, আয়াত-৬৪) মানুষ প্রতিনিয়ত আল্লাহর নাফরমানি করে। তবুও দুনিয়াবি জীবনে মানুষের রিজিক বন্ধ না করাই আল্লাহর নিয়ম। এটা পরীার জায়গা। শত অন্যায় করলেও পার্থিব জীবনোপকরণ সরবরাহ করা হতে থাকবে। এই সাধারণ রহমত থেকে কেউ বঞ্চিত হবে না। শুধু পৃথিবীতে নয়, কেয়ামতের ময়দানেও সবার প্রতি রহমত করতে চাইবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। কিন্তু যারা আল্লাহর নাফরমানি করেছে তাদেরকে শাস্তি দেয়াও ইনসাফের দাবি। দুনিয়াতে আল্লাহর বিশেষ রহমতের ভাগী হওয়ার জন্য শর্ত রয়েছে। কুরআন মজিদে সূরা আরাফের ৫৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত মুহসিনদের নিকটবর্তী। এখানে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, অসীম দয়ালু প্রভুর বিশেষ রহমত লাভ করতে হলে মুহসিন বা ইহসানকারী হতে হবে। কুরআন মজিদের অনেক আয়াতে ইহসান ও তাকওয়া একই অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ইহসানের একটি সাধারণ অর্থ সদাচার ও সৌজন্য। সৃষ্টির প্রতি দয়া এই অর্থের অন্তর্গত। মানুষের সাথে তো বটেই, প্রাণী ও উদ্ভিদকুলের সাথেও দয়া ও মমতার আচরণ করতে বলা হয়েছে ইসলামে। নির্বাক পশু ও নিশ্চল গাছপালার প্রতি নির্দয় আচরণ ইসলামে নিষিদ্ধ। একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করিয়ে ব্যভিচারিণীর মুক্তিলাভ এবং একটি বিড়ালীকে না খাইয়ে মারার কারণে আজাবের উপযোগী হওয়া এক নারীর কথা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেছেন। আর আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীর প্রতি সদাচার ও সৌজন্যের শিা শুরু হয়েছে ইসলামের প্রথম যুগেই। যখন শরিয়তের বিস্তারিত বিধানগুলো নাজিল হয়নি, তখন ইসলামের পরিচয় হিসেবে তাওহিদ ও রিসালাতের স্বীকৃতির সাথে উল্লেখ করা হতো মানুষের সাথে সদাচার ও সৌজন্যের আচরণের কথা। এ প্রসঙ্গে হজরত আমর ইবনে আবাসা নামে ইসলামের প্রাথমিক যুগের এক সাহাবীর বর্ণনা বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। তিনি যখন মুসলমান হন, তখন আল্লাহর নবীর অনুসারীর সংখ্যা ছয়-সাত জনের বেশি হয়নি। তিনি ইসলামের পরিচয় জানতে চাইলে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ইসলাম মানুষকে উন্নত নৈতিকতা ও আদর্শ শিা দেয়। মহানবী সাল্লাল্লাহ আলায়হি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে তুমি তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করো। যে তোমার প্রতি জুলুম করে তুমি তাকে মা করো। আর যে তোমার সাথে অন্যায় আচরণ করে তুমি তার সাথে সদাচার করো। এই শেষের বিষয়টি অর্থাৎ কেউ অন্যায় আচরণ করলেও তার সাথে সদাচার করার নাম হাদিসে ইহসান বলা হয়েছে। এই গুণ অর্জন করতে পারা সহজ নয়। কিন্তু যারা পারেন, তাদেরকে খাঁটি মুমিন বলা হয়েছে হাদিসে। ইহসানের আরেকটি অর্থ পাওয়া যায় হাদিসে জিবরাইল থেকে। নবুওয়াতি জিন্দেগির শেষ প্রান্তে এসে মহানবী সাল্লাল্লাহ আলায়হি ওয়া সাল্লাম যখন ণস্থায়ী পৃথিবীর মায়া ছেড়ে মহান প্রভুর সান্নিধ্যে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন একদিন মানুষের আকৃতিতে হাজির হয়েছিলেন অহির বাহক হজরত জিবরাইল আলায়হিস সালাম। তিনি বেশ কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। আর হজরত নবী করীম সা: সেগুলোর জবাব দিয়েছিলেন। ঈমান, ইসলাম, ইহসান, কিয়ামত ইত্যাদি সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে আল্লাহর রাসূল সা: যা বলেছিলেন তা যেমন পূর্ণাঙ্গ, তেমনি অত্যন্ত গভীর ও ব্যাপক অর্থবোধক। ইহসান সম্পর্কে বলুনÑ হজরত জিবরাইলের এ প্রশ্নের উত্তরে রাসূলে করীম সা: ইরশাদ করেছিলেন, তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে যেন তুমি তাকে দেখছ। যদি তুমি তাকে দেখছ বলে ভাবতে না পার, তাহলে ভাববে তিনি তোমাকে দেখছেন। (বুখারি ও মুসলিম শরিফ) হাদিসের এ অংশ থেকে আধ্যাত্ম সাধনার মনীষীরা তাসাওউফের দু’টি পরিভাষা উদ্ভাবন করেছেনÑ মাকামে মুশাহাদা ও মাকামে মুরাকাবা। আল্লাহ তায়ালাকে সব সময় সামনে উপস্থিত বলে ভাবতে পারা এবং সেই মানসিকতা নিয়ে ইবাদত বন্দেগি করা মাকামে মুশাহাদা। আর আল্লাহ তায়ালা আমাকে প্রত্য করছেন এমন ভয়ার্ত মনোভাব নিয়ে ইবাদত বন্দেগি করার নাম মাকামে মুরাকাবা। দ্বিতীয়টির তুলনায় প্রথমটি যে উন্নত তা বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। সারকথা, আল্লাহ তায়ালাকে সব সময় হাজির নাজির জানাই ইহসান। এটাকেই ইখলাস বলে বর্ণনা করা হয়। সুতরাং যারা মুখলিস অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সব কাজ করেন, তারা আল্লাহর বিশেষ রহমতের উপযুক্ত হন। ইখলাসের গুণ অর্জন রমজানে সিয়াম সাধনার অন্যতম সার্থকতা
বিস্তারিত পড়ুন

কাদের মোল্লার মামলায় আপিলের রায় যেকোনো দিন

কাদের মোল্লার মামলায় আপিলের রায় যেকোনো দিন

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেয়া যাবজ্জীবন সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। মামলাটি এখন রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে। দীর্ঘ শুনানি গ্রহণ শেষে প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মঙ্গলবার মামলাটিকে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। এর আগে মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রপে সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আদালত থেকে বেরিয়ে মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, উভয়প মিলে মোট ৩৯ কার্যদিবস শুনানি করেছেন। মঙ্গলবার আদালত শুনানি শেষে দু’টি আপিল আবেদন সিএভি (রায়ের জন্য অপেমাণ) রেখেছেন। আদালতে দেয়া সমাপনী বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, আপিলে সমান সুযোগ দিয়ে আনা সংশোধনীকে কাদের মোল্লার েেত্র অকার্যকর বলেছেন আসামিপ। তারা বলছেন, এতে আসামির অধিকার খর্ব করা হয়েছে। আমরা বলেছি, এতে আসামির অধিকার খর্ব করা হয়নি। রাষ্ট্রেরও আপিল করার অধিকার রয়েছে। এটি সমতা আনার জন্য করা হয়েছে। এতে আসামির সংুব্ধ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, এ আইনের বিষয়ে সংবিধানে প্রোটেকশন দেয়া আছে। এটি বিতর্কের ঊর্ধ্বে। এটি চ্যালেঞ্জযোগ্য নয়। প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের ব্যাপারে তিনি বলেন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমাদের আইনই প্রযোজ্য হবে। আন্তর্জাতিক আইন এখানে প্রযোজ্য নয়। সাজার বিষয়ে তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালে ১, ২, ৩, ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়নি। আর কেন দেয়নি তাও রায়ে বলা হয়নি। সুতরাং আমাদের আপিল মঞ্জুর হওয়া উচিত। এর আগে সোমবার আসামিপে শুনানি শেষ করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ছয়টি অভিযোগের মধ্যে দু’টিতে তাকে যাবজ্জীবন, তিনটিতে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড এবং একটিতে খালাস দেয়া হয়। এ রায়ের প্রতিবাদে শাহবাগে শুরু হয় আন্দোলন। মূল আইনে সাজা বাড়াতে সরকার পক্ষের আপিলের বিধান না থাকলেও আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন সংশোধন করে সরকারকে আপিলের সুযোগ দেয়া হয়। পরে সরকার ও আসামি দুই পক্ষই আপিল দায়ের করে। পরে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে গত তিন মার্চ আপিল করে সরকারপ। আপিলে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়। এরপর চার মার্চ দণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে আপিল করে আসামিপ। গত ১ এপ্রিল থেকে আপিলের শুনানি শুরু হয়। আপিল শুনানিকালে আসামিপ দাবি করেন যে, আপিলের সমান সুযোগ রেখে ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ সালের আইনের যে সংশোধনী আনা হয়েছে তা কাদের মোল্লার মামলার েেত্র প্রযোজ্য হবে না। কারণ, কাদের মোল্লার বিচার আইন সংশোধনের আগেই শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ‘কাস্টমারি ইন্টারন্যাশনাল ল’ এই বিচারের েেত্র প্রযোজ্য হবে বলেও আসামিপরে আইনজীবীরা দাবি করেন। এ আপিলের শুনানিকালে উত্থাপিত আইনি প্রশ্নের মীমাংসায় গত ২০ জুন সাতজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়Ñ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন-১৯৭৩ এর ক্ষেত্রে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে কি না? দ্বিতীয়ত, ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আইন সংশোধন করে ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে যে ভূতাপে কার্যকারিতা দেয়া হয়েছে, তা কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কি না? শুনানিতে অংশ নিয়ে আইনের সংশোধনী কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে মত দেন সংখ্যাগরিষ্ঠ অ্যামিকাস কিউরি। অ্যামিকাস কিউরিদের মধ্যে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ এবং ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি মত দেন যে, আইনের সংশোধনী কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অন্য দিকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট টি এইচ খান ও এ এফ হাসান আরিফের মতে সংশোধনী কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। বাংলাদেশের ১৯৭৩ সালের আইনে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ প্রশ্নে শুধুমাত্র ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মত দেন তা প্রয়োগের কোনো সুযোগ নেই। ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগের পক্ষে মত দেন। ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ১৯৭৩ সালের ট্রাইব্যুনালস আইনে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিফলন রয়েছে। মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এ প্রশ্নে হ্যাঁ না উত্তর দেয়া কঠিন। সাধারণভাবে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে না। তবে দেশীয় আইনে কোনো ধরনের অস্পষ্টতা থাকলে, শূন্যতা থাকলে অথবা ব্যাখ্যার জন্য প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক আইনের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে। আজমালুল হোসেন কিউসি মত দেন, সাংঘর্ষিক না হলে আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইন প্রযোজ্য হবে। টি এইচ খানের মত, প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে। তবে দেশীয় আইনের সাথে আন্তর্জাতিক আইন সাংঘর্ষিক হলে সে েেত্র দেশীয় আইন প্রাধান্য পাবে। এ এফ হাসান আরিফের মতে আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইন প্রযোজ্য হবে।

বিস্তারিত পড়ুন

পদত্যাগ করব: রনি

পদত্যাগ করব: রনি



সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় দলের ভেতরে বাইরে ব্যাপক সমালোচনা ও পাল্টাপাল্টি মামলার মধ্যেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন পটুয়াখালীর সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি।

মঙ্গলবার দুপুরে তিনি টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  “আমি ব্যক্তিগতভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিকালে স্পিকারের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে জানাব।”
এরপর বেলা ২টা ২০ মিনিটে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কক্ষে ঢুকতে দেখা যায় ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্যকে। 
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার দলের একটি বড় অংশ সালমান এফ রহমানের পক্ষে কথা বলছে। এ কারণে নৈতিকভাবে আমার মনে হয়েছে আমার পদত্যাগ করা উচিৎ। যেহেতু এটি সাংবিধানিক বিষয়, এ কারণে আমি স্পিকারের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছি।”
এর দুই ঘণ্টা আগে রনি এক ফেইসবুক পোস্টে লেখেন-  “Probably I am going to resign. I feel, I should face the conspiracy as general public. Our media might colored my MP post our my party. In Sha Allah, I would prove what was real fact before the picture.
“I would invite media personalities to make a equal level playing field for me and my opponent. Amar mukh bondho kore to onnokay sujog kore dayar modhay ar ja houk justice, transparency and democracy er nomuna hotay pare na.”
সংবিধানের ৬৭ (২) অনুচ্ছেদে বলা আছে-) কোনো সংসদ সদস্য স্পিকারের কাছে সইযুক্ত পত্রে পদত্যাগের কথা জানাবেন এবং স্পিকার তা গ্রহণ করলে ওই সদস্যের আসন শূন্য হবে।
বর্তমান সরকারের সময়ে এর আগে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহের জন্য শনিবার পল্টনে রনির কার্যালয়ে গিয়ে মারধরের শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ইমতিয়াজ মমিন সনি ও ক্যামেরাম্যান মহসিন মুকুল।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, সংসদ সদস্য রনি নিজেই প্রতিবেদক ও ক্যামেরাপার্সনের ওপর চড়াও হয়ে লাথি মারছেন।
ঘটনার পর ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ রনিকে আসামি করে একটি মামলা করে।
এরপর রনি পাল্টা মামলা করেন, যাতে দুই সংবাদিকসহ ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অন্যতম মালিক ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানকেও আসামি করা হয়। 
ইনডিপেনডেন্টের করা মামলায় রনি রোববার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। হাই কোর্ট থেকে জামিন নেন সনি ও মুকুলও।
শনিবারের ঘটনার পর বেসরকারি টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা এক বিবৃতিতে রনিকে বর্জনের জন্য টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়।
এছাড়া সোমবার প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা রনিকে গ্রেপ্তারের জন্য এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেন। তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলেরও দাবি জানানো হয়।
সমালোচনা আসে রনির নিজের দলের ভেতর থেকেও।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “রনির ঘটনা দুঃখজনক, অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।”
এজন্য এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে সংসদ ব্যবস্থা নিতে পারে বলেও হানিফ উল্লেখ করেন।
অবশ্য রনি আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতা নন বলেও মন্তব্য করেন হানিফ।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও সোমবার বলেন, “গণমাধ্যম ও রাজনীতিবিদের সম্পর্ক অবিভাজ্য ও অবিচ্ছেদ্য। গণমাধ্যমের প্রতি তার (রনি) এ আচরণ অশোভন ও অনভিপ্রেত।”
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন গোলাম মাওলা রনি। 
তবে অল্প দিনের ভেতরেই তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার খবর আসে গণমাধ্যমে। আয়কর বিবরণীতে সম্পদের তথ্যে গড়মিল পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনও তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।  
এর আগেও সাংবাদিকদের নিগৃহীত করার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে।
২০০৯ সালে পটুয়াখালীর গলাচিপায় নদী দখল করে বিপণী বিতান তৈরির কথা বিভিন্ন দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে রনির সমর্থকদের হাতে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক নিগৃহীত হন। পরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলাও করেন তিনি।
তবে তিনি আলোচনায় আসেন সৈয়দ আবুল হোসেনের মন্ত্রিত্ব পাওয়া নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ‘গল্প’ বলে। ওই গল্পে তিনি হাস্যরস করে বলেন, দৌড় জিতে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন আবুল হোসেন!
বিস্তারিত পড়ুন

ব্যবসা বাড়াবে অনলাইন বিজ্ঞাপন-বিপণন

ব্যবসা বাড়াবে অনলাইন বিজ্ঞাপন-বিপণন

ব্যবসা বাড়াবে অনলাইন বিজ্ঞাপন-বিপণন
সার্চ ইঞ্জিনের মহানায়ক গুগল। ইন্টারনেটভিত্তিক সেবার চরিত্র পরিবর্তনে গুগল জাদুবিদ্যা এখন অপ্রতিরোধ্য। এ সত্যটা আরও একবার প্রমাণ করতে এসএমই অনলাইন বিজ্ঞাপনে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ছোট ও মাঝারি ব্যবসার দিনবদলের কথা এবার বেশ জোরালো কন্ঠেই ঘোষণা দিয়েছে গুগল। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গুগল ব্যবস্থাপনা পরিচালক টড রোয়ে জানান, ব্যবসা সহযোগী হয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে অনলাইন বিজ্ঞাপনের বাজার সম্প্রসারণ এবং ক্রেতা আকৃষ্ট করার ক্ষমতা বোঝাতে হবে। মাঝারি এবং ছোট ব্যবসায় অনলাইন মাধ্যম হতে পারে ব্যবসা সফলে সবচেয়ে সক্রিয় মাধ্যম। আর এটা বাস্তবসম্মত বিদ্যা।

এ প্রশিক্ষণে মাঝারি এবং ছোট ব্যবসার বিপণন প্রতিনিধিদের যোগ্যতা, পণ্য উপস্থাপন শৈলী এবং ক্রেতা সন্তুষ্টি অর্জনে সুপরিকল্পিত প্রয়োগিক ধারণা দেওয়া হবে। এ ছাড়াও আছে মোবাইল ফোনভিত্তিক বিজ্ঞাপনকে আঞ্চলিকভাবে জনপ্রিয় করার কলাকৌশল দেখিয়ে দেওয়া।

এ প্রশিক্ষণের আওতায় দ্রুত পণ্য বিপণন, সহযোগিতা এবং কো-ব্র্যান্ড ধারণাকে আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ থাকছে। এ সব কিছুই পণ্য বিপণন এবং বাজার বাড়াতে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। এতে বাজার এবং বিক্রেতা এ দুয়ের পরিসরই বাড়বে।

গুগল এ প্রকল্পের আওতায় ১৬ ধরনের মাঝারি ও খুদে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ প্রকল্পের আওতায় ভারতে সরাসরি কাজ করছে গুগল।

টড রোয়ে বলেন, এরই মধ্যে ভারতে এসএমই প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজারের বেশি এসএমই বিক্রেতাকে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের প্রশিক্ষণ দিয়েছে গুগল। এ সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে। ফলে দক্ষ অনলাইন বিক্রেতা এবং উদ্যোক্তা নতুন আদলের ব্যবসা ক্ষেত্র খুঁজে পাবে। এতে অনলাইনকেন্দ্রিক ডিজিটাল ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই বাড়তি মুনাফা করার অফুরন্ত সুযোগ পাবেন।

এদিকে গেটইট ইনফোমিডিয়ার প্রধান নির্বাহী যশপ্রীত বিন্দ্রা বলেন, ইন্টারনেট যোগাযোগের বদৌলতে এ সময়ের ব্যবসা আর ক্রেতার ধরন রাতারাতি বদলে গেছে। ব্যবসা এখন আগের চেয়েও অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। তবে ব্যবসা পরিসর আর পণ্যের পসরাও বেড়েছে বহুগুণ।

তাই ক্রেতাকে নয়, বরং পণ্যকেই ছুটতে হয় ক্রেতার দ্বারে দ্বারে। নতুবা পিছিয়ে পড়তে হয়। এমনকি ব্যবসা গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

ইন্টারনেটনির্ভর ব্যবসার এ অগ্রগতিতে একাই আধিপত্য বিস্তার করেছে গুগল। এমনটাই জানালেন ডিজিটাল বিপণন বিশেষজ্ঞ যশপ্রীত বিন্দ্রা।

এ মুহূর্তে গুগলের ব্যবসা কৌশল সহযোগী হিসেবে গেটইট ইনফোমিডিয়া ভারতে এসএমই অনলাইন ব্যবসায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এরই মধ্যে ভারতের ১৫০টিরও বেশি শহরে এক হাজারের বেশি ডিজিটাল বিপণন প্রতিনিধিকে গুগল প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

এ প্রত্যক্ষ প্রশিক্ষণের ফলে তিন হাজারের বেশি এসএমই প্রতিষ্ঠান নতুন করে ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে ভবিষ্যতের অনলাইনে উদীয়মান ডিজিটাল সুপারমার্কেটের শীর্ষ প্রতিনিধি হয়ে ওঠা। কথাগুলো ঠিক এভাবেই বললেন যশপ্রীত বিন্দ্রা।

এ মুহূর্তে ভারতের ১৬৫টি শহরে গুগল ইন্ডিয়ার হয়ে ৩ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রতিনিধি নিয়ে সক্রিয় অনলাইন সুপারমার্কেটে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা বাড়াতে কাজ করছে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য ১৫ হাজার এসএমই প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ব্যবসা কৌশলের অন্তর্ভুক্ত করা।

২০১৫ সালের মধ্যেই এ প্রতিনিধির সংখ্যা ৫ লাখে উন্নীত করার উদ্দেশে মাঠে নেমেছে গুগল। এ সময়ে অন্তত ৫ লাখ প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকের অন্তত একটি করে ওয়েবসাইট নিশ্চিত করতে চায় গুগল ইন্ডিয়া।

এভাবেই অনলাইন সুপারমার্কেটে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ও ক্রেতা চাহিদা তৈরি এবং পণ্য ও সেবার বিপণনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের কাছে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন গুগল ব্যবস্থাপনা পরিচালক টড রোয়ে। ফলে উদীয়মান অনলাইন সুপারমার্কেটের নিয়ন্ত্রক হতে গুগল এখন সুদীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।
বিস্তারিত পড়ুন

সন্তানের পিতৃ পরিচয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে কুতুবদিয়ার অসহায় মা ইসমত আরা

সন্তানের পিতৃ পরিচয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে কুতুবদিয়ার অসহায় মা ইসমত আরা
বিয়ের প্রলোভনে যুবতির সাথে দৈহিক সম্পর্ক ও গর্ভে সন্তান জন্ম দিয়ে এক লম্পট পূরুষ সম্পুর্ণ ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে অসহায় ইসমত আরার গর্ভজাত দু’মাস বয়সি ফুটফুটে চাঁদের মতো সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সে আদৌ কুল-কিনারা পাবেন কী ? না শেষ পর্যন্ত যতোসব অপবাদের ঝুলি নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরতে হবে মা-সন্তানকে।
অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার উত্তর ধূরুং ফয়জানি পাড়ার অসহায় নুরুন্ নাহার প্রকাশ নারু বেগমের সাথে বিয়ে হয় চকরিয়া দরবেশ কাটার নুরুল আলমের। জন্মের কয়েক বছরে মাথায় তার পিতা-মাতার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে বহু কষ্টে মায়ের সংসারে বড় হয় ইসমত আরা। বড়ঘোপ জুলেহার পাড়ার নুরুল হুদার পুত্র মুহাম্মদ ইউনুছ আত্মীয়তার সুবাদে ইসমত আরার বাড়ীতে আসা-যাওয়ার ফাঁকে তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে যৌতুক ছাড়াই তিন লাখ টাকায় কাবিন দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে বিবাহের kutubdia,seeking for husband,illegal sex at Kutubdiaহলফ নামা সৃজনের জন্য অলিখিত ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় ইসমত আরার। এমনকি জনৈক ব্যক্তিকে কাজী অফিসের কর্মচারী পরিচয়ে বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে স্থানীয় এক মৌলভী দ্বারা আক্বদ পড়ায়। মাত্র আট মাসের মাথায় প্রতারক ইউনুছ তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ইতোমধ্যে ইসমত আরার কুলে এক ছেলে সন্তান ভুমিষ্ট হয়। তার পরেও খোঁজ-খবর না নেয়ায় ইসমত আরা ও তার মা নুরুন্ নাহার গত ২৭ জুন ইউনুছের ঘরে আসলে মা-মেয়ে বেদড়ক লাটিপেটা করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুতুবদিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। একই এলাকার কৃতি সন্তান সুর্যোদয়ের দেশ জাপানের ওথাই বিশ্ব বিদ্যালয়ের ক্যামিষ্ট্রি বিভাগের লেকচারার ড. মুহাম্মদ শাহ্জাহান ইতোমধ্যে কুতুবদিয়া সফরে আসলে বিষয়টি অবগত হয়ে সুরাহা করার জন্য স্থানীয় ফরিদ কোম্পানী, হাফেজ ফজলুল করিমসহ গন্যমান্যদের দায়িত্ব দেয়ার কথা  জানান। এ ঘটনায় অসহায় ইসমত আরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তাকে।
বিস্তারিত পড়ুন

মুঠোফোন চুরি ঠেকাতে ‘কিল সুইচ’

মুঠোফোন চুরি ঠেকাতে ‘কিল সুইচ’

মোবাইল ফোন চুরি প্রতিরোধে ‘কিল সুইচ’ নামে বিশেষ প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ও সানফ্রান্সিসকোতে। আইফোন ৫ ও গ্যালাক্সি এস ৪ স্মার্টফোনে মোবাইল ফোন চুরি প্রতিরোধের এ প্রযুক্তির কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখবেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।
মুঠোফোন চুরি হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে বড় দুশ্চিন্তা থাকে ফোনটির অপব্যবহার নিয়ে। মোবাইল ফোন চালু রাখা ও বন্ধ রাখার প্রযুক্তি রয়েছে। কিন্তু দূর থেকে মোবাইল ফোন অকেজো করে ফেলার কেনো পদ্ধতি নেই। যে কারণেই এ দুশ্চিন্তা। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির মুঠোফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে দূর থেকে মুঠোফোন অকেজো করার প্রযুক্তি যুক্ত করার দাবি করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের মেয়র বরিস জনসনের কাছ থেকেও মোবাইল চুরি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার চিঠি পেয়েছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল, স্যামসাং, গুগলসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। 
এর আগে হাফিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মুঠোফোন ছিনতাই ও চুরিতে বিপর্যস্ত হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সমাধান বের করার অনুরোধ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্যানফ্রান্সিসকোতে ২০১২ সালে সংগঠিত ছিনতাইয়ের অর্ধেকই ছিল মুঠোফোন ছিনতাই সংক্রান্ত ঘটনা। স্যানফ্রান্সিসকো ছাড়াও ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, মেক্সিকোতেও মুঠোফোন চুরি ঠেকাতে সমাধান বের করার অনুরোধ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া যুক্তরাজ্যেও স্মার্টফোন চুরি ঠেকাতে সচেতনতা বাড়ছে। দূর থেকে যাতে মুঠোফোন অকেজো করে দেওয়া যায় এমন ‘কিল সুইচ’ স্মার্টফোনে যুক্ত করার দাবির কারণে এ ধরনের প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিস্তারিত পড়ুন

মেসিকে নিয়ে গড়বো ইতিহাস: নেইমার

মেসিকে নিয়ে গড়বো ইতিহাস: নেইমার


বার্সেলোনার জার্সিতে লিওনেল মেসির সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলে ইতিহাস গড়তে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার।
বার্সেলোনার সাবেক তারকা খেলোয়াড় ও কোচ ইয়োহান ক্রুইফের মতো অনেকেরই ধারণা, মেসি-নেইমার জুটি খুব একটা কার্যকর হবে না। ক্রুইফ তো একধাপ বেশি এগিয়ে মেসিকে বিক্রি করে দেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছিলেন।
তবে নেইমারের বিশ্বাস, বল পায়ে ইতিহাস গড়বে তারা দু’জন। আত্ববিশ্বাসী নেইমার বলেন, “আশা করি আমাদের জুটি ইতিহাস গড়বে। ঐ লক্ষ্য পূরণে যা কিছু প্রয়োজন তার সবই আমাদের আছে।”
“বিশ্বসেরার (মেসি) পাশে খেলতে পারাটা সম্মানের, যেন একটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। আর এটাই আমাকে ইউরোপের দল বেছে নিতে প্রলুব্ধ করেছে।”
এখন শুধু কাতালান দলটিকে নিয়েই ভাবতে চান কনফেডারেশন্স কাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা নেইমার।
“সান্তোসের সঙ্গে আমার দারুণ সফল একটা গল্প আছে। কিন্তু এখন আমি নতুন ক্লাবে, এক নতুন জীবনে। আর তাই আমার পুরো ধ্যান-জ্ঞান এখন বার্সেলোনা।”
গত মাসে বার্সেলোনার ইতিহাসের রেকর্ড সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি ৭০ লাখ ইউরোর ট্রান্সফার ফিতে সান্তোস থেকে যোগ দেন নেইমার। এখানে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি।
বর্তমানে দেশে ছুটি কাটাচ্ছেন নেইমার। ২৫ জুলাই কাতালান ক্লাবটিতে অনুশীলনে যোগ দেয়ার কথা তার।
বার্সেলোনার হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে মেসি ও নেইমারকে জুটিবেধে প্রথম খেলতে দেখা যেতে পারে আগামী ১৮ অগাস্ট লেভেন্তের বিপক্ষে।
বিস্তারিত পড়ুন